সরকারি কর্মচারীগণ দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। দ্রব্যমূল্যের চাপে তারা নিত্যসামগ্রীর বাজারে তারা মূল্যস্ফিতিতে ওষ্ঠাগত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাধ্য হয়-সরকারি কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন ২০২৩
১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম এর উদ্যোগে ১১-২০ ফোরাম এর সকল ইউনিট, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, “বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ” কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত নবম পে স্কেল সহ ৭ দফা দাবিতে তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২৬ মে, রোজ শুক্রবার, সকাল-১০:০০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, ঢাকা মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হইবে।
উক্ত মহাসমাবেশ এর মাধ্যমে কর্মচারীদের প্রাণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকল নেতৃবৃন্দকে নির্ধারিত সময় ও স্থানে নিজ নিজ ইউনিট, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও মহানগর থেকে সকল ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারিদের নিয়ে দলে দলে যোগদানের জন্য ২৫/০৪/২০২৩ তারিখের কেনিপ-১২/২০২৩ নম্বর পত্র জারির মাধ্যমে এ অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্র দেখুন
একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নতুন বেতন স্কেলে ৯ম গ্রেডের নন-ক্যাডার ও ক্যাডার কর্মচারীদের প্রবেশ পদে যথাক্রমে ৯ম ও ৮ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণে বড় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বৈষম্যহীন সম্মানজনক বেতন স্কেল নীতির কারণে ১ম শ্রেণি, ২য় শ্রেণি, ৩য় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পরিচয় প্রথা বিলোপ করে গ্রেডভিত্তিক কর্মচারী পরিচয়দানের প্রথা প্রবর্তন করা হলেও এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বৈষম্যহীন সম্মানজনক বেতন স্কেল প্রদানের নীতির প্রতিফলন ঘটেনি।
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে ।
৭ দফা দাবী কি কি? । বর্তমানে বাজার মূল্যের সাথে বর্তমান বেতন ভাতা কোনভাবে খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না
- পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করত হবে।
- ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
- সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
- টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
- আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
- বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
পে স্কেল ঘোষণা কেন জরুরি?
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুখ্য সমন্বয় বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। দ্রব্য-মূল্যের চরম উর্দ্ধোগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এ পর্যায়ে কর্মচারিদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত । অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দুর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহলসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
৫০% মহার্ঘ ভাতা ও ৯ম পে-স্কেলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন: ডাউনলোড
প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্ন: পে স্কেলের দাবী কি আদায় হবে?
উত্তর: পে স্কেল না হলেও সংশোধন এবং অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট হবে।
প্রশ্ন: আন্দোলনে কি দাবী আদায় হয়?
উত্তর: ইতোপূর্বে যতবার আদায় হয়েছে তা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই হয়েছে।