যেভাবে ভূমি ক্রয়ের জন্য সরকারি গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহন করা যাবে।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালার অধীনে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন কর্তৃক ঋন বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ইমেইলে উত্তর দেখুন এবং চাইলে হেল্প লাইনে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারেন:

  • প্রস্তাবিত ভূমি বা ফ্ল্যাট  ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা হবে।
  • বিস্তারিত জানতে কল করুন : ০২-৯৫৬১৩৮০  অথবা ই-মেইল : helpdesk@bhbfc.gov.bd
  • সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের জন্য নিম্নবর্ণিত নিয়মাবলী অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে।

গৃহ নির্মাণ লোন প্রাপ্তি শর্তাবলী:

১। গৃহ নির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণের জন্য আবেদনকারী সরকারি কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ী হতে হবে;
২। গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রাপ্তির জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) বছর;
৩। কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না;
৪। সরকারি চাকুরীতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোন কর্মচারী এই নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না;


৫। ঋণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত ভূমি বা ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে;
৬। আবেদনকারীকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশা এবং বিধি মোতাবেক বাড়ি নির্মাণ করতে হবে;
৭। ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ তৈরি (Ready) ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ প্রদান করা হবে;
৮। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি হিসাব থাকতে হবে। উক্ত হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন/ভাতা/পেনশন এবং গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায় সংক্রান্ত সমুদয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে;
৯। স্বামী ও স্ত্রী একটি জমির মালিক হলে একক ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। একাধিক মালিক হলে গ্রুপ ঋণ হবে। গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ১জন সরকারি কর্মচারী হলে শুধু তিনি সরকারি কর্মচারী ঋণ পাবেন। গ্রুপের অন্যান্য পক্ষ কর্পোরেশনের প্রচলিত ঋণ পাবেন। গ্রুপের সকল পক্ষের ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত দলিলপত্র ফেরত দেয়া হবে না।

সরকারী কর্মচারীদের জন্য গৃহঋণের আবেদন ফরমের সাথে যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তার তালিকা নীচে উল্লেখ করা হলো। তবে বলে রাখা ভাল যাদের ইএফটিতে বেতন হয় তারাই কেবল গৃহ নির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন।

বাড়ি নির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রে

প্রাইভেট প্লটের ক্ষেত্রেঃ ১. জমির মূল মালিকানা দলিল; ২. এস.এ./আর.এস. রেকর্ডিয় মালিক থেকে মালিকানা স্বত্বের প্রয়োজনীয় ধারাবাহিক দলিল; ৩. সি.এস, এস.এ, আর.এস, বি.এস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি জরিপ খতিয়ানের জাবেদা নকল; ৪. জেলা/সাব রেজিষ্ট্রী অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এন.ই.সি)।

সরকারী প্লটের ক্ষেত্রেঃ ১. প্লটের বরাদ্দ পত্র; ২. দখলহস্তান্তর পত্র; ৩. মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ৪. লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র।

গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে:
১) ফ্ল্যাট বন্টনের রেজিস্ট্রিকৃত শরিকানা চুক্তিপত্র দলিল।

অন্যান্য কাগজপত্রঃ
১. নামজারী খতিয়ানের জাবেদা নকল, ডি.সি.আর, হাল সনের খাজনা রশিদ;
২. অনুমোদন পত্রসহ অনুমোদিত নকশা;
৩. প্লটের সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট;
৪. ইমারতের কাঠামো নকশা ও ভারবহন সনদ {৬ (ছয়) তলা পর্যন্ত ভবনের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের নির্ধারিত ছক মোতাবেক কমপক্ষে ৫ বছরের এবং ৭ (সাত) ও তদুর্ধ তলা ভবনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নির্মাণ ও ডিজাইন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/প্রকৌশল পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ভারবহন সনদ, সনদ প্রধানকারী প্রকৌশলীকে অবশ্যই ইনষ্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে};
৫. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, বেতন সনদ পত্র, সত্যায়িত ছবি ও স্বাক্ষর;
৬. নকশা মোতাবেক বাড়ী নির্মাণ ও অন্য কোন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নাই মর্মে ষ্ট্যাম্প পেপারে ঘোষনাপত্র।

ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণের ক্ষেত্রে

প্রাইভেট প্লটের ক্ষেত্রেঃ
১. জমির মূল মালিকানা দলিল;

২. এস.এ./আর.এস. রেকর্ডিয় মালিক থেকে মালিকানা স্বত্বের প্রয়োজনীয় ধারাবাহিক দলিল;
৩. সি.এস, এস.এ, আর.এস, বি.এস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি জরিপ খতিয়ানের জাবেদা নকল;
৪. জেলা/সাব রেজিষ্ট্রী অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এন.ই.সি);
৫. ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি;
৬. ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূর্বে)।

সরকারি/লীজ প্রাপ্ত প্লটের ক্ষেত্রেঃ
১. প্লটের বরাদ্দ পত্রে ফটোকপি;
২. দখল হস্তান্তর পত্রের ফটোকপি;
৩. মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিলের ফটোকপি;
৪. লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র;
৫. ফ্ল্যাট ক্রয়ের রেজিস্ট্রিকৃত বায়না চুক্তি;
৬. ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র;
৭. ফ্ল্যাটের মালিকানা দলিল (বন্ধক প্রদানের পূর্বে)।

অন্যান্য কাগজপত্রঃ
১. নামজারী খতিয়ানের জাবেদা নকল, ডি.সি.আর, হাল সনের খাজনা রশিদ;
২. জমির মালিক কর্তৃক ডেভেলপারকে প্রদত্ত রেজিস্ট্রিকৃত আম মোক্তার নামা দলিল;
৩. জমির মালিক এবং ডেভেলপার এর সাথে রেজিস্ট্রিকৃত ফ্ল্যাট বন্টনের চুক্তিপত্র;
৪. অনুমোদন পত্রসহ অনুমোদিত নকশার ফটোকপি;
৫. প্লটের সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট এর ফটোকপি;
৬. ইমারতের কাঠামো নকশার ফটোকপি ও ভারবহন সনদ {৬ (ছয়) তলা পর্যন্ত ভবনের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের নির্ধারিত ছক মোতাবেক কমপক্ষে ৫ বছরের এবং ৭ (সাত) ও তদুর্ধ তলা ভবনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নির্মাণ ও ডিজাইন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/প্রকৌশল পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ভারবহন সনদ, সনদ প্রদানকারী প্রকৌশলীকে অবশ্যই ইনষ্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে};
৭. ডেভেলপার কোম্পানীর সংঘ স্বারক, সংঘবিধি ও রিহ্যাব এর নিবন্ধন সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি;
৮. ডিজাইন মোতাবেক কাজ করার ব্যাপারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত আন্ডারটেকিং;
৯. অন্য কোন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নাই মর্মে ডেভেলপার কর্তৃক ষ্ট্যাম্প পেপারে ঘোষনাপত্র;
১০. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, বেতন সনদ পত্র, সত্যায়িত ছবি ও স্বাক্ষর।

ভূমি ক্রয়ের জন্য সরকারি গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহনের আবেদন ফরমের জন্য লিংক ভিজিট করুন: ক্লিক করুন

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2984 posts and counting. See all posts by admin

2 thoughts on “যেভাবে ভূমি ক্রয়ের জন্য সরকারি গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহন করা যাবে।

  • আমি একজন সরকারি কর্মচারী ।আমি কিভাবে জমি ক্রয়ের জন্য লোন পেতে পারি। জমি ক্রয়ের লোন সম্পর্কিত কোন তথ্য আছে কিনা জানতে চাই।
    এই বিষয় নিয়ে আমাকে কি কোন রকম সহযোগিতা করতে পারেন।

  • জমি ক্রয়ের জন্য লোন নাই। জমি সহ ফ্ল্যাট ক্রয়ের লোন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *