বেশ কিছু দিন ধরেই এমন এক বড়সড় মানববন্ধন করার আয়োজন করে আসছিল ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম। তারই ফলশ্রুতিতে আজ ০২/০৭/২০২০ খ্রি: তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে কর্মচারীরা জমায়েত হতে থাকে।
ইতোপূর্বে ৮ দফা দাবি আদায়ে সরকারি কর্মচারীগণ এত বিশাল মানব বন্ধন করেনি। শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে শুরু করে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে তারা। তাদের আন্দোলন যে, ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠা সংগঠনগুলো তারই প্রমান রেখেছে আজ।
বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিসহ অনেকেই তাদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেছে এবং আগামী ৭ মার্চ উত্থাপিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১। ২০১৫ সালে প্রদত্ত ৮ম পে-স্কেলের সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। (ILO চুক্তি অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করতে হবে)
২। এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। সকল পদে পদোন্নতি বা ০৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। (ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণ করতে হবে)
৪। টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুর্ন:বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।
৫। সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে।
৬। সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে।
৭। নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশন, শতভাগ পেনশন চালুসহ পেনশন গ্র্যাচুইটি হার এক টাকা সমান পাঁচশত টাকা করা
৮. কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেট একীভূত করা।
যানবাহন চলাচলে কোন রকম বিঘ্ন না ঘটিয়ে যে, এত বড় মানববন্ধব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা যায় তা সরকারি কর্মচারীগণ বুঝিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র: ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম