মহিলা চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে স্বামী ও সন্তানগণ এবং চাঁদাদাতার মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তানগণ। তবে শর্ত থাকে যে, চাঁদাদাতা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট ‘ লিখিত নােটিশের মাধ্যমে তাহার স্বামীকে পরিবার হইতে বিচ্ছিন্ন রাখিতে পারিবেন। এক্ষেত্রে উক্ত স্বামী তৎক্ষণাৎ পরিবার হইতে বিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবেন। যদি না চাঁদাদাতা লিখিত নােটিশের মাধ্যমে তাহাকে বিচ্ছিন্নকরণের উক্ত নােটিশ বাতিল করেন;
(২০ আগস্ট ১৯৭৯ তারিখের বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগ (বিধি সংযােজন সেল)
প্রজ্ঞাপন
ঢাকা, ৮ আগস্ট ১৯৭৯
নং-এমএফ(আরইউ)-১(৫)/৭৯/২৮- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৩ নং অনুচ্ছেদ -এ প্রদত্ত ক্ষমতার বলে এবং এই উদ্দেশ্যে প্রণীত অন্য সকল বিধিসমূহ বাতিলক্রমে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের রাষ্ট্রপতি বিভাগের (সাধারণ) ২০শে নভেম্বর, ১৯৭৯ তারিখের পিএস/ প্রশাঃ/ ৮(২৪)/ ২৮-১৫৬৯ নং প্রজ্ঞাপন -এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত হইয়া উপ-রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত বিধি জারি করেন, যথা:
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯
সংক্ষিপ্ত শিরােনাম ও প্রবর্তন: ১। ১) এই বিধিমালা সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ নামে অভিহিত হইবে। | ২) ইহা ১ জুলাই, ১৯৭৯ হইতে বলবৎ হইবে।
সংজ্ঞা
২। ১) বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কোনাে কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়
ক) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অর্থ এই উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃক নিয়ােগকৃত কর্মকর্তাকে বুঝাইবে;
খ) সন্তান বলিতে বৈধ সন্তান বুঝাইবে;
টীকা ১। দত্তক সন্তান তখনই সন্তান হিসাবে বিবেচিত হইবে যখন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অথবা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার মনে সন্দেহ উপস্থিত হইলে সরকারি সলিসিটর এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে পার্সোনাল ল অনুসারে চাঁদাদাতার গৃহীত দত্তক সন্তানকে প্রকৃত সন্তানের মর্যাদা দানের বৈধ স্বীকৃতি প্রদান করা হইয়াছে, অন্য কোনাে ক্ষেত্রে নহে;
২। ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা, ১৯৭৯ -এর উদ্দেশ্যে দত্তক সন্তান দত্তক গ্রহীতা পিতার সন্তান হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং তাহার প্রকৃত পিতার সন্তান ও নির্ভরশীল হওয়ার অবসান হইবে। যে ক্ষেত্রে একজন প্রকৃত পিতা তাহার সন্তানকে অন্য ব্যক্তির নিকট দত্তক প্রদান করেন, সেই ক্ষেত্রে যদি পার্সোনাল ল অনুসারে গৃহীত দত্তক সম্মানকে প্রকৃত সম্মানের মর্যাদা প্রদান করা হইয়া থাকে তাহা হইলে এই বিধামালার উদ্দেশ্যে উক্ত সন্তান প্রকৃত পিতার পরিবারের বহির্ভূত হইবে;
গ) পরিবার বলিতে বুঝাইবে
i) পুরুষ চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে চাঁদাদাতার স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তানগণ এবং চাঁদাদাতার মৃত পুত্রের স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তানগণ। তবে শর্ত থাকে যে চাঁদাদাতা যদি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, তাহার স্ত্রী আইনগতভাবে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত বা সামাজিক প্রথা অনুযায়ী খােরপােষ পাওয়ার অধিকারী নহেন তাহা হইলে তিনি আর এই বিধিমালার আওতায় চাঁদাদাতার পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন না, যদি না চাঁদাদাতা পরবর্তী পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট দাখিলকৃত লিখিত নােটিশের মাধ্যমে উক্ত স্ত্রীকে পরিবারভুক্ত বলিয়া নির্দেশ করেন;
ii) মহিলা চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে স্বামী ও সন্তানগণ এবং চাঁদাদাতার মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তানগণ। তবে শর্ত থাকে যে, চাঁদাদাতা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট ‘ লিখিত নােটিশের মাধ্যমে তাহার স্বামীকে পরিবার হইতে বিচ্ছিন্ন রাখিতে পারিবেন। এক্ষেত্রে উক্ত স্বামী তৎক্ষণাৎ পরিবার হইতে বিচ্ছিন্ন বলিয়া গণ্য হইবেন। যদি না চাঁদাদাতা লিখিত নােটিশের মাধ্যমে তাহাকে বিচ্ছিন্নকরণের উক্ত নােটিশ বাতিল করেন;
ক) তহবিল অর্থ সাধারণ ভবিষ্য তহবিল;
খ) সুদ অথবা বৃদ্ধি (increment) অর্থ সরকার কর্তৃক ঘােষিত যে কোনাে মঞ্জুরি, প্রিমিয়াম অথবা শেয়ার;
গ) ছুটি অর্থ বর্তমানে বলবৎ চাকরি বিধিমালায় স্বীকৃত যে কোনাে ছুটি বুঝাইবে;
ঘ) বেতন অর্থ চাকরি বিধিমালায় সংজ্ঞায়িত বেতন বুঝাইবে এবং ছুটিকালীন বেতন খােরপােষ বা ফরেন সার্ভিসের বেতন প্রকৃতির যে কোনাে পারিশ্রমিক ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
ঙ) মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অর্থ বিধি ১৩ -এর উপবিধি ১ -এ বর্ণিত কর্তৃপক্ষ।
চ) চাঁদাদাতা অর্থ তহবিলে চাঁদা প্রদানকারী সরকারি কর্মচারী;
