নিম্নতম মজুরী হার বাংলাদেশে অবস্থিত সকল এলাকার ‘কটন টেক্সটাইল’ শিল্প সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য হইবে- অতিরিক্ত কোনো পদ সংশ্লিষ্ট শিল্পে পূর্ব হইতে বিদ্যমান অথবা পরবর্তীতে সংযোজিত হইলে উহা যথাযথ শ্রেণি বা গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে- নিম্নতম মজুরী হার কটন টেক্সটাইল শিল্প ২০২৪
ন্যূনতম মজুরির বেশি থাকলে হ্রাস করা যাবে না? না। শ্রমিক ও কর্মচারী বর্তমানে যেই গ্রেডে কর্মরত রহিয়াছেন সেই গ্রেডেই তাহাকে স্থলাভিষিক্ত করিয়া এই মজুরী কাঠামোর সহিত সমন্বয়পূর্বক তাহার মজুরী নির্ধারণ করিতে হইবে এবং কোনো শ্রমিক বা কর্মচারীকে নিম্ন গ্রেডভুক্ত করা যাইবে না। এই প্রজ্ঞাপন জারির পরবর্তীতে উক্ত শিল্প সেক্টরের মালিকগণ তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত পদবিন্যাস অনুযায়ী শ্রমিক ও কর্মচারীকে যথাযথ পদে সন্নিবেশিত করিয়া মজুরী রেজিস্টারভুক্তকরত মজুরী স্লিপ প্রদান করিবেন। তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত মজুরী সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও কর্মচারীর মাসিক নিম্নতম মজুরী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কম মজুরী প্রদান করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা অধিক হারে মজুরী প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা হ্রাস করা যাইবে না।
নিয়োগকর্তা বা মালিক পক্ষ ইচ্ছা করিলে স্ব-উদ্যোগে, এককভাবে বা যৌথ উদ্যোগে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কোনো শ্রমিক বা কর্মচারীকে অধিক হারে মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন। উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিক বা কর্মচারী ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োজিত হইয়া মজুরী প্রাপ্ত হইয়া থাকিলে উক্ত শ্রমিক ও কর্মচারী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২ (৬৫) অনুযায়ী ‘শ্রমিক’ বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত শিল্প সেক্টরে কোনো শ্রমিক বা কর্মচারীর ঠিকাদারের নিকট প্রাপ্য পাওনাদির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হইলে তাহার দায় দায়িত্ব মালিক পক্ষের উপর বর্তাইবে এবং ঠিকাদার সরকার কর্তৃক শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কম মজুরী প্রদান করিতে পারিবেন না। শর্ত ৭ এ উল্লিখিত নিয়োগকারী ঠিকাদার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১২১, ১৫০ এবং ১৬১ এর বিধান অনুযায়ী মালিকের ন্যায় একইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। উক্ত শিল্প সেক্টরের মালিক যদি শ্রমিক ও কর্মচারীকে ফুরন ভিত্তিক (Piece rate) মজুরী প্রদান করিয়া থাকেন, তবে তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত হারে ও উপরি-উক্ত শর্তাধীনে মজুরীর হার এইরূপ হারে সংশোধন করিতে হইবে যাহাতে তাহারা বিভিন্ন শ্রেণিভুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত নিম্নতম মজুরী অপেক্ষা কম মজুরী প্রাপ্ত না হন।
তফসিল-ক ও তফসিল-খ এ উল্লিখিত নিম্নতম মজুরী ও বিভিন্ন ভাতা ছাড়াও শ্রমিক ও কর্মচারী কর্মরত প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য যে সকল অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা প্রাপ্য হন উহা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক বলবৎ ও অব্যাহত থাকিবে। এই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরী সমন্বয় করিয়া ১ (এক) বৎসর কর্মরত থাকিবার পর শ্রমিক ও কর্মচারীর মূল মজুরীর ৫% (শতকরা পাঁচ শতাংশ) হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে মজুরী বৃদ্ধি পাইবে এবং পরবর্তী বৎসরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় মূল মজুরীর ৫% (শতকরা পাঁচ শতাংশ) হারে বৃদ্ধি পাইবে। ব্যাখ্যা: যদি একজন শ্রমিকের মূল মজুরী ৫,১৬২/- (পাঁচ হাজার একশত বাষট্টি) টাকা হয়, তবে এক বৎসর কর্মরত থাকিবার পর তাহার বাৎসরিক মজুরী বৃদ্ধি পাইয়া মূল মজুরী ৫,৪২০.১০ (পাঁচ হাজার চারশত বিশ টাকা দশ পয়সা) টাকা নির্ধারিত হইবে এবং পরবর্তী বৎসরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় ৫% হারে বৃদ্ধি পাইবে অর্থাৎ মূল মজুরী ৫,৪২০.১০ (পাঁচ হাজার চারশত বিশ টাকা দশ পয়সা) টাকার ৫% বৃদ্ধি পাইয়া ৫,৬৯১.১১ (পাঁচ হাজার ছয়শত একানব্বই টাকা এগারো পয়সা) টাকা নির্ধারিত হইবে।
শিল্পখাতে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা / প্রতি বছর ৫% বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে
উক্ত শিল্প সেক্টরে নিযুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধান অনুযায়ী ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন।
Caption: Full Pay Scale Download pdf
শিল্প কটন টেক্সটাইল বেতন কাঠামো ২০২৪ । সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত?
- হেড কার্পেন্টার বিভাগীয় শহর সর্বমোট মজুরী ১৫,৫৯৮ টাকা।
- প্লাম্বার বিভাগীয় শহর ১৩,৮৬১ টাকা।
- ক্লিনার ১০,৩৫৯ টাকা।
- সুইপার/ঝাড়ুদার সর্বমোট ১০,০০১ টাকা।
কর্মঘন্টা কি শ্রম আইন অনুসারে?
হ্যাঁ। উক্ত সেক্টরের মালিক যদি কোনো শ্রমিক ও কর্মচারীর পরিবারের জন্য আবাসন সুবিধা প্রদান করিয়া থাকেন, তাহা হইলে সেইক্ষেত্রে উক্ত আবাসন সুবিধা গ্রহণকারী শ্রমিক ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে বাড়ী ভাড়া ভাতা প্রযোজ্য হইবে না। উক্ত শিল্প সেক্টরের শ্রমিক ও কর্মচারীর কর্মঘন্টা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে। এই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত কোনো বিষয় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে উহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। এই প্রজ্ঞাপন ১ মার্চ, ২০২৪ তারিখ হইতে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।