অষ্টম জাতীয় পে কমিশনের অনেক অসংগতি এবং বৈষম্য রয়েছে। এ সকল বৈষম্য ও অসংগতি দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া অসংগতি ও বৈষম্যগুলো খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সেই কমিটি কোন প্রতিবেদন দাখিল করেনি, এমনকি কোন মিটিং করেছে বলেও জানা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম কোন ভাবে টেনে ধরা যাচ্ছে না।
দ্রব্যমূল্যের থেকে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি কম
সরকারি কর্মচারীগণ জাতীয় পে স্কেল মোতাবেক বার্ষিক প্রায় ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বেতন বৃদ্ধির ধাপগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। মোট কথা বাজারে মূল্যস্ফিতির সাথে বেতন বৃদ্ধির সমন্বয় হচ্ছে না। গত ৬ বছরে ৩০% বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফিতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭-৪০%। চলতি বছরে আরও ৫০% মূল্য বৃদ্ধির কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে ৭ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি দ্বিগুন থেকে ৩ গুন পর্যন্ত হয়েছে কিন্তু সে হারে বেতন ভাতাদি বৃদ্ধি পায়নি। এমতাবস্থায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে নতুন পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৯ম পে স্কেল ঘোষণাসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
নবম পে কমিশন ২০২৩
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ ঘোষণার সময় স্থায়ী পে কমিশন গঠনের প্রস্তাব থাকলেও সেটি কার্যকর করা হয়নি। কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরে ৫ দফা দাবীপূরণের পাশাপাশি ৯ম স্থায়ী পে কমিশন গঠনের দাবী নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। নবম পে কমিশন গঠন এবং পে স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৪০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
৯ম জাতীয় পে স্কেল ২০২৩
সরকারি কর্মচারীদের ১১-২০ গ্রেডের আন্দোলনের ফলে সরকারি চাকুরেদের বেতন কাঠামোয় বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার চাইছে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই নতুন একটি বেতন কাঠামো দিতে। নতুন বেতন কাঠামোয় কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বর্তমানে ০৮/০৩/২০২২ তারিখ এ পোস্ট লেখা পর্যন্ত আর কোন আপডেট সরকার এখনও পাবলিশ করেনি বা ঘোষণা করেনি। জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাজারে সাথে এ বেতন ভাতা কোন ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
মহার্ঘ ভাতা সর্বশেষ খবর ২০২৩
সরকারি কর্মচারীগণ বারবার ৪০% মহার্ঘ্য ভাতা চেয়ে আন্দোলন করছে। অতীত ইতিহাস বলছে সর্বোচ্চ ২০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থ লগ্নী প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যকে অন্তর্ভর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মূল বেতনের ২০% (বিশ শতাংশ) হারে মাসিক সর্বনিম্ন ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মহার্ঘ ভাতা ২০২২
৯ম পে স্কেলে ঘোষণায় দাবীসমূহ ২০২৩
সংগঠনগুলো বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে ২০টি গ্রেডকে ১০টি গ্রেডে রূপান্তর এবং অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান। সচিবালয়ের মতো সমকাজে সমমর্যাদা ও পদবি পরিবর্তন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল, পূর্বের মতো শতভাগ পেনশন প্রদানসহ পেনশন গ্র্যাচ্যুইটির হার এক টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ২০ শতাংশ প্রদান এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ন্যায্য মূল্যে মানসম্মত রেশন প্রদান, পাহাড়ি, পর্যটন ও দুর্যোগ ভাতা প্রদান করতে হবে। এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে দাবীসমূহ কিন্তু তাতে সরকারে কোন কর্ণপাতের নমুনা দেখা যাচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল ২০২২) একান্ত সাক্ষাতে সোনালীনিউজের প্রতিনিধিকে একথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড, বৈষম্য নিরসনসহ সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণে সরকার কাজ করছে।এবিষয়ে সরকার অবগত এবং এটি বিবেচনাধীন আছে। তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে আছে এখনও ফাইনাল কিছু হয়নি।
নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৩?
দ্রব্যমূল্য এত বেশি বাড়ছে যে, কর্মচারীদের যে বেতন ভাতা তা দিয়ে মাস পারি দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সাধারণত প্রতি বারই কর্মচারীদের বেতন বনাম দ্রব্যমূল্য যখন অসহনীয় হয় ঠিক তখনই নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া পূর্বে পে স্কেল ঘোষণার সময় পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রায় ৫ বছর পর পর নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বনাম কর্মচারীদের বেতন ভাতা অসহনীয় মাত্রায় পৌছে যাচ্ছে। যেভাবে মূল্যস্ফিতি বাড়ছে, টাকার মান কমছে এবং কর্মচারীদের আন্দোলন বেগবান হচ্ছে তাতে অনুমান করা যাচ্ছে যে, ২০২২ সালের শেষের দিকে বর্তমান সরকার নতুন পে স্কেল ঘোষণা করতে পারে।
একেক জনের পিডিকশন এবং মতামত ভিন্ন হতে পারে তবে এ ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ অনুমান করছে এ বছর শেষের দিকে সরকার কর্তৃক পে স্কেল ঘোষণা করা হতে পারে।
২১/০৫/২০২২
নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। আজ শনিবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর গত সাত বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক। সূত্র: দৈনিক কালেরকন্ঠ
০৯/০৬/২০২২
সুখবর নেই সরকারি চাকরিজীবীদের। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতার পেছনে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ২ শতাংশ। এর বাইরে পেনশন বাবদ খরচ হওয়ার কথা অতিরিক্ত ২৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোনো সুখবর দেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থবারের মতো যে বাজেট ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, সেখানে তাদের জন্য নতুন পে-স্কেল বা নবম বেতন কাঠামো ঘোষণা হয়নি। সূত্র
১০/০১/২০২৩
সম্প্রতি ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন ” এ মুহূর্তে নতুন পে-স্কেল নয়”। বর্তমান অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতিতে জনগণের কথা চিন্তা করে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোন আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়। সরকারি কর্মচারীগণ আন্দোলন বেগবান না করতে পারলে এ বছরও কোন পে স্কেল বা মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হচ্ছে না এটি স্পষ্ট করা হয়েছে।
১২/০৫/২০২৩
সম্প্রতি ১২ মে ২০২৩ তারিখে অর্থমন্ত্রণালয়ে মহার্ঘ ভাতার জন্য বাজেট হিসাব করলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা উপস্থাপন করতে পারেনি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মহার্ঘ ভাতার জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে পূর্বে যে সকল ক্ষেত্রে মহার্ঘ ভাতার জন্য ঘোষণা এসেছে সেসব ক্ষেত্রেও আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়নি। অন্য খাত থেকে থোক বরাদ্দ এনে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণা সরকার করে থাকে। তাই বাজেট বরাদ্দের ২-৩ মাস পরও মহার্ঘ ভাতার প্রদানের সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে আগামী ২৬/০৫/২০২৩ তারিখে সরকারী কর্মচারীগণ ৭ দফা দাবী নিয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।
ধন্যবাদ
পে কমিশনের সর্বশেষ খবর পেতে এই ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দ্রব্য মূল্য ৩৭-৪০% বেড়েছে। এই তথ্যটি সঠিক নয়। দ্রব্য মূল্য বেড়েছে ১০০-১৫০%। মিলিয়ে দেখুন প্রতিটি জিনিসের বর্তমান দামের সাথে ২০১৫ এর দামের।
কোন পত্রিকায় প্রকাশিত রেফারেন্স দিন।
সয়াবিন তেলের দা ছিল লিটার প্রতি ৯০/৯৫টাকা বর্তমানে ১৯৫/-টাকা, মসুর ডক মোটা দানা ৬০/- বর্তমানে ১২০/-টাকা
চাকুরিরতরা সব সময়ই নিজেদের স্বার্থ দেখে, অথচ কেউ কিন্তু অতি পুরাতন পেনশনভোগী দের কথা বলেনা।
১৯৭৭ পে স্কেল সন্মন্ধে অনেকেরই কোনো ধারনা নাই। ১৯৮৫ সালে এরশাদের পে স্কেল বেতন প্রায় দুই গুন করে দেয়।
১৯৭৭ সালের পেস্কেলে যারা অবসরে গেছেন তাদের পেনশন বর্তমান স্কেলের/গ্রেডের অন্ততঃ অর্ধেক করা উচিত।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি এক গ্রেড এক পেনশন চালু হতে পারে।
ঠিকই বলেছেন কিন্তু এমন হওয়া বা করার সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোথায়? তবে পেনশনারদের পেনশন অবশ্যই পুন:নির্ধারণ করা হবে।
আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তর সমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পে-স্কেল (বিশেষ করে ৩য় শ্রেণীর ক্যাটাগরীর পদগুলির জন্য) জনস্বার্থে জারী করা উচিত। কারণ বেতন বৈষম্যের পাশাপাশি পদ বৈষম্যও দিন দিন বেড়েই চলছে। যা আদৌ কাম্য নয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সকল নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সহমত।
I totally agree with this statement: সবচেয়ে ভালো হয় যদি এক গ্রেড এক পেনশন চালু হতে পারে।