ছ) বৎসর অর্থ আর্থিক বৎসর;
অন্য যে সকল শব্দ এই বিধিমালাতে ব্যবহার করা হইয়াছে কিন্তু সংজ্ঞায়িত হয় নাই সে সকল শব্দাবলি ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯ নং আইন)-এ বা বর্তমানে বলবৎ চাকরি বিধিমালায় যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে ব্যবহৃত হইবে। এই বিধিমালার কোনাে কিছুই ইতিপূর্বে বিদ্যমান সাধারণ ভবিষ্য তহবিলকে বাতিল করিবে না।
তহবিল সংরক্ষণ
৩। তহবিল বাংলাদেশে টাকায় রক্ষিত হইবে।
তহবিলে যােগদানের যােগ্যতা
৪। যাহার প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে যােগদানের আবশ্যকতা নাই অথবা অনুমতি নাই এমন সকল কর্মচারী সাধারণ ভবিষ্য তহবিলে যােগদানের যােগ্য। টীকা: অবসর গ্রহণের পর চুক্তিভিক্তিক পুনঃনিয়ােগপ্রাপ্ত কর্মচারী স্বেচ্ছাধীন চাঁদাদাতা হিসাবে তহবিলে যােগদান করিতে পারিবেন।
চাঁদাদাতা
৫। ১) তহবিলে যােগদানের যােগ্য যে সকল সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ এই বিধিমালা বলবৎ হওয়ার পূর্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে দুই বৎসর পূর্ণ হইয়াছে, তাহারা বাধ্যতামূলক চাঁদাদাতা হিসাবে এই তহবিলে যােগদান করিবেন এবং
২) তহবিলে যােগদানের যােগ্য যে সকল সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ এই বিধিমালা বলবৎ হওয়ার পূর্বে | নিরবচ্ছিন্নভাবে দুই বৎসর পূর্ণ হয় নাই এবং যাহারা এই বিধিমালা বলবৎ হওয়ার সময় বা পরে চাকরিতে যােগদান করিবেন তাহারা নিরবচ্ছিন্নভাবে চাকরির মেয়াদ দুই বৎসর পূর্ণ হইলে বাধ্যতামূলক চাঁদাদাতা হিসাবে তহবিলে যােগদান করিবেন।
তবে, কোনাে সরকারি কর্মচারী ইচ্ছা করিলে চাকরির দুই বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেও তহবিলে যােগদান করিতে পারিবেন এবং ৫২ বৎসর বয়সে উপনীত হইলে তহবিলে চাঁদা প্রদান বন্ধ করিতে পারিবেন।
মনােনয়ন
৬। ১) প্রত্যেক চাঁদাদাতা তহবিলে যােগদানের সময় তাহার মৃত্যুর সময়ে তহবিলে তাহার জমা অর্থ যাহা তাহাকে প্রদেয় হয় নাই বা প্রদেয় হওয়া সত্ত্বেও প্রদান করা হয় নাই তাহা তাহার মৃত্যুর পরে গ্রহণের অধিকার প্রদান করিয়া এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনােনয়ন প্রদান করিবেন এবং উক্ত মনােনয়নপত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, মনােনয়নদানের সময়ে চাঁদাদাতার কোনাে পরিবার থাকিলে, চাঁদাদাতা তাহার পরিবারের সদস্য নন এমন কোনাে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে মনােনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন না:
তবে আরও শর্ত থাকে যে, চাঁদাদাতার কোনাে পরিবার না থাকিলে তিনি অন্য যে কোনাে ব্যক্তিকে মনােনয়ন দান করিতে পারিবেন। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত চাঁদাদাতার পরিবার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরিত পূর্ব মনােনয়নপত্র বাতিল হইয়া যাইবে।
২। উপবিধি-১ -এর অধীনে চাঁদাদাতা একাধিক ব্যক্তিকে মনােনয়ন দান করিলে মনােনয়নপত্রে প্রত্যেক মনােনীত | ব্যক্তিকে প্রদেয় অংশ এইরূপ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন যাহাতে তহবিলে তাহার জমা রূপে স্থিত যে | কোনাে সময়ের সমুদয় অর্থ বণ্টিত হইয়া যায়।
৩) প্রথম তফশিলে উল্লিখিত ফরমসমূহের মধ্যে অবস্থা অনুসারে যে রূপ প্রযােজ্য সেইরূপ ফরমে প্রত্যেকটি মনােনয়ন প্রদান করিতে হইবে।
৪) চাঁদাদাতা যে কোনাে সময়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট লিখিত নােটিশ প্রেরণের মাধ্যমে মনােনয়ন বাতিল করিতে পারিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, চাঁদাদাতা এইরূপ নােটিশের সহিত উপবিধি (১) হইতে (৩) -এর বিধান মতে নতুন মনােনয়নপত্র প্রেরণ করিবেন।
৫) উপবিধি-৪ -এর বিধান ক্ষুন্ম না করিয়া প্রত্যেক চাঁদাদাতা এই বিধির অধীনে তাহার প্রেরিত মনােনয়নের সহিত দ্বিতীয় তফশিলে বর্ণিত ফরমে ঘটনা সাপেক্ষে বাতিল নােটিশ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
৬) যে ঘটনা সংঘটিত হইলে উপবিধি-৫ -এর অধীনে প্রদত্ত ঘটনা সাপেক্ষ বাতিলকরণ নােটিশ কার্যকর হইবে এবং ফলশ্রুতিতে সেই সংশ্লিষ্ট মনােনয়ন বাতিল হইয়া যাইবে, সেই ঘটনা ঘটিবার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদাদাতা উপবিধি (১) হইতে (৩)-এর বিধান মােতাবেক নূতন মনােনয়ন পত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
৭) চাঁদাদাতা কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যেক মনােনয়নপত্র এবং বাতিলকরণ, যতদূর বৈধ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত হওয়ার দিন হইতে কার্যকর হইবে।
চাঁদা দাতার হিসাব
৭। প্রত্যেক চাঁদাদাতার নামে একটি হিসাব থাকিবে এবং বিধি ১২ -এর উপ-বিধি-২ -এ বর্ণিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সুদ অথবা বৃদ্ধি সহ তাঁহার প্রদত্ত চাঁদা সেই হিসাবে প্রদর্শন করিতে হইবে।
চাঁদাদাতার শর্তাদি
৮। ১) সাময়িক বরখাস্থ থাকার সময়ে ব্যতীত প্রত্যেক চাঁদাদাতা প্রতি মাসে তহবিলে চাঁদা প্রদান করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, চাঁদাদাতা ইচ্ছা অনুযায়ী ছুটিতে থাকার সময়ে চাঁদা প্রদান না করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন।
