নিয়োগ । বদলি । পদোন্নতি । জ্যেষ্ঠতা

১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিামলা । ৪র্থ শ্রেণী হতে ৩য় শ্রেণীর পদে পদোন্নতির বিধিমালা ১৯৯৩

সকল মন্ত্রণালয় বা দপ্তর, অধিদপ্তরের ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারীদের পদোন্নতির বিধান রয়েছে। তবে ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালায় অবশ্যই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে হইবে। 

রবিবার, জুলাই ১৭, ১৯৯৪

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়

প্রশাসন শাখা-১

প্রজ্ঞাপন

তারিখ: ১৪ জুলাই, ১৯৯৪/৩০ আষাঢ়, ১৪০১ বাং

এস,আর,ও নং -২৪৩-আইন/৯৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি, উক্ত সংবিধানের ১৪০ (২) অনুচ্ছেদের বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয় বিধিমালা বাতিলক্রমে নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন, যথা:

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম:

এই বিধিমালা নিম্নমান সহকারী-তথা-মুদ্রাক্ষরিক, প্লেই পেপার কপিয়ার, ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর, ডেসপাস রাইডার, দপ্তরী ও এম,এলএস,এস (মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংযুক্ত অধিদপ্তর) বিধিমালা, ১৯৯৩ নামে অভিহিত হইবে।

২। সংজ্ঞা:

বিষয় কিংবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়-

(ক) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন;

(খ) “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত তফসিল;

(গ) “নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ” অর্থ সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা;

(ঘ) “পদ” অর্থ তফসিলে উল্লেখিত কোন পদ;

(ঙ) “প্রয়োজনীয় যোগ্যতা” অর্থ সংশ্লিষ্ট পদের জন্য তফসিলে উল্লেখিত যোগ্যতা;

(চ) “শিক্ষানবিশ” অর্থ কোন পদে শিক্ষানবীশ হিসাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;

(ছ) “স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃতপ্রাপ্ত বোড” অর্থ আপাতত বলবৎ কোন আইনের দ্বারা বা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড বুঝাইবে এবং এই বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বলিয়া ঘোষিত অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে।

৩। নিয়োগ পদ্ধতি:

(১) তফসিলে বর্ণিত বিধানসাপেক্ষে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯ (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী সাপেক্ষে কোন পদে নিম্ন বিধৃত পদ্ধতিতে নিয়োগ দান করা হইবে-

(ক) সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে;

(খ) পদোন্নতির মাধ্যমে;

(গ) প্রেষনে বদলীর মাধ্যম্

(২) কোন ব্যক্তিকে কোন পদে নিয়োগ করা হইবে না যদি তজ্জন্য তাঁহার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকে এবং সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহার বয়স উক্ত পদের জন্য তফসিলে বর্ণিত বয়সসীমার মধ্যে না হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে কোন পদে এডহক ভিত্তিতে ইতিপূর্বে নিয়োগ করা হইয়া থাকিলে, উক্ত পদে অব্যাহতভাবে নিযুক্ত থাকাকালীন কার্যকালের জন্য তাহার সর্বোচ্চ বয়সসীমা শিথিল করা যাইতে পারে।

৪। সরাসরি নিয়োগ:

(১) কমিশনের সুপারিশ ব্যতিরেকে কমিশনের আওতাভূক্ত কোন পদে কোন ব্যক্তি সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না।

(২) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ ব্যতিরেকে কমিশনের আওতা বর্হিভূত কোন পদে সরাসরি নিয়োগ করা চলিবে না।

(৩) কোন পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য কোন ব্যক্তি যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না, যদি তিনি-

(ক) বাংলাদেশের নাগরিক না হন, অথবা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন, অথবা বাংলাদেশের ডমিসাইল না হন;

(খ) এমন কোন ব্যক্তিকে বিবাহ করেন অথবা বিবাহ করিবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নহেন;

(৪) কোন পদে সরাসরি নিয়োগ করা হইবে না, যদি-

(ক) নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তৎকর্তৃক মনোনীত কোন মেডিকেল অফিসার এই মর্মে প্রত্যয়ন না করেন যে, উক্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যগতভাবে অনুরূপ পদে নিয়োগযোগ্য এবং তিনি এইরূপ কোন দৈহিক বৈকল্যে ভূগিতেছেন না, যাহা সংশ্লিষ্ট পদের দায়িত্ব পালনে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করিতে পারে; এবং

(খ) এইরূপ বাছাইকৃত ব্যক্তির পূর্ব কার্যকলাপ যথাযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত না হইয়া থাকে ও তদন্তের ফলে দেখা না যায় যে, প্রজ্ঞাতন্ত্রের চাকুরীতে নিযুক্তির জন্য তিনি অনুপযুক্ত নহেন।

(৫) কোন ব্যক্তিকে কোন পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হইবে না, যদি তিনি-

(ক) উক্ত পদের জন্য কমিশন কর্তৃক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরখাস্ত আহবানের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ফি সহ যথাযথ ফরমে ও নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে দরখাস্ত দাখিল না করেন;

(খ) সরকারি চাকুরি কিংবা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকাকালে স্বীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল না করেন।

৫। পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ:

(১) এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট বাছাই/ নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে।

(২) যদি কোন ব্যক্তির চাকুরী বৃত্তান্ত সন্তোষজনক না হয় তাহা হইলে তিনি কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।

৬। শিক্ষানবীশী:

(১) স্থায়ী শুন্যপদের বিপরীতে কোন পদে নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তিকে শিক্ষানবীশী স্তরে-

(ক) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, বাস্তব নিয়োগের তারিখ হইতে দুই বৎসরের জন্য; এবং

(খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে , এইরূপ নিয়োগের তারিখ হইতে এক বৎসরের জন্য নিয়োগ করা হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শিক্ষানবীশীর মেয়াদ এইরূপ সম্প্রসারণ করিতে পারেন যাহাতে বর্ধিত মেয়াদ সর্বসাকুল্যে দুই বৎসরের অধিক না হয়।

(২) যে ক্ষেত্রে কোন শিক্ষানবীশের শিক্ষানবীশীর মেয়াদ চলাকালে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, তাহার আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক নহে, কিংবা তাহার কর্মদক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নাই সেইক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ-

(ক) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, শিক্ষানবীশের চাকুরীর অবসান ঘটাইতে পারিবেন;

(খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।

(৩) শিক্ষানবীশীর মেয়াদ, বর্ধিত মেয়াদ থাকিলে তাহা সহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ-

(ক) যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শিক্ষানবীশীর মেয়াদ চলাকালে কোন শিক্ষানবীশের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক, তাহা হইলে (৪) উপ-বিধির বিধানসাপেক্ষে, তাহাকে চাকুরীতে স্থায়ী করিবেন, এবং

(অ) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, তাহার চাকুরীর অবসান ঘটাইতে পারিবেন; এবং

(আ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি দেওয়া হইয়াছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।

(৪) কোন শিক্ষানবীশকে কোন র্দিিষ্ট পদে স্থায়ী করা হইবে না যতক্ষণ না সরকারি আদেশবলে সময়ে সময়ে যে পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি পাস করেন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

পদোন্নতি সিডিউল দেখুন । যে বিধি সকল দপ্তরের জন্য কার্যকর

(মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংযুক্ত অধিদপ্তর) বিধিমালা, ১৯৯৩।_Page_4

এম,এল,এস,এস (এম, এল,এস, এস এর পরিবর্তিত নাম ) পদে ০৩ (তিন) বৎসরের চাকুরী প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে দপ্তরী পদে পদোন্নতি নিতে পারিবেন। 

নিম্নমান সহকারী তখা মুদ্রাক্ষরিক, প্লেইন পেপার কপিয়ার, ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর, ডেসপাস রাইডার, দপ্তরী ও এম,এল,এস,এস, (মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংযুক্ত অধিদপ্তর) বিধিমালা, ১৯৯৩: ডাউনলোড

কমন নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

7 thoughts on “১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিামলা । ৪র্থ শ্রেণী হতে ৩য় শ্রেণীর পদে পদোন্নতির বিধিমালা ১৯৯৩

  • নৈশপ্রহরি কি সাপ্তহিক ছুটি পাবে না।

  • অবশ্যই পাবেন।

  • ব্লক পোস্টের অভিশাপের হাত থেকে কি কোন রেহাই পাওয়া যাবে না

  • নিবন্ধন অধিদপ্তর এর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদোন্নতি , সার্ভিস রোল কিভাবে পাবো ,, ইতিমধ্যে অত্র অধিদপ্তর এর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বেশ কয়জন পদোন্নতি দিয়েছে ,সে ক্ষেত্রে আরো যোগ্যতা সম্পন্ন ৪র্থ শ্রেণী র্কমচারি আছে ,এদের পদোন্নতি সঠিক তথ্য কিভাবে পাবো ,,বা পরামর্শ চাই ,,

  • নিবন্ধন অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা দেখুন। দপ্তরেই আছে অথবা অনলাইনেও পেতে পারেন।

  • নিবন্ধন অধিদপ্তরের কোন কার্যালয় নিয়োগ বিধি বইটি পাওয়া যাচ্ছে না ,কিংবা অজ্ঞাত কারণে দেওয়া হচ্ছে না, অনলাইনেও সার্চ করে পাচ্ছি না, অতএব শিক্ষকতা যোগ্যতা থাকার পরও সরকারি এই আদেশের প্রেক্ষিতে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না, সুতরাং সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা, করি,

  • নিবন্ধন অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা ১৯৭৯ দপ্তর হতে সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনে সবই এখনও পাওয়া যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *