প্রধান বিচারপতি অসাধারণ পেনশন বাৎসরিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার এবং আনুতোষিক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাইবে – বিচারকগণ বাৎসরিক ১ লক্ষ ৪০ হাজার পেনশন এবং আনুতোষিক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্র্যা হইবেন – বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক আইন ২০২৩
সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ ছুটি কেমন?– যে ক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্টের কার্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত নহে এইরূপ কোনো দায়িত্ব কোনো বিচারককে অর্পণ করা হয় এবং উক্ত দায়িত্ব পালন করিবার কারণে উক্ত বিচারক কোনো বৎসরের অবকাশকালীন পূর্ণ মেয়াদে উক্ত দায়িত্বে নিযুক্ত থাকেন অথবা অবকাশকালীন মেয়াদের ৩০ (ত্রিশ) দিনের কম সময় অবকাশ ভোগ করিতে পারেন, সেইক্ষেত্রে ছুটি হিসাবের কলামে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে যতদিনের ঘাটতি থাকে তাহার দ্বিগুণ পরিমাণ ছুটি। কোনো বিচারককে পূর্ণ বা অর্ধ গড় বেতনে মঞ্জুরকৃত ছুটি উপ-ধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত তাহার প্রাপ্য ছুটির হিসাব হইতে কর্তিত হইবে।
অন্যান্য সরকারি ছুটির মতই কি হিসাব? কোনো বিচারককে তাহার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্ত অনুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে মোট ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের অধিক ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না । কোনো বিচারকের প্রকৃত কর্মকালের (এক-চব্বিশাংশ) ভাগ মেয়াদ পর্যন্ত তাহাকে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) তে বর্ণিত ছুটির হিসাব এইরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না । পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি এককালীন ৫ (পাঁচ) মাস এবং ধারা ৩ এ উল্লিখিত অন্য কোনো ছুটি এককালীন ১৬ (ষোলো) মাসের অধিক মঞ্জুর করা যাইবে না।
অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর নির্দেশনা? কোনো বিচারকের অনুকূলে এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলির অধীন কোনো প্রকার ছুটির প্রাপ্যতা না থাকিলে, তাহার সমগ্র কর্মকালে একবারের জন্য অনধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে । কোনো বিচারক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণ করিলে তাহার অনুকূলে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না। উপ-ধারা (১) এর অধীন মঞ্জুরকৃত অসাধারণ ছুটিকালীন কোনো বেতন প্রদেয় হইবে না।
যদি সন্তানের মা জীবিত থাকেন তবে ১২ হাজার টাকা প্রতি সন্তান প্রাপ্য হইবেন / সন্তানপ্রতি বাৎসরিক পেনশন ২০ হাজার টাকা
পারিবারিক পেনশন ১ লক্ষ ৪০ হাজার এবং আনুতোষিক ৫ লক্ষ টাকা পাবেন একজন প্রধান বিচারপতির পরিবার।
পেনশন অনুমোদনের শর্তাবলি ২০২৩ । এরা কি পেনশন পাবেন?
- কোনো বিচারক অবসর গ্রহণ, পদত্যাগ বা চাকরি হইতে অপসারণের পর, নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, পেনশন প্রাপ্ত হইবেন, যদি তিনি—
- ক) অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছান;
- (খ) ১০ (দশ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর, অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছাইবার পূর্বেই পদত্যাগ করেন;
- (গ) ৫ (পাঁচ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছাইবার পূর্বে চিকিৎসা প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে অসুস্থতাজনিত কারণে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন বা শারীরিক বা মানসিক অসমর্থতার জন্য কর্ম হইতে অপসারিত হন : তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ক) তে বর্ণিত কর্মকালের মেয়াদ ৩ (তিন) মাস বা তদনিম্ন সময়ের জন্য ঘাটতি থাকিলে প্রথম তপশিলের অংশ-১ এ বর্ণিত শর্ত পূরণের উদ্দেশ্যে কোনো বিচারকের পেনশন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে উক্তরূপ ঘাটতি পরিমার্জনযোগ্য হইবে।
- ধারা ১৩ এর আওতাভুক্ত বিচারকদের পেনশন নির্ধারণ।—ধারা ১৩ এর অধীন পেনশন প্রাপ্তির অধিকারী কোনো বিচারকের পেনশনের পরিমাণ নিম্নরূপে নির্ধারিত হইবে, যথা :- (ক) যিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন না, তিনি প্রথম তপশিলের অংশ-১ এ উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্ত হইবেন; এবং (খ) যিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে নিযুক্ত ছিলেন তিনি প্রথম তপশিলের অংশ-২ এ উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্ত হইবেন, যদি না তিনি উক্ত তপশিলের অংশ-১ এ উল্লিখিত পেনশন বাছাই করেন।
ধারা ১৩ এর আওতাবহির্ভূত বিচারকগণের পেনশন নির্ধারণ কিভাবে হবে?