তবে, আরাে শর্ত থাকে যে, সাময়িক বরখাস্থ থাকার পর চাকরিতে পুনর্বহাল হইলে, সাময়িক বরখাস্থ থাকার সময়ের চাঁদার পরিমাণের অতিরিক্ত নহে এমন পরিমাণের চাঁদা এককালীন বা কিস্তিতে প্রদানের অনুমতি প্রদান করিতে হইবে।
২) চাঁদাদাতা ছুটিতে থাকার সময়ে চাঁদা প্রদান না করিবার সিদ্ধান্ত নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে অবহিত করিবেন:
ক) নিজ বেতন নিজে উত্তোলনকারী কর্মকর্তা হইলে তিনি ছুটিতে গমনের পর প্রথম বেতন বিল হইতে চাঁদা কর্তন না করিবার মাধ্যমে;
খ) নিজ বেতন নিজে উত্তোলনকারী কর্মকর্তা না হইলে তিনি ছুটিতে গমনের পূর্বে চাঁদা কর্তন না করার সিদ্ধান্তটি লিখিতভাবে অফিস প্রধানকে অবহিত করিবেন। সময়মতাে যথাযথভাবে অবহিতকরণে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে চাঁদা প্রদান করিতে চাহেন বলিয়া ধরিতে হইবে।
৩) উপ বিধি (২) -এর অধীনে চাঁদাদাতা যে ইচ্ছা অবহিত করিবেন তাহাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।।
৪) তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থ চূড়ান্তভাবে উত্তোলনের পর পুনরায় কর্মে যােগদান না করা পর্যন্ত তহবিলে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন না।
চাঁদার হার
৯। ১) নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে চাঁদার পরিমাণ চাঁদাদাতা স্থির করিবেন, যথা:
ক) ইহা পূর্ণ টাকায় হইতে হইবে এবং খ) তহবিলে চাঁদার সর্বনিম্ন হার হইবে নিম্নরূপ:
i) মাসিক টাকা ৩০০.০০ পর্যন্ত বেতনের ক্ষেত্রে ১%
ii) মাসিক টাকা ৩০১.০০ হইতে টাকা ৫০০.০০ পর্যন্ত বেতনের ক্ষেত্রে ৬%
iii) মাসিক টাকা ৫০১.০০ হইতে টাকা ১০০০.০০ পর্যন্ত বেতনের ক্ষেত্রে ৯%
iv) মাসিক টাকা ১০০১.০০ হইতে টাকা ২০০০.০০ পর্যন্ত বেতনের ক্ষেত্রে ১২%
v) মাসিক টাকা ২০০১.০০ এবং এর অধিকের ক্ষেত্রে ১৫%
টীকা: টাকার ভগ্নাংশ পরবর্তী পূর্ণ টাকায় পরিবর্তিত হইবে।
২) উপবিধি -১ -এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে চাঁদাদাতার বেতন বলিতে বুঝাইবে
ক) পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০শে জুন তারিখে যে সরকারি কর্মচারী চাকরিতে ছিলেন তাহার ক্ষেত্রে ঐ তারিখে প্রাপ্য বেতন: তবে শর্ত থাকে যে,
i) যদি এমন হয় যে, চাঁদাদাতা উক্ত তারিখে ছুটিতে ছিলেন এবং ছুটিকালীন সময়ে চাঁদা প্রদান না করিবার ইচ্ছা গ্রহণ করিয়াছিলেন অথবা উক্ত তারিখে সাময়িক বরখাস্থ ছিলেন, তাহা হইলে তিনি পুনরায় কর্মে যােগদানের তারিখে যে বেতন তাহার প্রাপ্য হইবে উহাই তাহার বেতন বলিয়া গণ্য হইবে;
ii) যদি এমন হয় যে, চাঁদাদাতা উক্ত তারিখে বাংলাদেশের বাহিরে প্রেষণে অথবা ছুটিতে ছিলেন এবং ছুটি ভােগ অব্যাহত আছে এবং ছুটিতে থাকার সময়ে চাঁদা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা হইলে তিনি বাংলাদেশে কর্মরত থাকিলে যে বেতন তাহার প্রাপ্য হইত উহাই তাহার বেতন হইবে;
iii) চাঁদাদাতা উক্ত তারিখের পরবর্তী কোনাে তারিখে বিধি-৫ -এর অধীনে প্রথম বারের মতাে তহবিলে যােগদান করিয়া থাকিলে উক্ত পরবর্তী তারিখে প্রাপ্য বেতনই তাহার বেতন হইবে;
খ) পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে যে চাঁদাদাতা চাকরিতে ছিলেন না, তাহার ক্ষেত্রে চাকরিতে যােগদানের প্রথম দিনে যে বেতন তাহার প্রাপ্য অথবা তিনি চাকরিতে যােগদানের তারিখের পরবর্তী কোনাে তারিখে বিধি-৫ -এর অধীনে তহবিলে যােগদান করিয়া থাকিলে উক্ত পরবর্তী তারিখে যে বেতন তাহার প্রাপ্য হইত উহাই তাহার বেতন হইবে।
৩) চাঁদাদাতা প্রতি বৎসর তাহার নির্ধারণকৃত মাসিক চাঁদার পরিমাণ নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে অবহিত করিবেন, যথা:
ক) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে কর্মরত ছিলেন, তাহা হইলে তিনি তাহার উক্ত মাসের বেতন বিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
খ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে ছুটিতে ছিলেন এবং চাঁদা প্রদান না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন অথবা সাময়িক বরখাস্থ ছিলেন, তাহা হইলে তিনি পুনরায় কর্মে যােগদানের পর প্রথম বেতন বিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
গ) যদি এমন হয় যে, তিনি উক্ত বৎসরে প্রথম সরকারি চাকরিতে যােগদান করিয়াছেন অথবা বাধ্যতামূলক | চাঁদাদাতা হিসাবে বিধি-৫ -এর অধীনে তহবিলে যােগদান করিয়াছেন তাহা হইলে যে মাসে তিনি | তহবিলে যােগদান করিয়াছেন সেই মাসের বেতন বিল হইতে এই উদ্দেশ্যে কর্তন করিয়া;
ঘ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে ছুটিতে ছিলেন এবং অব্যাহতভাবে ছুটি ভােগ করিতেছিলেন এবং ঐ ছুটিকালীন সময়ে চাঁদা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা হইলে এই উদ্দেশ্যে উক্ত মাসের বেতন বিল হইতে কর্তন করিয়া;
ঙ) যদি এমন হয় যে, তিনি পূর্ববর্তী বৎসরের ৩০ জুন তারিখে বৈদেশিক চাকরিতে কর্মরত ছিলেন, তাহা হইলে চলতি বৎসরের জুলাই মাসের চাঁদা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিয়া;
৪) উক্তরূপে নির্ধারিত চাঁদার পরিমাণ ঐ বৎসর ব্যাপী অপরিবর্তিত থাকিবে;
তবে শর্ত থাকে যে, যদি এমন হয় যে, মাসের মধ্যে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন এবং মাসের বাকি সময় ছুটিতে ছিলেন এবং ছুটিকালীন সময়ে চাঁদা প্রদান না করিবার ইচ্ছা করিয়াছিলেন, তাহা হইলে উক্ত মাসে যে সংখ্যক দিবস তিনি কর্মরত ছিলেন সেই সংখ্যার অনুপাতে যথাযথ পরিমাণ অর্থ চাঁদা হিসাবে প্রদেয় হইবে;
৫) পুনঃনিয়ােগপ্রাপ্ত কর্মচারী যাহার পেনশন সম্পূর্ণ বা আংশিক স্থগিত করা হইয়াছে, তাহার ক্ষেত্রে সরকারের | নিকট হইতে তৎকর্তৃক প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে পৃথকভাবে তৎকর্তৃক গৃহীত পেনশনের অর্থ অগ্রাহ্য করিয়া চাঁদার হার নির্ধারণ করা হইবে।
প্রেষণ ইত্যাদিতে থাকা চাঁদাদাতা তহবিলের বিধিসমূহের আওতাধীন থাকিবে
১০। কোনাে চাঁদাদাতা বৈদেশিক সার্ভিসে বদলি হইলে অথবা বাংলাদেশের বাহিরে প্রেষণে প্রেরিত হইলে উক্তরূপ বদলি | বা প্রেষণ না হইয়া থাকিলে তিনি যেরূপভাবে তহবিলের বিধিমালার আওতায় থাকিতেন, সেইরূপ থাকিবেন।
চাঁদা আদায়
১১। ১) যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকারি সরকারি কোষাগার হইতে বা বিদেশসহ বাংলাদেশ দূতাবাস হইতে বেতন গ্রহণ করা হয় সেই ক্ষেত্রে চাঁদা এবং প্রদত্ত অগ্রিমের মূল এবং উহার সুদ’ [অথবা বৃদ্ধি] বেতন হইতে কর্তনপূর্বক আদায় করিতে হইবে।
২) অন্য কোনাে উৎস হইতে বেতন গ্রহণ করিলে চাঁদাদাতা তাহার মাসিক চাঁদা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
৩) বিধি-৫ -এর অধীনে বাধ্যতামূলক চাঁদাদাতা হিসাবে যােগদানের তারিখ হইতে কোনাে কর্মচারী চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হইলে বিধি ১২তে বর্ণিত হারে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] সহ বকেয়া চাঁদা, তহবিলে অবিলম্বে প্রদান করিবেন। তাহাতে ব্যর্থ হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অগ্রিম প্রদানে- যাহার জন্য বিশেষ কারণ থাকা প্রয়ােজন- ক্ষমতাবান কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ অনুযায়ী কিস্তিতে বা অন্যভাবে বেতন বিল হইতে কর্তনপূর্বক আদায়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
জমার উপর সুদ [অথবা বুদ্ধি]
১২। ১) সরকার প্রতি বৎসরের জন্য যে হার নির্ধারণ করিবে ঐ হারে তহবিলে চাঁদাদাতার জমার উপর উপবিধি-৫ – এর বিধান সাপেক্ষে সরকার সুদ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করিবে।
২) প্রতি বৎসরের শেষ দিনে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে জমার উপর সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করিতে হইবে; যথা:
i) পূর্ববর্তী বৎসরের শেষ দিনের জমা হইতে চলতি বৎসরে উত্তোলনকৃত অর্থ বাদ দিয়া বাকি জমার উপর ১২(বারাে) মাসের সুদ [অথবা বৃদ্ধি];
ii) চলতি বৎসরে উত্তোলনকৃত অর্থের উপর বৎসরের প্রারম্ভ হইতে যে মাসে উত্তোলন করা হইয়াছে উহার পূর্ববর্তী মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি];
iii) পূর্ববর্তী বৎসরের শেষ দিনের পরে জমাকৃত অর্থের উপর জমাদানের তারিখ হইতে চলতি বৎসরের শেষ | দিন পর্যন্ত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি]; মােট সুদের ১ [অথবা বৃদ্ধি] পরিমাণ নিকটবর্তী পূর্ণ টাকা পর্যন্ত হইবে (পঞ্চাশ পয়সা হইলে তাহা পরবর্তী পূর্ণ টাকায় পরিবর্তিত হইবে):
iv) তবে শর্ত থাকে যে, যখন চাঁদাদাতার তহবিলে জমার অর্থ তাঁহাকে প্রদেয় হয় তখন সেই অর্থের উপর চলতি বৎসরের প্রথম দিন হইতে, বা জমার তারিখ হইতে, যে ক্ষেত্রে যাহা প্রযােজ্য, প্রদেয় হওয়ার তারিখ পর্যন্ত এই উপ-বিধির অধীনে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করা হইবে।
৩) এই বিধি মােতাবেক জমার তারিখ বলিয়া গণ্য হইবে বেতন কর্তনের ক্ষেত্রে যে মাসে আদায় করা হইবে ঐ মাসের প্রথম দিন এবং চাঁদাদাতা কর্তৃক চাঁদা প্রেরণের ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা উক্ত চাঁদা যে মাসের ৫ তারিখের পূর্বে পাইবেন, ঐ মাসের প্রথম দিন, আর মাসের ৫ তারিখে বা উহার পরে পাওয়া গেলে পরবর্তী মাসের প্রথম দিন।
৪) বিধি ২০ ও ২১ -এর অধীনে প্রদেয় অর্থ ছাড়াও যে মাসে প্রদান করা হইবে সেই মাসের পূর্ববর্তী মাসের শেষ দিন পর্যন্ত যে সুদ [অথবা বৃদ্ধি] হয় তাহাও প্রাপক ব্যক্তিকে প্রদান করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সেই ব্যক্তিকে বা তাহার প্রতিনিধিকে তিনি যে তারিখে নগদ অর্থ প্রদানে প্রস্তুত তাহা অথবা সেই ব্যক্তিকে অর্থ প্রদানের জন্য যে তারিখে চেক প্রস্তুত করিয়াছেন তাহা অবহিত করিয়াছেন সেই ক্ষেত্রে কেবলমাত্র উক্ত অবহিতকরণের তারিখের পূর্ববর্তী মাসের শেষ দিন পর্যন্ত অথবা প্রযােজ্য হইলে সেই চেক সই হওয়ার তারিখ পর্যন্ত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করিতে হইবে।
৫) কোনাে চাঁদাদাতা তহবিলের জমার উপর সুদ [অথবা বৃদ্ধি] গ্রহণ করিবেন না বলিয়া হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে অবহিত করিলে, উক্ত ক্ষেত্রে সুদ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করা হইবে না। তবে পরবর্তী পর্যায়ে সুদ [অথবা বৃদ্ধি] গ্রহণ করিতে চাহেন বলিয়া অবহিত করিলে যে বৎসর ঐরূপ অবহিত করিবেন সেই বৎসরের প্রথম দিন হইতে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করিতে হইবে। চাঁদাদাতা তহবিলে তাহার হিসাবে ইতিমধ্যে উদ্ভূত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] গ্রহণ করিবেন না বলিয়া লিখিতভাবে অবহিত করিলে ইতিমধ্যে জমাকৃত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] ভবিষ্য তহবিলের হিসাবে বিকলন দেখাইয়া এবং সঙ্গে সঙ্গে ‘22 Interest’ বা ‘xx-Interest খাতে কন্ট্রা আকলন দেখাইয়া সমন্বয় করিতে হইবে।
