বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্, প্রথম খণ্ডের বিধি-৫(৫৭) অনুযায়ী ভ্ৰমণভাতা বলিতে জনস্বার্থে ভ্রমণের জন্য ভ্রমণ ব্যয় মিটানাের উদ্দেশ্যে সরকারী কর্মচারীকে মঞ্জুরকৃত ভাতা বুঝায়। যানবাহন ও তবু মেরামতের জন্য মঞ্জুরকৃত ভাতাও ইহার অন্তর্ভুক্ত।
দৈনিক ভাতা : বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৫৫ অনুযায়ী দৈনিক ভাতা বলিতে র দপ্তর হইতে অনুপস্থিতিকাল সময়ের দৈনন্দিন সাধারণ ব্যয় মিটানাের জন্য এতদিন অনুপস্থিতির জন্য প্রদত্ত ভাতাকে দৈনিক ভাতা বলে।
ভ্রমণ ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রযােজ্য শর্তসমূহ :
বিধি-৫৯। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিীয় খণ্ডের বিধি-৫৯ তে বর্ণিত আছে যে, বিধি-৪৭ ও ৫৭-তে যাহাই বর্ণিত থাকুক না কেন, সরকার নির্ধারিত কোন এলাকায় সমণের জন্য সাধারণ বা বিশেষ আদেশের দ্বারা পথ ভাড়া ভাতা অথবা দৈনিক ভাতার হার নির্ধারণ করিতে পারেন।
বিধি-৬০। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৬০ তে বর্ণিত আছে যে, এই বিধিসমূহের বিধানের অধীন ব্যতীত কোন প্রকার ভ্রমণ ভাতা প্রদান করা যাইবে না এবং এই বিধিসমূহের সুস্পষ্টভাবে উল্লিখিত থাকার ক্ষেত্র ছাড়া নিম্নবর্ণিত সুবিধা পাইবে না
(এ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যানবাহনের সুবিধা বা সরকারি ব্যয়ে যানবাহনের সুবিধা; অথবা |
(বি) তাহার নিজের ও পরিবারের ভ্রমণের অথবা ব্যক্তিগত মালামাল, যানবাহন ও যন্ত্রপাতি পরিবহনের প্রকৃত ব্যয় সরকারের নিকট হইতে আদায়ের সুবিধা। এই বিধিসমূহের বিধান অনুসারে প্রাপ্য ভ্রমণ ভাতার পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে।
বিধি-৬১। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৬১ তে বর্ণিত আছে যে, শ্রেণীভুক্ত কর্মচারী অপেক্ষা নিম্ন শ্রেণীভুক্ত কোন কর্মচারী উধ্বতন কর্তৃপক্ষের “ৰ আদেশের প্রেক্ষিতে প্রাপ্য নহে এমন কোন বিশেষ যানবাহনে ভ্রমণ করিলে এবং ইহার ব্যয় সাধারণ বিধি মােতাবেক তাহার প্রাপ্য দৈনিক ভাতা ও পথ ভাড়া ভাতার বেশি হইলে, তিনি উক্ত প্রাপ্য দৈনিক ভাতা বা পথ ভাড়া ভাতার পরিবর্তে প্রকৃত ভাতা পাইবেন। প্রকত ব্যয়ের উক্ত বিলে উধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত ও রা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত এই মর্মে এ্যয়ন পত্র সংযুক্ত করিতে হইবে যে, বিশেষ যান ব্যবহার অপরিহার্য ছিল এবং এই অবস্থা বর্ণনা করিতে হইবে।
দৈনিক ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রযােজ্য শর্তসমূহ :
বিধি-৭০। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৭০ তে বর্ণিত আছে যে, করে সদর দপ্তর সইতে অনুপস্থিত না থাকিলে দৈনিক ভাতা গ্রহণ করা যাইবে না। সদর দপ্তর ত্যাগের প্রকত সময় হইতে অনুপস্থিতিকাল আরম্ভ হয় এবং যে স্থানে সদর দপ্তর অবস্থিত উক্ত স্থানে যে সময় প্রত্যাবর্তন করেন, উক্ত সময়ে অনুপস্থিতকাল শেষ হয়, এই ক্ষেত্রে তিনি অবস্থান করেন কিনা তা বিবেচ্য নহে।
বিধি-৭১। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৭১ তে বর্ণিত আছে যে, সদর দপ্তর হইতে পাঁচ মাইল (৮.০৫ কি: মি:) ব্যাসার্ধকে (Radious of Five Miles) অতিক্রম পূর্বক কোন একটি স্থানে না পৌছাইলে অথবা উক্ত স্থান হইতে সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তন না করিলে, যদিও ভ্রমণকৃত দূরত্ব পাঁচ মাইলের বেশী হয়, তবুও ঐ দিনের জন্য দৈনিক ভাতা পাইবে না।
বিধি-৭২। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৭২ তে বর্ণিত আছে যে, বিধি-৭৩ ও বিধি-৭৪ এর বিধঅন সাপেক্ষে ভ্রমণের সময়ে অবস্থানের জন্য অথবা ভ্রমণকালে ছুটির দিনের জন্য দৈনিক ভাতা পাইবে। তবে ভ্রমণকালে কোন নৈমিত্তিক ছুটির জন্য দৈনিক ভাতা পাইবে না।
বিধি-৭৩। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, দ্বিতীয় খণ্ডের বিধি-৭৩ তে বর্ণিত আছে যে, কোন এক স্থানে অবস্থানের মেয়াদ একাধিক্রমে দশ দিনের অধিক হইলে দৈনিক ভাতা উত্তোলন করা যাইবে না। তবে
(এ) এই মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায় যে উক্ত দীর্ঘ অবস্থান জনস্বার্থে প্রয়ােজন ছিল, এবং
(বি) ক্যাম্পের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উক্ত অবস্থান প্রয়ােজনীয় ছিল অথবা যে ক্ষেত্রে ক্যাম্প যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না, সে ক্ষেত্রে দশ দিনের পরেও অবস্থান করা হইলে সরকারী কর্মচারীর উক্ত অবস্থানের কারণে অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের জন্য, যথাযথ বলিয়া বিবেচনা করিলে(১) বিভাগীয় প্রধান নিজের ক্ষেত্র ছাড়া ত্রিশ দিন অবস্থান কাল পর্যন্ত; এবং
(২) সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে অথবা উক্ত সীমার অতিরিক্ত মেয়াদের ক্ষেত্রে এই বিধির বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
ভ্রমণভাতা ও দৈনিক ভাতা বলতে যা বুঝায় এবং এসব ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রযােজ্য শর্তাবলি: ডাউনলোড