অর্থ বিভাগের স্মারক নং F/IU-18/68-1, তারিখ: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ অনুযায়ী ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক পেনশনযোগ্য চাকরির ক্ষেত্রে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত ঘাটতিকাল প্রমার্জিত বলিয়া গণ্য হইবে। তবে গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪ এর ৯ ধারার (১) উপধারার অধীনে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে এই প্রমার্জনের সুবিধা প্রাপ্য নয়।
অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের প্রবিধি শাখা-১ প্রজ্ঞাপন নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ: ১৪-১০-২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ/২৯-৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ অনুযায়ী বর্তমানে পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ (পাঁচ) বৎসর।
এই পাঁচ বৎসর পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকিলে তাহা বর্তমানে প্রমার্জন বা মওকুফের কোন সুযোগ নাই। যাহার কারণে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস এর পার্ট-১ এর বিধি-৩০৫ এর প্রমার্জন সংক্রান্ত বিধান এবং বিএসআর, পার্ট-১ এর Appendix No. ১৪ তে সন্নিবেশিত স্মারক নং ঝ/ওট-১২/৬৬/৯৩, তারিখ: ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬ এর অনুচ্ছেদ-৭(২) অনুযায়ী পেনশনযোগ্য চাকরিতে ঘাটতিকাল প্রমার্জনের যে বিধান ছিল উহাও কার্যকর নাই।
বর্তমানে পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ হইলে পেনশন প্রাপ্তির অধিকার জন্মায়। বৎসরের ভগ্নাংশ পেনশন গণনায় ধরা হয় না। তবে পেনশনযোগ্য চাকরিকাল পাঁচ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর অতিরিক্ত একটি বৎসর পূর্ণ হইতে কোন ঘাটতি থাকিলে সে ঘাটতি সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত প্রমার্জিত হিসাবে গণ্য হয়। এই প্রসংগে অর্থ বিভাগের স্মারক নং F/IU-18/68-1, তারিখ: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ অনুযায়ী ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক পেনশনযোগ্য চাকরির ক্ষেত্রে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত ঘাটতিকাল প্রমার্জিত বলিয়া গণ্য হইবে। তবে গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪ এর ৯ ধারার (১) উপধারার অধীনে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণের ক্ষেত্রে এই প্রমার্জনের সুবিধা প্রাপ্য নয়।
উদাহরন:
১। কোন কর্মচারীর পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ২৪ বৎসর ৬ মাস হইলে অবশিষ্ট ৬ মাস প্রমার্জিত হিসাবে গণ্য হইয়া তাঁহার পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ২৫ বৎসর।
২। কোন কর্মচারী পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ মাস ২৯ দিন হইলে অবশিষ্ট ৬ মাস ১ দিন প্রমার্জনের কোন সুযোগ নাই। এইক্ষেত্রে পেনশনের জন্য তাহার চাকরিকাল ২৪ বৎসর গণনা করিতে হইবে। অর্থাৎ ২৪ বৎসর চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতেই পেনশন টেবিলে বর্ণিত হারে পেনশন প্রদেয় হইবে।
পেনশন যোগ্য চাকরিতে ঘাটতি প্রমার্জন/ মওকুফ এর বিধান : ডাউনলোড
গণকর্মচারী (অবসর) আইন, ১৯৭৪ এর ধারা সংশোধনী আইন ২০১০ (প্রজ্ঞাপন)