৬) এই বিধিমালার কোনাে বিধানের অধীনে যে সকল অর্থ চাঁদাদাতার আকলনে প্রতিস্থাপিত হইবে তাহার উপর সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] উপ-বিধি (১) -এর অধীনে ধারাবাহিকভাবে যে সকল হার নির্ধারিত হইবে, সেই সকল হারে এবং যতদূর সম্ভব এই বিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করিতে হইবে।
তহবিল হইতে অগ্রিম মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ
১৩। ১) তহবিলে জমাকৃত অর্থ হইতে চাঁদাদাতাকে নিম্নোক্ত কর্তৃপক্ষসমূহ অগ্রিম মঞ্জুর করিতে পারিবে, যথা:
ক) গৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ও বিশেষ বিবেচনায় প্রদত্ত অগ্রিম ব্যতীত অন্যান্য উদ্দেশ্যে অগ্রিমের মঞ্জুরকারী। কর্তৃপক্ষ গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধান এবং উক্ত কর্মকর্তা নিজেই বিভাগীয় প্রধান হইলে সেক্ষেত্রে সরকার। ননগেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অফিস প্রধান, কিন্তু যে ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের নিম্ন পদস্থ কোনাে কর্মকর্তা উক্ত কর্মচারীর নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ, সে ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষই মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ।
খ) গৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যে ও বিশেষ বিবেচনায় প্রদেয় অগ্রিমের ক্ষেত্রে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হইবে দফা (ক) – এ উল্লিখিত মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের অব্যবহিত পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তবে শর্ত থাকে যে, বিভাগীয় প্রধানের অধস্থন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এইরূপ অগ্রিম বিভাগীয় প্রধান। মঞ্জুর করিবেন এবং বিভাগীয় প্রধানের এইরূপ অগ্রিম সরকার মঞ্জুর করিবে;
গ) উপবিধি (৯) -এর অধীনে অফেরৎযােগ্য অগ্রিম বিভাগীয় প্রধানের নিম্নপদস্থ কোনাে কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করিতে পারিবে না। বিভাগীয় প্রধানের অফেরৎযােগ্য অগ্রিম সরকার মঞ্জুর করিবে।
অগ্রিমের উদ্দেশ্য
২) আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থার কারণে অগ্রিম প্রয়ােজন এবং অগ্রিম নিম্নোক্ত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনাে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে না, এই মর্মে সন্তুষ্ট না হইলে কোনাে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না:
ক) আবেদনকারীর বা তাহার উপর প্রকৃত নির্ভরশীল ব্যক্তির দীর্ঘ অসুস্থতার ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে। নােট: এই অনুচ্ছেদে নির্ভরশীল অর্থ পরিবারের সদস্য এবং পিতা-মাতা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাই, অবিবাহিত বােন এবং যে ক্ষেত্রে পিতা-মাতা জীবীত নাই সে ক্ষেত্রে দাদা-দাদি।
খ) আবেদনকারীর বা তাহার উপর প্রকৃত নির্ভরশীল ব্যক্তির চিকিৎসা বা শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে,
গ) ধর্মীয় বা সামাজিক রীতিতে আবেদনকারীর মর্যাদা অনুসারে বিবাহ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অথবা অনুষ্ঠানাদিতে অবশ্য করণীয় ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে;
ঘ) জীবন বিমার প্রিমিয়াম প্রদানের উদ্দেশ্যে; ঙ) বাসগৃহ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ের অথবা বাসগৃহ নির্মাণ, ক্রয় বা মেরামতের উদ্দেশ্যে অথবা এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত উদ্দেশ্যে গৃহীত ব্যক্তিগত ঋণ পরিশােধের উদ্দেশ্যে; চ) মুসলিম চাঁদাদাতাদের প্রথম বারের হজ্ব পালনের ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে;
ছ) নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে মুসলিম চাঁদাদাতার স্ত্রীর মােহরানার দাবি পূরণের উদ্দেশ্যে:
i) চাঁদাদাতার বিবাহের ব্যয়ের জন্য একবার অগ্রিম গ্রহণ করিয়া থাকিলে, পরবর্তী পর্যায়ে মােহরানার জন্য কোনাে অগ্রিম পাইবেন না;
ii) এই অগ্রিমের পরিমাণ উপ-বিধি (৩) -এ উল্লিখিত পরিমাণ বা মােহরানার প্রকৃত পরিমাণ এই দুই –এর মধ্যে যাহা কম উহার অধিক হইবে না এবং মােহরানার প্রকৃত পরিমাণের প্রমাণ চাঁদাদাতাকে দাখিল করিতে হইবে;
iii) চাঁদাদাতা অগ্রিম গ্রহণের এক মাসের মধ্যে তিনি যে প্রকৃত পক্ষে মােহরানার অর্থ পরিশােধ | করিয়াছেন উহার প্রমাণ দাখিল করিবেন, অন্যথায় অগ্রিম হিসাবে প্রদত্ত অর্থ তাহার নিকট হইতে এককালীন আদায়যােগ্য হইবে।
অগ্রিমের পরিমাণ
৩) গৃহায়নের উদ্দেশ্যে এবং বিশেষ বিবেচনার ক্ষেত্রে ব্যতীত কোনাে অগ্রিম চাঁদাদাতার ৩ মাসের বেতন বা তহবিলে তাহার জমারূপে স্থিত অর্থের অর্ধেক -এর মধ্যে যাহা কম, উহার অধিক হইবে না। বিশেষ বিবেচনায় ব্যতীত প্রথম অগ্রিমের সুদ ‘ [অথবা বৃদ্ধি] সহ চূড়ান্ত পরিশােধের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে দ্বিতীয় অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে না;
