সরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক বেতন থেকে জিপিএফ এ বাধ্যতামূলক ভাবে কর্তনের বিধান রয়েছে। এ জমাকৃত অর্থ হতে ফেরৎযোগ্য ও অফেরৎযোগ্য দুু’ধরনের অগ্রিম গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে চাঁদা দাতার ইচ্ছায় একাধিক কিস্তি একত্রে কর্তন করা যাবে কিন্তু সব মিলিয়ে কর্তনের পরিমাণ কোন ভাবেই মূল বেতনের অধিক হবে না।

অগ্রিম ও সুদ আদায়:

অগ্রিমের টাকা মাসিক সমান কিস্তিতে আদায় করতে হবে। কিস্তির সংখ্যা চাঁদা দাতার ইচ্ছা ব্যতীত ১২ এর কম হবে না এবং কোন ক্রমেই ৫০ এর বেশি হবে না। ইচ্ছা করলে এক মাসে একের অধিক কিস্তি পরিশোধ করা যাবে [বিধি-১৪ (১), জিপিএফ বিধিমালা, ১৯৭৯]

গৃহ নির্মাণ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রিম গ্রহণের পরবর্তী পূর্ণ মাসের বেতন হতে অগ্রিমের কিস্তি আদায় আরম্ভ হবে। গৃহ নির্মানের ক্ষেত্রে অগ্রিম গ্রহণের পরবর্তী দ্বাদশ মাসের বেতন হতে অগ্রিমের কিস্তি আদায় আরম্ভ হবে। [বিধি-১৪ (২)(৩), জিপিএফ বিধিমালা, ১৯৭৯)

মোট জমার ৭৫% পর্যন্ত উত্তোলন করা যায়। কোন অর্থ বছরের জিপিএফ স্লিপ অনুসারে উত্তোলন করতে হবে।

চলতি জমার উপরে ৭৫% হিসাব করলে হবে না। অনুমোদিত জিপিএফ স্লিপ বা সর্বশেষ অর্থ বছরের জিপিএফ স্লিপ অনুসারে হিসাব করতে হবে।

চাঁদা দাতার সম্মতি ব্যতিরেকে ছুটিকালীন সময়ে বা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্তিকালীন সময়ে অগ্রিম আদায় করা যাবে না। [বিধি-১৪ (৪), জিপিএফ বিধিমালা, ১৯৭৯]

অগ্রিম উত্তোলনের মাস হতে চূড়ান্ত পরিশোধের সময় পর্যন্ত ৫% হারে সুদ আদায় করতে হবে। [বিধি-১৩ (৬), জিপিএফ বিধিমালা, ১৯৭৯]

চাঁদা প্রদানের হার:

মাসিক বেতনের ৪০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৮%, মাসিক বেতন ৪০০০ টাকা উর্ধ্বে সর্বনিম্ন হার ১০% [(বিধি-৯, জিপিএফ বিধিমালা, ১৯৭৯] বর্তমানে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ৫% এবং সর্বোচ্চ ২৫% কর্তন করা যাবে। (নতুন পরিপত্র মোতাবেক)

** চাঁদা অগ্রিমের কিস্তি ও অন্যান্য কর্তন মিলিয়ে মোট কর্তন মূল বেতনের অধিক হবে না।**

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *