চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ মোতাবেক কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ শ্রেনী নয় গ্রেড ভিত্তিক পরিচিতি পাইবেন। অর্থাৎ প্রথম, ২য়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ শ্রেণী হিসাবে নয় গ্রেড ভিত্তিক পরিচয় পাইবেন।
৮। কর্মচারীদের গ্রেড ভিত্তিক পরিচিতি।-আপাতত বলবৎ এতসংক্রান্ত অন্য কোন বিধি বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্মচারীগণ ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীতে বিভাজনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে বেতনস্কেলের গ্রেড ভিত্তিক পরিচিতি হইবেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫
২০১৫ সালের পে স্কেল জারির পারও বিভিন্ন দপ্তর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ ও অন্যান্য দপ্তরগুলো এখনও বিভিন্ন আদেশ, বিধিমালা জারির ক্ষেত্রে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী উল্লেখ করে থাকেন তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জানিনা কেন জানি আমরা ব্রিটিশ পদ্ধতির এই ৪টি শ্রেনী থেকে ২০টি গ্রেড ভিত্তিক পরিচয়ে রূপান্তর হতে পারছিনা। কোন এক দৈব কারণে হয়তো কর্মকর্তাগণ এই শ্রেণী প্রথা বিলুপ্ত করতে চাচ্ছেনা না।
তবে হ্যাঁ দপ্তরগুলোও বিভিন্ন কথা বার্তায় এবং আলোচনায় এই শ্রেণী বৈষম্যটা রেখে দেওয়া হচ্ছে। পে স্কেল ঘোষণা এবং এই শ্রেণী প্রথা বাতিল করে গ্রেড ভিত্তিক পরিচয় চালু হওয়ার পরও আমরা ৪র্থ, ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীগণকে নিজেদেরকে গ্রেডে পরিচয় না দিয়ে শ্রেণীতে বিভক্ত করে পরিচয় দিচ্ছি।
অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক আদেশগুলোতেও কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভাজনটি বারবারই সামনে আসছে। রাষ্ট্র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একই মর্যাদা দিলেও বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়গুলো যেন রাজা প্রজার বিভেদটা যেন রেখে দিতেই তৎপর। প্রজতন্ত্রের কর্মচারী বলে প্রচার ও পরিচয় দিতে আমরা কন্ঠাবোধ করি।
সর্বশেষ কর্মকর্তা বা কর্মচারী যাই বলি না কেন, আমরা কিন্তু জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই জাতীয় কার্যে নিয়োজিত। তাই বিভেদ বিভাগজন ও শ্রেণী বৈষম্য ভুলে আমরাদের এক হয়ে জনগণের স্বার্থে এবং সেবায় নিয়োজিত থেকে কর্মচারী হিসাবেই পরিচয় দেওয়া সমীচিন।