তবে শর্ত থাকে যে, প্রথম অগ্রিম গ্রহণের সময় প্রদানযােগ্য সমুদয় অর্থ গ্রহণ করা না হইলে, উক্ত ক্ষেত্রে প্রথম অগ্রিম চালু থাকা কালে চাঁদাদাতার তিন মাসের বেতন বা তহবিলে দ্বিতীয় অগ্রিম গ্রহণ কালে তাহার জমা রূপে স্থিত অর্থের অর্ধেক এই দুই-এর মধ্যে যাহা কম, উহার সমান দ্বিতীয় অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে।
৪) বিশেষ বিবেচনায়, উহার বিবরণ, লিখিতভাবে রেকর্ড করিয়া, তহবিলে জমারূপে স্থিত অর্থের ৭৫% পর্যন্ত এবং উপর্যুপরি সর্বোচ্চ ৩টি অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে। কিন্তু তিন বা ততােধিক সংখ্যক অগ্রিমের অর্থ অনাদায়ী থাকিলে সরকারের পূর্বানুমােদন ব্যতীত পুনঃঅগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে না।।
গৃহ নির্মাণ অগ্রিম
৫) উপ-বিধি (২) -এর দফা (ঙ) -এ বর্ণিত গৃহায়নের উদ্দেশ্যে অগ্রিম মঞ্জুরি নিম্নোক্ত শর্তগুলি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে, যথা:ক) অগ্রিমের পরিমাণ চাঁদাদাতার ৩৬ (ছত্রিশ) মাসের বেতন বা তহবিলে তাহার জমা রূপে স্থিত অর্থের ৮০%, এই দুই-এর মধ্যে যাহা কম, তাহার অধিক হইবে না;
খ) একই পস্নটে গৃহ নির্মাণের জন্য একের অধিক অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে না, কিন্তু সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধিসহ প্রথম অগ্রিম সম্পূর্ণ আদায়ের পর একই গৃহ মেরামতের জন্য অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে;
গ) নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে একই গৃহ মেরামতের জন্য অনধিক একটি অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে, যথা:
i) আবাসযােগ্য করিবার জন্য মেরামতের প্রয়ােজন হওয়া;
ii) ইহা সাধারণ প্রকৃতির মেরামত নহে; এবং
iii) গৃহের মূল্যের তুলনায় ইহাতে সংশ্লিষ্ট ব্যয় অধিকতর।
ঘ) এই অগ্রিম চাঁদাদাতার কর্মস্থলে স্টেশনে অথবা অবসর গ্রহণের পর তিনি বসবাস করিতে ইচ্ছা করেন, এমন স্থানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত বাসগৃহের যথার্থ প্রয়ােজনে হইতে হইবে;
ঙ) সাধারণত এই অগ্রিম কিস্তিতে উত্তোলন করিতে হইবে, প্রতি কিস্তি এইরূপ হইবে যেন তাহা দ্বারা পরবর্তী | তিন মাসের সম্ভাব্য প্রয়ােজনীয় ব্যয়ের অনুরূপ পরিমাণের হইবে। সমুদয় অর্থ একযােগে প্রয়ােজন হইবে, এই মর্মে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হইলে অগ্রিম এক কিস্তিতে গ্রহণ করিতে দেওয়া যাইবে;
চ) গৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি ক্রয়ের জন্য অথবা গৃহ ক্রয়ের জন্য অথবা একই গৃহ মেরামতের জন্য গৃহীত ব্যক্তিগত ঋণ পরিশােধের ক্ষেত্রে অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে না, যদি না উক্ত ঋণ অগ্রিমের আবেদনপত্র প্রাপ্তির অনধিক বারাে মাস পূর্বে গ্রহণ করা হইয়া থাকে এবং মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত ঋণের সত্যতা, ঋণের পরিমাণ ও ইহা পরিশােধের জন্য বাস্থবত আবশ্যক অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে পরিতুষ্ট হয়।
টীকা:৫২ বৎসর বয়সে উপনীত হওয়ার পর উপবিধি (৯) -এ বর্ণিত অফেরৎযােগ্য অগ্রিম গ্রহণের ক্ষেত্র ব্যতীত গৃহ নির্মাণ ঋণদান সংস্থা, ব্যাংক বা অন্যান্য সরকারি ঋণদান প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ, যাহা ব্যক্তিগত ঋণ হিসাবে গণ্য নহে, পরিশােধের জন্য এই অগ্রিম মঞ্জুর করা যাইবে না।
ছ) যে সম্পত্তির জন্য এই অগ্রিমের আবেদন করা হইয়াছে, ঐ সম্পত্তির স্বত্ব সম্পর্কে আবেদনকারী মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষকে পরিতুষ্ট করিবেন, তবে ঐ সম্পত্তি সরকারের নিকট বন্ধক রাখিতে হইবে না। জ) গ্রহণকৃত অগ্রিম সম্পূর্ণ ফেরৎ দেওয়ার পূর্বে চাঁদাদাতা উক্ত জমি বা গুহ বিক্রয় বা অন্য কোনাে ভাবে হস্তান্তর করিলে, সঙ্গে সঙ্গে চাঁদাদাতা অগ্রিমের উপরে সুদ [অথবা বৃদ্ধি] সমেত অগ্রিমের অপরিশােধিত অংশ এককালীন ফেরৎ দিবেন।
টীকা: (১) 2 বিদ্যমান বিধিমালার অধীনে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল হইতে গ্রহণকৃত অগ্রিমের জন্য ইতিমধ্যে সরকারের নিকট জমি বন্ধক দেওয়া থাকিলে, উহা চাঁদাদাতার অনুকূলে মুক্ত করিয়া দিতে হইবে।
২) যে জমির উপর কোনাে ব্যক্তি গৃহ নির্মাণ করিতে ইচ্ছুক সেই জমির উপর তাহার সম্পূর্ণ মালিকানা স্বত্ব না থাকিলেও অনুচ্ছেদ (ছ) -এর শর্ত অনুসারে অগ্রিম পাওয়ার অযােগ্য হইবেন না, তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারী মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে পরিতুষ্ট করিবেন যে, জমি আবেদনকারী ইজারা নিয়াছেন এবং ইজারার অনতিক্রান্ত শর্ত ও মূল্য অগ্রিম প্রদানের জন্য যথার্থ;
৩) অগ্রিমের অর্থ প্রদানের পূর্বে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিতে আবেদনকারীর স্বত্ব পরীক্ষা করিয়া দেখিবে, আবশ্যক হইলে রাজস্ব বা নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের সহিত পরামর্শ করিয়া অথবা আইনগত টেকনিকাল পরামর্শের আবশ্যক হইলে সরকারের আইন কর্মকর্তার সহিত পরামর্শ করিয়া। গৃহ নির্মাণ বা গুহ মেরামতের অগ্রিমের ক্ষেত্রে ভূমির উপর বা প্রযােজ্য হইলে গৃহের উপর আবেদনকারীর বিরােধবিহীন স্বত্ব রহিয়াছে কি না এবং জমি বা গৃহ ক্রয়ের ক্ষেত্রে আবেদনকারী বিক্রয়-দলিলের সম্পাদন বা নিবন্ধনের মাধ্যমে পূর্ণ স্বত্ব অর্জন করিবেন কি না তাহা দেখিতে হইবে।
৬) অগ্রিমের আবেদন আবেদনকারীর তৃতীয় তফশিলে বর্ণিত ফরম মােতাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে দাখিল করিতে হইবে, যিনি আবেদনকৃত অগ্রিমের প্রয়ােজনীয়তা এবং প্রয়ােজনীয় পরিমাণ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত লিপিবদ্ধ করিবেন।
৭) মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরিপত্রে অগ্রিম মঞ্জুরির কারণ লিপিবদ্ধ করিবে এবং অগ্রিমের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থের পরিমাণের উপর মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করিবে। টীকা: তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থের পরিমাণ গণনার ক্ষেত্রে যে মাসে অগ্রিম মঞ্জুর করা হইবে সেই মাসের পূর্ববর্তী তিন মাসে জমাকৃত চাঁদা বিবেচনায় নেওয়া যাইবে না।
৮) কর্মচারীর শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্রে অন্যান্য প্রয়ােজনীয় বিবরণাদির সহিত মঞ্জুরকৃত অগ্রিমের পরিমাণ, আদায়ের কিস্তির সংখ্যা ও প্রতি কিস্তিতে আদায়ের পরিমাণ, ইতিমধ্যে আদায়কৃত কিস্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ এবং অবশিষ্ট পাওনার পরিমাণ উল্লেখ করিতে হইবে।
৯) চাঁদাদাতার ৫২ বৎসর বয়স পূর্ণ হইলে কৃষি জমি ক্রয়সহ যে কোনাে যুক্তিসঙ্গত উদ্দেশ্যে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ | তহবিলে তাহার জমারূপে স্থিত অর্থ হইতে অফেরৎযােগ্য অগ্রিম মঞ্জুর করিতে পারিবেন। এই প্রকার অগ্রিম মঞ্জুর করা হইলে তাহা আর চাঁদাদাতার নিকট হইতে আদায় করা হইবে না এবং তহবিলে তাহার জমারূপে স্থিত অর্থ চূড়ান্ত প্রদানের সময় এই অগ্রিমকে চূড়ান্ত প্রদানের অংশ বলিয়া গণ্য করিতে হইবে। অফেরৎযােগ্য অগ্রিমের পরিমাণ অগ্রিম মঞ্জুরির সময়ে তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থের ৮০% এর অধিক হইবে না। এইরূপ অফেরৎযােগ্য অগ্রিম একাধিকবার প্রদান করা যাইবে, তবে প্রতিবারই তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থের ৮০% এর মধ্যে।
টীকা: অফেরৎযােগ্য অগ্রিম চূড়ান্ত প্রদানের অংশ বলিয়া বিবেচিত, সুতরাং গৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যেও ইহা এক কিস্তিতে মঞ্জুর করা যাইবে।
১০) সরকারি কর্মচারীর বয়স ৫২ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর তিনি ইচ্ছা করিলে পূর্বে গৃহীত এক বা একাধিক অগ্রিমের অপরিশােধিত অংশকে অফেরৎযােগ্য অগ্রিমের রূপান্তরিত করিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে ইহা চূড়ান্ত প্রদানের অংশ বলিয়া গণ্য হইবে।
অগ্রিম ও উহার সুদ (অথবা বৃদ্ধি] আদায়
১৪। ১) অফেরৎযােগ্য অগ্রিম ব্যতীত অন্যান্য অগ্রিমে যে সংখ্যক কিস্তি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করিবেন, সেই সংখ্যক সমান মাসিক কিস্তিতে আদায় করিতে হইবে। তবে, চাঁদাদাতার ইচ্ছা ব্যতীত এই কিস্তির সংখ্যা ১২ – এর কম হইবে না এবং কোনােক্রমেই কিস্তির সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি হইবে না। চাঁদাদাতা ইচ্ছা করিলে এক মাসে একের অধিক কিস্তি পরিশােধ করিতে পারিবেন। প্রতিটি কিস্তির অর্থ পূর্ণ টাকার অঙ্কে হইবে, এবং সেইরূপ কিস্তি নির্ধারণের জন্য আবশ্যক মতাে অগ্রিমের পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধি করিতে হইবে।
২) বিধি ১১ তে বর্ণিত চাঁদা আদায়ের পদ্ধতিতে অগ্রিমের অর্থ আদায় করিতে হইবে। গৃহ নির্মাণের উদ্দেশ্যে অগ্রিমের ক্ষেত্র ব্যতীত অগ্রিম গ্রহণের পরে চাঁদাদাতার প্রথমবারের মতাে একটি পূর্ণ মাসের বেতন অথবা ফরেইন সার্ভিসের জন্য রেমুনারেশন গ্রহণমাত্র আদায় আরম্ভ হইবে। ৩) গৃহ নির্মাণের জন্য অগ্রিমের ক্ষেত্রে অগ্রিম গ্রহণের পরবর্তী দ্বাদশ মাসের বেতন হইতে বেতনের ১০% হারে আদায় আরম্ভ হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি কর্মচারী অধিকন্তু বেতন হইতে গৃহ নির্মাণ অগ্রিম গ্রহণ করিয়া থাকিলে, বেতন হইতে গ্রহণকৃত অগ্রিম সুদ ‘ [অথবা বৃদ্ধি]সহ সম্পূর্ণ আদায় হওয়ার পর উপরিউক্ত হারে অর্থ আদায় আরম্ভ হইবে;
৪) ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে বা খােরপােষ ভাতা প্রাপ্তিকালীন সময়ে চাঁদাদাতার সম্মতি ব্যতিরেকে অগ্রিম আদায় করা যাইবে না। চাঁদাদাতাকে মঞ্জুর করা কোনাে পূর্ববর্তী অগ্রিম বা বেতন অগ্রিম আদায়ের কালে অথবা কোনাে নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যাপী, যাহা অগ্রসর বয়সের চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত হইতে পারে, তাহার লিখিত অনুরােধে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অগ্রিম আদায় বন্ধ রাখিতে পারিবে।
টীকা:১) অবকাশকাল ছুটির সহিত মিলিতভাবে ছুটি বলিয়া গণ্য হইবে।
