তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর বদলীযোগ্য পদে কর্মচারীগণকে বদলীর প্রয়োজন হইলে প্রথমে তাহাদেরকে একই কর্মস্থলের জন্য অফিসে বদলী করা যাইতে পারে। একই কর্মস্থলে অন্য অফিসে বদলীর সুবিধা না থাকিলে নিকটতম অফিসে বদলী করা যাইতে পারে।
সরকারি ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় বদলীযোগ্য কর্মকর্তা যাহারা একই স্থানে তিন বৎসরের অধিককাল যাবত কর্মরত আছেন তাহাদের অবিলম্বে বদলী করিবার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। এই নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করিতে হইবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ অবশ্যই এই আদেশের অন্তর্ভূক্ত নহে অথচ তাহাদের অনেকে বদলী করিয়া হয়রানি করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। সংস্থাপন বিভাগ এই বিষয়ে তদন্ত করিয়া দেখিবে ও সরকারি আদেশের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ দাখিল করিবে। (মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত)
উক্ত মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অবহিত করিলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/পরিদপ্তর তাহাদের অধীনস্থ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলীর যৌক্তিকতা উল্লেখ করিয়া প্রশাসনিক কারণে তাহাদেরকে বদলী করা প্রয়োজন বলিয়া উল্লেখ করার প্রেক্ষিতে সরকার পরবর্তীতে আন্ত:মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালা জারি করেন। এই গুলি নিম্নে প্রদত্ত হইল:
ক) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর বদলীযোগ্য পদে কর্মচারীগণকে বদলীর প্রয়োজন হইলে প্রথমে তাহাদেরকে একই কর্মস্থলের জন্য অফিসে বদলী করা যাইতে পারে।
খ) একই কর্মস্থলে অন্য অফিসে বদলীর সুবিধা না থাকিলে নিকটতম অফিসে বদলী করা যাইতে পারে।
গ) তাহাদের বেলায় বদলীর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকিবে না।
ঘ) শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রয়োজনেই এই দুই শ্রেণীর কর্মচারীকে বদলী করা যাইবে।
উপরোক্ত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করিয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে বদলী করা হইলে উহা অবশ্যই “হয়রানিমূলক” বলিয়া ধরা হইবে এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করা “অসদাচরণের” সামিল হইবে।
[এমই (এডি-৩)-৩৮৮৪-১৩০; তারিখ: ১০/২/৮৭ইং]