অফিস সূচী মানেই কিন্তু লেনদেন সময় সূচী নয় – অফিস সূচীতে লেনদেন করা যায় না কিন্তু লেনদেন সূচীতেই কেবল জনগন লেনদেন করতে পারে – ব্যাংকিং আওয়ার ২০২২
জনগনের সাথে লেনদেন সূচী– আগামী ১৫ নভেম্বর হতে ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল১০টা থেকে বেলা ৩.৩০ টা পর্যন্ত। আর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অফিস সময় হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পিতিবার বিকেলে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক কর্তৃপক্ষ। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটির কার্যনির্বাহী প্রধান গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যতঃ ব্যাংকসমূহের ব্যাংক।
সরকারি অফিসে সময় সূচী করা হয়েছে সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মূলত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকিং আওয়ার তথা ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচীতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংকে জনগণের সাথে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩.৩০ পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। মোট কথা সরকারি অফিস ও ব্যাংকিং আওয়ার ১ ঘন্টা রেগুলার আওয়ার থেকে কমানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
১০-৫টা কিন্তু লেনদেন করা যাবে না / ব্যাংকিং আওয়ার বা লেনদেন ঘন্টা হচ্ছে সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত।
সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংকিং অফিস আওয়ার অর্থাৎ কর্মকর্তাগণ সকাল ১০ টা হতে ৩.৩০ পর্যন্ত লেনদেন করবে এবং লেনদেন শেষে বাকি সময় লেনদেন ক্লোজিং এ কাজ করবেন।
Caption: Banking hours today in Bangladesh । ব্যাংক লেনদেন সময়সূচী ২০২২
অর্থনীতিতে ব্যাংক । ব্যাংকের অর্থনৈতিক কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে
- টাকা বা মুদ্রা ইস্যু: একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা আর্থিক কর্তৃপক্ষ দেশের মুদ্রা বা টাকা ইস্যু ও প্রবর্তন করে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ গ্রাহকের আদেশে ব্যাংক নোট এবং চলতি হিসাবের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে। ব্যাংকের এই কার্যক্রম অর্থ হিসাবে কাজ করে, কারণ চেক হস্তান্তরযোগ্য একটি বিনিময় মাধ্যম যা চাহিদার ভিত্তিতে পরিশোধযোগ্য এবং নির্দিষ্ট মূল্য বহন করে। ফলে এগুলো মুদ্রার মতই কাজ করে। এগুলি কেবল ডেলিভারির মাধ্যমে, ব্যাঙ্কনোটের ক্ষেত্রে, অথবা চেক আঁকার মাধ্যমে যে অর্থদাতা ব্যাঙ্ক বা নগদ হতে পারে তা কার্যকরভাবে স্থানান্তরযোগ্য।
- পেমেন্ট নিষ্পত্তি: ব্যাংকসমূহ গ্রাহকদের পক্ষে অর্থ সংগ্রহকারী এবং প্রদানকারী উভয় প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থা যেমন-নিকাশ ঘর বা স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর, রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে অভ্যন্তরীণ অর্থ আদান-প্রদান এবং সুইফট ও অনন্যাও মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন সম্পূর্ণ করে থাকে। ফলে, একদিকে এটি আদান ও প্রদানের মধ্যে সমন্বয় করতে সহায়তা করে এবং অন্যদিকে প্রদান ব্যবস্থার খরচও কমিয়ে দেয়।
- ঋণ মধ্যস্থতা: ব্যাংক মধ্যস্থতাকারী হিসাবে অর্থনীতির উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে সেগুলো অর্থনীতির ধাটতি অংশে বা ব্যবসায়ীদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে।
- ঋণের মান উন্নতি: ব্যাংক সাধারণ ভালো বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতাদের ঋণ দিয়ে থাকে। ঋণদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক বৈচিত্রতার নীতি অনুসরণ করে যাতে ঋণ বিভিন্ন শ্রেণিতে এবং মেয়াদে ভাগ হয়ে যায়। এতে ঋণ ফেরত না আসার ঝুঁকি কমে। এভাবে ব্যাংক ঋণের মান উন্নতিতে অবদান রাখে।
- অন্যান্য কার্যাবলী: উল্লেখিত কার্যাবলী ছারাও অর্থনীতিতে ব্যাংক কর্মসংস্থান তৈরি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ ভুমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কী কী কাজ করে থাকে??
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অব বাংলাদেশ – বাংলাদেশ ব্যাংক যে কাজগুলো করে থাকে সেগুলো হচ্ছে—নোট ইস্যু করে, মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে, মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ করে, ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে, নিকাশঘর হিসেবে কাজ করে, সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করে, বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক ঋণ নীতিমালা প্রণয়ন করে।