সিজারিয়ান চিকিৎসা ব্যয়ের সরকারি অনুদান গ্রহণের আবেদন পদ্ধতি।

সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তাগণ সাধারণত প্রতি মাসের বেতন হতে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে জমা দানের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে ১৫০ টাকা কর্তন করে থাকে। এ কর্তনের ফলে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে তার নিজের বা পরিবারের কেউ অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা সহায়তা নিতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবার তথা কর্মচারীর স্ত্রীর সিজারিয়ান ব্যয় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থাকে উঠানো যায়। এক্ষত্রে পুরো অর্থ না পাওয়া গেলেও আংশিক অর্থ ফিরে পাওয়া যায়।

সিজারিয়ান বা প্রসবজনিত চিকিৎসা ব্যয়ের এজন্য যা করতে হবে:

  • নিচের ফরমটি যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে।
  • সকল ফি বা ঔষধ কেনার রশিদ যুক্ত করে একটি তালিকা তৈরি করে আবেদনের সাথে গেঁথে দিতে হবে।
  • আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করতে হবে।
  • এ আবেদন চিকিৎসা গ্রহণের ০১ বছরের মধ্যে একবারই করা যায়।

আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পূরণ করে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, ঢাকা বরাবর আবেদন করতে হবে। আপনি আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড

সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের আবেদন ফরম: ডাউনলোড

যে সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে।
১। হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত ছাড়পত্র ডাক্তার কর্তৃক মূলকপি।
২। চিকিৎসা খরচের তালিকা।
৩। চিকিৎসা সংক্রান্ত ভাউচার সমূহের মূলকপি।
৪। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
৫। আবেদনকারীর ছবি (সত্যায়িত) ।
৬। আবেদনকারীর স্ত্রীর ছবি (সত্যায়িত)।
৭। আবেদনকারীর স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি কপি।

শেষ কথা: উপরোক্ত নমুনার মাধ্যমে আপনার আবেদনপত্রটি প্রস্তুত করে দপ্তরে জমা দিলে তারা একটি ফরওয়ার্ডিং দিয়ে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে প্রেরণ করবেন। পরবর্তীতে আপনার নামে অনুদানের চেক আসবে ডাক অফিসের মাধ্যমে অথবা আপনি যদি ব্যাংক ডিটেলস লিখে দিয়ে থাকেন তবে আপনার ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হবে।

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *