স্ত্রী যদি আপনার বাড়িতে না থাকে এবং বাপের বাড়ী চলে যায় অর্থাৎ স্ত্রী দীর্ঘ দিন স্বামীর বাড়ীতে না ফিরলে বা তাল বাহানা করলে এবং কাল ক্ষেপন করে ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে বা নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে স্বামীকে সহ স্বামীর বাবা মা ভাই বোন আত্মীয় স্বজনকে ফাঁসাতে পারে তাহলে তা থেকে আইনগতভাবে রক্ষা পাবেন। নিচের ধারায় মামলা করলেই…..
আপনার স্ত্রীকে অবৈধভাবে বা জোরপূর্বক স্ত্রীর পরিবার সহ যে কেউ আটক রাখলে ১০০ ধারায় মামলা দায়ের করে আইনগতভাবে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
আইনের ধারা: ফৌজদারী কাযর্বিধির ১০০ ধারা। মামলাটি একটি ক্ষুদ্র মোকদ্দমা যা ৩/৪টি ধার্য তারিখে বা ৩-৬ মাসের মধ্যেই নিস্পত্তি হয়। এখানে স্ত্রী বা ভিকটিম তার জবান বন্দিতে স্বেচ্ছায় এবং বিনা বাধায় ভাইয়ের বাড়ীতে অবস্থানের বিষয়টি আদালতের নিকট স্বীকার করেছেন।
এই ধারায় মামলায় স্বামীর পক্ষে হইতে কিছু সুবিধা পাওয়া যাইবে। এই মামলায় যদি স্ত্রী স্বেচ্ছায় তার নিজ পিত্রালয়ে অবস্থানের বিষয়টি আদালতে নিকট স্বীকার করেন তাহলে-
ক) আবেদনটি নামঞ্জুর হইবে এবং আপনি আপনার স্ত্রীর দায় থেকে কিছুটা মুক্ত হবেন।
খ) এই মামলার দায়ের করার কারণে স্ত্রী পক্ষ বেকায়দায় পড়ে ক্ষেপে যায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিতে পারেনা বিধায় যৌতুক আইনে মামলা করে।
গ) ‘স্বেচ্ছায়’ এই শব্দটির জন্য বা স্বেচ্ছায় পিত্রালয়ে অবস্থানের কারনে স্বামী স্ত্রীর দায় হতে আইনগতভাবে মুক্ত। পরবর্তীতে দেনমোহর খোরেপাষ মামলা করলে স্বেচ্ছায় শব্দটির কারনে খোরপোষ দিতে হয় না। শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় শব্দটির কারনে আইনগতভাবে অনেক সুবিধা পাইবেন।
(উল্লেখ্য মামলায় শুনানীর দিন আইনজিবী স্ত্রীর নিকট থকে স্বীকারোক্তী করে নেয় আপনি আপনার স্ত্রী পিত্রালয়ে স্বেচ্ছায় নাকি জোর পূবর্ক আটক রাখা হইয়াছে)
গ) যদি আপনার স্ত্রীকে জোর করে তার পরিবার আটক রাখে তাহলে আদালত আপনার আবদনটি মঞ্জুর করবেন এবং স্ত্রীকে আপনার কাছে ফিরিয়ে দিবেন এবং স্ত্রীর পরিবার অবৈধভাবে আটক রাখার দায়ে দন্ড /শাস্তি পাবেন।