সরকারি কর্মচারীগণ চাকরিরত অবস্থায় যদি মৃত্যুবরণ করেন এবং বেঁচে থাকা কালীন চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ বিভিন্ন অনুদান পেয়ে থাকেন – সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক সুবিধা ২০২৩

সামরিক প্রশাসনের জন্য কি এ নিয়ম প্রযোজ্য? না। সরকার বেসামরিক প্রশাসনে চাকরিরত অবস্থায় কোন সরকারী কর্মচারি মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা হতে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষম হলে সরকারী কর্মচারির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ২,০০,০০০/- (দুই টাকা হতে ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকায়, এবং চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে দাফন-কাফন বাবদ আর্থিক সহায়তার পরিমান ২৫,০০০/-(পটিশ হাজার) টাকা থেকে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকায় পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা ও গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ীভাবে হলে 8,00,000/- (চার লক্ষ) টাকার অনুদান বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট হতে নির্বাহ করা হবে এবং দাফন-কাফন বাবদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকার বার বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রচলিত কোড থেকে নির্বাহ করা হবে। PRL কালীন মৃত্যুতে যে সকল আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে।

আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির আবেদনের পদ্ধতি কি? সচিব/সচিব, প্রশাসন বরাবর আবেদন করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সরকারি অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর/অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা ব্যতীত অন্যান্য বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং মায়নাশাসিত প্রতিষ্ঠানে লেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ ও আর্থিক সুবিধাদি ২০১৪

অনুদান মঞ্জুরির পদ্ধতি কি? কেন্দ্রীয় বাছাই কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ যথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আর্থিক অনুদান প্রাপ্য হবেন। সুপারিশকৃত তালিকা অনুমোদনের পর কল্যাণ শাখা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী/ব্যক্তির অনুকূলে অনুদান প্রদানের জন্য সরকারি মঞ্জুরিপত্র (৩) জারী করবে। প্রতিটি সরকারি মঞ্জুরি পরে (জি.এ.) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী বাক্তির ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংকের নাম ও বাংকের অবস্থান উল্লেখ থাকবে। সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর ব্যক্তির আর্থিক অনুদানের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে জ মন্ত্রণালয়ের হিসাব কোষের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আনে যায়ন কর্মকর্তা (Drawing and Disbursing Officer-D.D.O.) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (সি.এ.এ.), নপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সকল বিল দাখিল করবে। সি.এ.ও, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী/ব্যক্তির নামে চেক ইস্যু/আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে অনুদানের অর্থ স্থানান্তর করবে।  চেক ইস্যু হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী/ব্যক্তির নিকট চে হস্তান্তর করনে। চেক ইস্যু/ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে প্রতিবেদন সি.এ.ও. এর কার্যালয় কর্তৃক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখায় প্রেরণ করবে। বেসরকারি শিক্ষক অবসরে এককালীন আর্থিক সুবিধাদির প্র্যাপ্যতা।

চাকরিতে স্থায়ী কর্মচারীগণই কেবল এসব সুবিধা পাবেন / জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে এ সব সুবিধা প্রদান করা হয়

অর্থের উৎস? উদ্দেশ্য পূরণ করে প্রতি আর্থিক বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিবারের অনুকূলে অর্থ বিভাগ কর্তৃক এ বাবদ অর্থনৈতিক কোডে প্রদত্ত বরাদ হতে ব্যয় মেটানো হবে।

Caption: Full Application form Download Link PDF

সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবার পেনশন -গ্রাচুইটি প্রভিডেন্ট ফান্ড ছাড়াও অন্য যেসব আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন তা নিচে ব্যাখ্যা করা হল

  1. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এককালীন মঞ্জুরী ৮,০০,০০০/-(আট লক্ষ) টাকা। এটি মূলত চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে পাওয়া যায়। পিআরএল বা অবসরে গিয়ে চাকরিজীবী মারা গেলে পাওয়া যায় না।
  2. বাংলাদেশ কমর্চারী কল্যাণ বোর্ড থেকে যৌথবীমার এককালীন ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা। কল্যাণ তহবিল ও যৌথ বীমার চাঁদা প্রদানের ফলে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড মূলত এ অনুদান প্রদান করে থাকে।
  3. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দাফন-কাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বাবৎ এককালীন ৩০,০০০/-(ত্রিশহাজার) টাকা এবং পরিবারের কেউ মারা গেলে কল্যাণ তহবিল থেকে দাফন-কাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বাবৎ সহায়তা ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। চাকরিজীবীর মৃত্যুর ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। যথাযথ কারণ ব্যাখ্যাসহ ১ বছরের মধ্যে আবেদন না করলে দাবী তামাদি হয়ে যাবে।
  4. কল্যাণ তহবিল থেকে মৃতব্যক্তির পরিবারকে ১৫ বছর পযর্ন্ত প্রতিমাসে ২,০০০/-টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। পনের বছর ২ হাজার টাকা হারে মোট ৩,৬০,০০০/- টাকা পাওয়া যাইবে। বর্তমানে ব্যাংক ইএফটি’র মাধ্যমে প্রতিমাসে পরিবারকে প্রদান করা হচ্ছে।
  5. বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যান বোর্ড- কল্যাণ তহবিল হতে সাধারণ চিকিৎসা অনুদান সর্বোচ্চ ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা এবং জটিল ও দুরারোগ্য ব্যধির চিকিৎসা অনুদান ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা প্রদান করা হয়। যা নিজ ও পরিবারের চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে খরচা হিসেবে উত্তোলন করা যায়। এটিও ইএফটি’র মাধ্যমে ব্যাক হিসাবে পরিশোধ করা হয়। চিকিৎসার সর্বশেষ ২ বছরের ব্যয় অন্তর্ভূক্ত করে আবেদন করা যায়।
  6. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চাকরিরত অবস্থায় গুরুতর আহত হয়ে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে কর্মচারী জীবিত থাকাকালীন অক্ষম হয়ে পড়লে পাবেন।

কর্মচারীকে সুবিধা পেতে মাসিক কত টাকা চাঁদা দিতে হয়?

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ১৩.১১.২০১৬ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১. ১৩.০০১.১৬-১২০ সংখ্যক স্মারকের সম্মতি এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এর ধারা ১৫, ১৬ এবং ১৭ এর সংশোধন (বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০১৮) অনুযায়ী কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে কর্মচারীদের প্রদেয় না, “কল্যাণ তহবিল হতে প্রদেয় অনুদান” ও কর্মচারীদের যৌথবীমা তহবিলে “কর্মচারীদের প্রদেয় প্রিমিয়াম” হার ও অন্যান্য অনুদানের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কল্যাণ তহবিলে মাসিক ১৫০ টাকা এবং যৌথ বীমায় মাসিক ১০০ টাকা চাঁদা প্রদান করতে হয়। ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীকে শুধুমাত্র কল্যাণ তহবিল মাসিক ১৫০ টাকা কর্তন করিতে হয়। রাজস্ব খাতে বঞ্চিতদের এককালীন আর্থিক সুবিধা।

অনুদান প্রাপ্তির সকল আদেশ ও অর্ডর সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড

অক্ষমতাজনিত এককালীন । ০৩টি মূল বেতন হিসাব করে এককালীন বিশেষ আর্থিক সহায়তা নির্ণয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *