গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৮৭(১) অনুযায়ী প্রত্যেক অর্থ বৎসর সম্পর্কে উক্ত বৎসরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয় সংবলিত একটি বিবৃত্তি (এই ভাগে “বার্ষিক আর্থিক বিবৃত্তি” নামে অভিহিত) সংসদে উপস্থাপিত হইবে। ইহাই বাজেট নামে অভিহিত।
জেনারেল ফাইন্যানসিয়াল রুলস, এর রুল-৬৭ তে বলা আছে যে, চারটি প্রতিলিপিতে প্রাক্কলন প্রস্তুত করিতে হইবে। একটি প্রতিলিপি মূল দফতরে সংরক্ষণের জন্য রাখা হইবে। বাকিগুলি একযোগে (১) সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অীফস (২) অর্থ বিভাগ এবং (৩) সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগে পাঠাইতে হইবে। যেক্ষেত্রে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বয়ং প্রাক্কলন প্রস্তুতের দায়িত্বে নিয়োজিত, সেক্ষেত্রে মাত্র তিনটি প্রতিলিপির আবশ্যই হইবে। একটি প্রতিলিপি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সংরক্ষণের জন্য রাখা হইবে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রতিলিপি যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অর্থ বিভাগে পাঠাইতে হইবে।
জেনারেল ফাইন্যান্সসিয়াল রুলস-এর রুল ৮৭ তে বর্ণিত আছে যে, বার্ষিক উন্নয়ণ কর্মসূচী প্রণয়ন সকল মন্ত্রণালয় বিশেষশত নির্বাহী এজেন্সিসমূহের সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল। উন্নয়ন কর্মসূচী দ্বারা কি অর্জনের অভিপ্রায় সে সম্পর্কে জড়িত প্রত্যেককেই সচেতন হইতে হইবে এবং কিভাবে সেই লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া যায় সে সম্পর্কে অবগত হইতে হইবে। প্রতি বৎসর পরিকল্পনা কমিশন প্রস্তাবিত এবং সংশোধিত বার্ষিক কর্মসূচী প্রণয়নের নির্দেশিকা জারী করে।
দাপ্তরিক বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতি
অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক বৎসরের বাজেট প্রণয়ন করিয়া থাকে সেহেতু প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যাহার উপর ভিত্তি করিয়া অর্থ মন্ত্রণারয় আর্থিক বৎসরের বাজেট প্রস্তুত করে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এই সব তথ্য উপাত্ত এবং উপাদানসমূহের জন্য রাজস্ব আদায় এবং ব্যয় নির্বাহকারী অধীনস্ত অফিসসমূহের স্থানীয় কর্মকর্তাগণের উপর নির্ভর করিয়া থাকে।
বাজেট প্রণয়নের সকল কার্য সমাধানের নিমিত্ত অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১ আগস্টের মধ্যে বাজেট ফরম প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে ফরমে উল্লিখিত তথ্যাদি সরবরাহের জন্য প্রেরণ করে।
বিগত অর্থ বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরীক্ষে আগামী আর্থিক বৎসরের জন্য সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের হিসাব প্রস্তুত করত: চলতি আর্থিক বৎসরের তিন মাসের প্রকৃত খরচসহ (Actual Expenditure) প্রস্তুতকৃত হিসাব অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে অধীনস্থ অফিসসমূহ হইতে মন্ত্রণালয় পৌছাতেই হইবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় হইতে প্রাপ্ত প্রাক্কলন নভেম্বর মাস হইতে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ আরম্ভ করে। জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সকল কার্যাদি সম্পন্ন করিয়া মার্চ মাসে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সহিত আলোচনা করত: তাহাদের মতামত বিবেচনাপূর্বক সংশোধন ও বাজেট হিসাবের প্রাথমিক কাজ চূড়ান্ত করে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখের মধ্যে আগামী আর্থিক বৎসরের বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করিবার নিমিত্ত নতুন ব্যয়ের প্রস্তাব পেশ করে এবং পরবর্তী পর্যায়ে আগামী আর্থিক বৎসরের বাজেটে কি কি নতুন ব্যয় বরাদ্দের সংস্থান করার যায় সরকার তাহা স্থির করেন।
বাজেট কি? দাপ্তরিক বাজেট প্রণয়নের পদ্ধতি: ডাউনলোড