কোনো বিচারক উক্ত পদে নিযুক্তির পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত থাকিলে এবং ধারা ১৩ তে উল্লিখিত শর্ত তাহার কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হইলে, তিনি বিচারক হিসাবে কর্মকালের পরিসমাপ্তিতে— (ক) তাহার প্রাপ্য পেনশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিচারক হিসাবে নিযুক্তির পূর্বের কর্মের বা পদের অনুমোদিত পেনশনই বিবেচ্য হইবে এবং বিচারক হিসাবে তাহার কর্মকাল, পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পূর্বের কর্মের ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে এমনভাবে গণ্য করিতে হইবে যেন তিনি পূর্বের কর্মেই বহাল রহিয়াছেন; এবং
বিচারক হিসাবে কর্মকালের প্রত্যেক পূর্ণ বৎসরের জন্য অতিরিক্ত পেনশন ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা মাসিক হারে প্রাপ্য হইবেন, যাহা সর্বোচ্চ মাসিক সাকুল্য ৮,৫০০ (আট হাজার পাঁচশত) টাকার অধিক হইবে না ।
পেনশনযোগ্য কর্মকাল কিভাবে নির্ধারিত হইবে?
পেনশনযোগ্য কর্মকাল ৫ (পাঁচ) বৎসর বা তাহার অধিককাল হইলে, সমৰ্পণকৃত প্রতি ১ (এক) টাকার জন্য নিম্নবর্ণিত হারে আনুতোষিক, যথা :-” (অ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪০ (চল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর হইলে ২৬০ (দুইশত ষাট) টাকা; (আ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর হইলে ২৪৫ (দুইশত পঁয়তাল্লিশ) টাকা; অবসর গ্রহণকালে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বা ততোধিক হইলে ২৩০ (দুইশত ত্ৰিশ) টাকা; (ঈ) মাসিক পেনশন গ্রস-পেনশনের অর্ধেকের সমান হারে; (গ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে, দফা (খ) অনুযায়ী আনুতোষিক এবং গ্রস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন, যাহা কোনো বিচারক তাহার মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন;
(ঘ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যুবরণের তারিখের পরবর্তী দিন হইতে এস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন। (২) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, যদি (ক) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (ক) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল অতিক্রম করিবার পর অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, বা (খ) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (খ) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত বিচারকের স্বামী বা স্ত্রী আমৃত্যু বা পুনঃবিবাহের পূর্ব পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটিবে,
অথবা প্রতিবন্ধী সন্তান বা সন্তানাদি তাহার বা তাহাদের মৃত্যু পর্যন্ত এবং পুত্র বা পুত্রগণ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর বয়স পর্যন্ত, অথবা অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা কন্যা উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করিলে ১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত, অথবা কোনো উত্তরাধিকারি না থাকিলে বিবাহিত কন্যা বা কন্যাগণ ও ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের ঊর্ধ্বে, অথবা পুত্র বা পুত্রগণ উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে ১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তির বকেয়া মেয়াদ পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত হারে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন, যথা:— (অ) অবসর গ্রহণের পূর্বে বিচারকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, গ্রস-পেনশনের অর্ধেক, বিচারকের মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন; এবং যাহা (আ) অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে গ্রস-পেনশনের অর্ধেক যাহা তাহার প্রকৃত অবসর গ্রহণের তারিখে অনুমোদিত পেনশন হিসাবে প্রাপ্য হইতেন।