কর্মচারীর মৃত্যুতে আনুতোষিক ও পেনশন প্রদান সংক্রান্ত বিধান।

কর্মচারীর মৃত্যুতে আনুতোষিক ও পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিবার সংজ্ঞা এবং পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০ এর সংযোজনী-১৯ মোতাবেক একজন কর্মচারীর মৃত্যুতে আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে কর্মচারীর পরিবারের সদস্য বলিতে বুঝাইবে;

পরিবার বলতে নিম্নবর্ণিত সদস্যকে বুঝাইবে

ক) পুরুষ কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্ত্রীগণ;

খ) মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্বামী;

গ) কর্মচারীর সন্তান; এবং

ঘ) কর্মচারীর মৃতপুত্রের বিধবা স্ত্রী/ স্ত্রীগণ এবং সন্তান।

আইনগতভাবে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত স্ত্রী বা কর্মচারীর ধর্মীয় বা গোষ্ঠিগত প্রথা অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রাপ্য নয় এমন স্ত্রী কর্মচারীর পরিবারের অন্তর্ভূক্ত হইবে না। তবে কর্মচারী উক্ত স্ত্রীকে পরিবারের অন্তর্ভূক্ত থাকিবে মর্মে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/ অফিস প্রধানকে অবহিত করিলে, সে পরিবারের অন্তর্ভূক্ত হইবে।

স্বামী/স্ত্রীর প্রমানক যেখানে দাখিল করবেন

স্বামী পরিবারের অন্তর্ভূক্ত করিলে, সে পরিবারের অন্তর্ভূক্ত হইবে। স্বামী অন্তর্ভূক্ত হইবে না মর্মে স্ত্রী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/ অফিস প্রধানকে অবহিত করিলে উক্ত স্বামী মহিলঅ কর্মচারীর পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য হইবে না। (অস্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রমানক আবশ্যক)

পালক সন্তান হিন্দুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

সন্তান অর্থ বৈধ সন্তান এবং ধর্মীয় আইনে স্বীকৃত পালক সন্তান। ইসলাম ধর্মে পালক সন্তানের পিতার নাম পালক পিতার নাম প্রযোজ্য নয় বিধায় এই বিধিটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

হিন্দুদের দত্তক পুত্র পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য। কর্মচারীর মৃত্যুতে পেনশন প্রাপ্তির যোগ্য সদস্যবৃন্দ।

সূত্র: পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০

আনুতোষিক ও পেনশন প্রদানের উদ্দেশ্যে আত্নীয়বর্গের সংজ্ঞা

কর্মচারীর মৃত্যুতে আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন প্রদানের ক্ষেত্রে কর্মচারীর আত্মীয়বর্গের অর্ন্তভূক্ত হইবে। ক) আপন ভাই খ) আপন বোন গ) পিতা এবং ঘ) মাতা।

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *