ভোটার হওয়ার এবং এনআইডি রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই এটি সীমাবদ্ধ না রেখে অবিরাম করে দেয়া হয়েছে – ভোটার হওয়ার নোটিশ ২০২৩
ভোটার হওয়ার শেষ তারিখ কবে? – আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাননীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ০১ জানুয়ারি ২০২৩ বা তার পূর্বে ১৮ বছর বয়সী ও ডাটাবেইজে অর্ন্তভুক্ত ১৮ বছর ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ভোটার তালিকায় সর্বশেষ অর্ন্তভুক্তি এবং আবাসস্থল পরিবর্তন অথবা অন্যবিধ কারণে ভোটার স্থানান্তরের জন্য প্রাপ্ত আবেদনসমূহ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক নিষ্পত্তিকরণের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের পরও ১লা জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ বা তার পূর্বে যাদের বয়স ১৮ বা তদুর্ধ্ব হয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন অফিসারগণ পূর্বের ন্যায় যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখে তথ্যসমূহ ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের পর হতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্যের সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্ৰদান করেছেন।
ভোটার হওয়ার নতুন নিয়ম কি? বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য পরিচয় সনদ হচ্ছে ভোটার কার্ড যাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা সংক্ষেপে এনআইডি বলা হয়। দেশের ভিতর এটি পরিচয় প্রমাণের প্রধান মাধ্যম। আঠার বছর পূর্ণ হলে ভোটার আইডি করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে আইনে। তাই নিজেকে ভোটারে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক কর্তব্য। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ কার্ড প্রদানসহ যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নতুন ভোটার কিভাবে হবেন কিংবা ভোটার হতে কি কি লাগে বা NID পেতে প্রক্রিয়া কি তা নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড । অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন । বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সচল রাখবে
আইডি কার্ডের সাধারন তথ্য সংশোধন এবং রেগুলার ডেলিভারির জন্য ২৩০ টাকা রি-ইস্যু ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। তেমনি ভাবে একই সংশোধনীর জন্য জরুরি NID Card পাবার জন্য ৩৪৫ টাকা ফি দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন প্রোফাইলে অন্যান্য তথ্য টেবে যে সকল তথ্য থাকে তা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে ১১৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।
Caption: Voter Registration
জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রেশন । নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?
- জর্ম্ম সনদের ফটোকপি
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র
- শিক্ষিত হলে এসএসসি সনদসহ শিক্ষাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
- রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হলে তার ফটোকপি
- বিদ্যুৎ বিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- জমির কাগজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ভোটার হই নাই মর্মে অঙ্গিকার নামা
- বাড়ির টেক্স পরিশোধীত রশিদের ফটোকপি
- বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রী জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও
- বিবাহিত সনদ পত্রের ফটোকপি
- নাগরিক সনদ
ভোটার হওয়া প্রক্রিয়া কি?
যে কোন সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। নিজেকে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন কপি প্রিন্ট করে নিন। আবেদন পত্রের ৩৫ নং ক্রমিকে ইউপি সদস্য/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সিল ও স্বাক্ষর, ৩৭ ক্রমিকে পরিবারের সদস্যের স্বাক্ষর এবং ৪০,৪১ ও ৪২ নং ক্রমিকে চেয়ারম্যান/মেয়র এর নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র নং উল্লেখ পূর্ব ক সীল এবং স্বাক্ষরীত করার পর আপনার উপজেলার নির্বাচন অফিসে নিয়ে জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।