‘বার্ষিক প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় প্রতিবছর যে এ, সি, আর, দেওয়া হয়। আর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় বছরের ভাঙ্গা অংশের কয়েক মাসের সি, আর দেওয়া। অথবা কয়েক বছরের এ, সি, আর এক সঙ্গে একই তারিখের সাক্ষরে দেওয়া। সুতরাং বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হলে অফিসের নামের নিচে গত ১ বছরের প্রথম তারিখ এবং শেষ তারিখ লেখতে হবে। আর বিশেষ প্রতিবেদন হলে প্রকৃত তারিখ লেখতে হবে।
১। এ,সি, আর মানে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন। প্রতিবছর জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দপ্তর প্রধান তার অধিনস্ত কর্মচারীদের গত বছরের এ,সি আর দিবেন। প্রতি বছরের এ, সি, আর প্রতি বছরই দিতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ক্রমেই তা ফেলে রাখা যাবে না। লক্ষ্য করা গেছে যে, দক্ষতা সীমা, টাইমস্কেল কিংবা পদোন্নতির জন্য কর্মচারীর ৩ বছরের বা ৫ বছরের এ, সি, আর চাওয়া হলে একই সঙ্গে ৩ /৫ বছরের এ, সি আর তৈরি করে জমা দেওয়া হয়। অর্থাৎ ঐ বছর গুলিতে সময়মত তাদের এ, সি, আর দেওয়া হয়নি। এই চর্চা পরিহার করতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত এ, সি, আর না দিলে দপ্তর প্রধান দায়ী থাকবেন।
২। প্রতি কর্মচারীর জন্য ২ কপি করে এ, সি, আর ফরম দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্পূর্ণ নিজ হাতে পূরণ করে দপ্তর প্রধানের নিকট গোপনে জমা দিবেন।
৩। এ, সি আর ফরমে প্রত্যেকটি কলাম যথাযথ ভাবে পূরন করতে হবে। কোনো কলাম ফাকা রাখা যাবে না। কিছু লেখার না থাকলে ‘প্রযোজ্য নয়’ কথাটি লেখতে হবে।
৪। এ, সি, আর অত্যন্ত গোপনীয় জিনিস। সুতরাং তা গোপন রাখতে হবে এবং অন্যের হাতে না দিয়ে নিজ হাতে সদর দপ্তরে পৌছাতে হবে। কি এ, সি আর দেওয়া হয়েছে তা কর্মচারীদেরকে জানানো যাবে না।
৫। দপ্তর প্রধানের অধিনে কোনো সহকারী শিক্ষক ৩ মাসের অধিক চাকুরী করলে তার পুরো বছরের এ, সি আর দেওয়া যাবে।
৬। প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহনের পর ১ বছর পর্যন্ত অধিনস্থ শিক্ষকগনের পূর্বে বছর গুলোর এ সি আর দিতে পারবেন।
৭। এ সি আর ফরমের ২ নং পাতায় ‘ফরম পুরনের নির্দেশাবলী’ এর ১ (ক) (খ) (গ) এবং ২ (ক) (খ) (গ) বিশেষ ভাবে পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।
৮। এ, সি আর ফরম কখনো ভাজ করা যাবে না।আস্ত অবস্থায় প্যাকেট করে জমা দিতে হবে।
৯। এ, সি, আর ফরমের উপরে ‘অফিসের নাম’ এর জায়গায় দপ্তরের নাম লেখতে হবে।
১০। ‘বার্ষিক প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় প্রতিবছর যে এ, সি, আর, দেওয়া হয়। আর ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ বলতে বুঝায় বছরের ভাঙ্গা অংশের কয়েক মাসের সি, আর দেওয়া। অথবা কয়েক বছরের এ, সি, আর এক সঙ্গে একই তারিখের সাক্ষরে দেওয়া। সুতরাং বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হলে অফিসের নামের নিচে গত ১ বছরের প্রথম তারিখ এবং শেষ তারিখ লেখতে হবে। আর বিশেষ প্রতিবেদন হলে প্রকৃত তারিখ লেখতে হবে।
১১। এ,সি,আর ফরমের ‘অ’ অংশের ৫ (খ) কলাম শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ৯ নং কলাম হবে সি, এন, এড, অথবা বি, এড অথবা যে কোন পদোন্নতি পরীক্ষায় পাশের জন্য এবং বিশেষ কনো ট্রেনিং এর জন্য। ১০ নং কলামে ‘চাকুরির সঠিক মেয়াদ’ বলতে বুঝায় কর্মচারীর ঐ বছরের যে তারিখ থেকে যে তারিখ পর্যন্ত দপ্তর প্রধানের অধীনে ছিলেন।
১২।ফরমের ‘আ’ অংশের ১৬,১৭,১৮,১৯ নং কলামে দপ্তর প্রধান কিছু লেখতে চাইলে তা লেখতে পারবেন।
১৩। ফরমের ২ নং পাতায় ‘ই’ অংশের ১ ও ২ অনুচ্ছেদ পূরণ করার আগে পূর্বের পাতায় ‘আ’ অংশের যে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। কারন ঐ অংশের মূল্যায়নের সঙ্গে এই অংশের মূল্যায়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
১৪। সর্বোপরি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে, এ সি আর দেওয়া একটি পবিত্র দায়িত্ব। সুতরাং অন্যায় ভাবে কারও ভাল এ, সি, আর দেওয়া কিংবা খারাপ এ, সি আর, দেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যিনি এমনটি করবেন তিনি সরকার, দেশ, জাতি এবং স্রষ্টার নিকট দায়ী থাকবেন।
আরও দেখুন:
- বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা ACR খারাপ বা বিরুপ মন্তব্য দিলে কি হয়।
- কর্মকর্তাদের ACR তৈরিতে ওয়েবসাইটের PDF ব্যবহার করা যাবে।
- এ, সি, আর ফর্ম পূরনের নিয়মাবলী।
- এসিআর লেখার নিয়ম।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ব্যতীত ১ম শ্রেনীর কর্মকর্তার এসিআর গ্রহণযোগ্য নয়।
- যথাসময়ে এসিআর উপস্থাপন প্রসঙ্গে।
- এসিআর বিধিমালা।
- একান্ত সচিব/ব্যক্তিগত সহকারী ACR এ প্রতিস্বাক্ষর লাগিবে না।
- কর্মচারীদের ACR Form ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফরমেট।
- বছরের যে সময়ের মধ্যে এসিআর দাখিল করতে হয়।
- কোন দপ্তরে ০৩ মাসের অধিক কাজ করলেই আংশিক এসিআর লাগবে।
- নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা অবসরে গেলেও এসিআর প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।