২) চাঁদাদাতা যে মাসের পূর্ণ বেতন উত্তোলন করেন সেই মাসেই অগ্রিমের কিস্তি আদায় করা যাইবে এবং তিনি ছুটিতে থাকাকালে শুধু তাহার সম্মতিতেই ছুটিকালীন বেতন হইতে অগ্রিমের কিস্তি কর্তন করা যাইবে।
৫) চাঁদাদাতাকে একাধিক অগ্রিম মঞ্জুর করা হইয়া থাকিলে আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিটি অগ্রিমকে পৃথকভাবে বিবেচনা করিতে হইবে।
৬) ক) মূল অগ্রিমের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশােধ হইবার পর উহার উপর মাসিক ভিত্তিতে গণনাকৃত (মাসের ভগ্নাংশকে পূর্ণমাস ধরিয়া) বাৎসরিক ৫% হারে সুদ ‘ [অথবা বৃদ্ধি] অগ্রিম উত্তোলনের সময় হইতে অগ্রিমের মূল অর্থ সম্পূর্ণ পরিশােধের সময় পর্যন্ত পরিশােধ করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলে যে সকল চাঁদাদাতার জমার উপরে কোনাে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] হয় না। তাহাদিগকে তহবিল হইতে মঞ্জুর করা অগ্রিমের উপর সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] বাবদ কোনাে অতিরিক্ত কিস্তি প্রদান করিতে হইবে না। সাধারণত মূল অগ্রিম সম্পূর্ণ পরিশােধের পরবর্তী মাসে এক কিস্তিতে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] পরিশােধ করিতে হইবে; কিন্তু, সুদের ১ অথবা বৃদ্ধির] পরিমাণ মূল অগ্রিম পরিশােধের এক কিস্তির পরিমাণের অধিক হইলে তাহা একাধিক মাসিক সমান কিস্তিতে আদায় করা যাইবে, যদি চাঁদাদাতা অনুরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই কিস্তির পরিমাণ মূল অগ্রিম পরিশােধের কিস্তির পরিমাণের কম হইতে পারিবে না।
৭) চাঁদাদাতাকে অগ্রিম মঞ্জুর করা হইলে এবং চাঁদাদাতা তাহা উত্তোলন করিবার পর উহার পরিশােধ এবং পরবর্তী পর্যায়ে আদায় সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে উক্ত মঞ্জুরি বাতিল করা হইলে বিধি ১২ দ্বারা বিহিত হারে সুদ [অথবা বৃদ্ধি] সমেত অগ্রিমের সম্পূর্ণ বা বাকি অর্থ চাঁদাদাতা তাৎক্ষণিকভাবে তহবিলে ফেরৎ দিবেন, তাহাতে ব্যর্থ হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বা মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ যেমন নির্দেশ করিতে পারেন সে অনুযায়ী কিস্তিতে বা অন্যভাবে চাঁদাদাতার বেতন হইতে কর্তন করিয়া তাহা আদায় করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলে যে সকল চাঁদাদাতার জমার উপর সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] হয় না তাহাদের সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] প্রদান করিতে হইবে না।
৮) এই বিধি অনুসারে আদায়কৃত অর্থ তহবিলে চাঁদাদাতার হিসাবে জমা হইবে।
বিমার পলিসিতে পরিশােধ
১৫। অতঃপর উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থ বা উহার অংশবিশেষ জীবন বিমার প্রিমিয়াম পরিশােধের জন্য উত্তোলন করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, উত্তোলনকৃত অর্থের পরিমাণ নিকটবর্তী পূর্ণ টাকায় হইবে: তবে আরও শর্ত থাকে যে, কোনাে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে নাক) বিমা পলিসির বিস্তারিত বিবরণ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট দাখিল করা ও ইহা কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পূর্বে, অথবা খ) উত্তোলনের বারাে মাসের অধিক সময় পূর্বে শুরু হওয়া কোনাে পলিসির জন্য, অথবা
গ) উত্তোলনের ছয় মাসের মধ্যে প্রকৃত প্রদেয় প্রিমিয়াম পরিশােধের জন্য প্রয়ােজনীয় পরিমাণ অর্থের অতিরিক্ত, অথবা
ঘ) চাঁদাদাতা ৫২ বৎসর বয়সে উপনীত হওয়ার পূর্বে যে পলিসির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ প্রদেয় হইবে এইরূপ পলিসির প্রিমিয়াম পরিশােধের জন্য, অথবা
ঙ) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পূর্ব সম্মতি ব্যতিরেকে পলিসি হস্তান্তরকৃত, সমর্পিত বা পরিশােধিত পলিসিতে রূপান্তরিত বা শর্ত পরিবর্তন করা হইয়াছে এমন পলিসির জন্য বা অন্য কোনাে পলিসির সহিত বিনিময়কৃত পলিসির জন্য।
বিমা পলিসি পরিশােধের বিষয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হইবেন:
১৬। ১) বিধি ১৫ -এর অধীনে কোনাে অর্থ উত্তোলনের পূর্বে চাঁদাদাতা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা যেমন নির্ধারিত করিতে পারেন সেইরূপ সময়কালের মধ্যে এই মর্মে ঘােষণাপত্র দাখিল করিবেন যে,
তিনি পলিসি অর্পণ বা সমর্পণ বা পরিশােধিত পলিসিতে রূপান্তর করেন নাই এবং পলিসির শর্তাদির পরিবর্তন বা অন্য কোনাে পলিসির সহিত বিনিময় করেন নাই।
২) বিধি ১৫তে বর্ণিত উদ্দেশ্যে উত্তোলনকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে এই মর্মে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সন্তুষ্টির জন্য বিমা কর্তৃপক্ষের অর্থ গ্রহণের রশিদ বা ইহার সত্যায়িত কপি প্রেরণ করিতে হইবে।
৩) উপবিধি (১) ও (২) -এ বর্ণিত পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্তুষ্ট না হইলে তিনি বিধি-১২-এ বর্ণিত হারে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] সহ উত্তোলনকৃত অর্থ বেতন হইতে আদায়ের আদেশ দিতে পারিবেন এবং আদায়কৃত অর্থ তহবিলে চাঁদাদাতার ক্রেডিটে জমা হইবে।
সরকার বিমা কর্তৃপক্ষকে চাঁদাদার পক্ষে অর্থ পরিশােধ করিবে না
১৭। ১) সরকার চাঁদাদাতার পক্ষে বিমা কর্তৃপক্ষকে কোনাে অর্থ প্রদান করিবে না এবং পলিসি চালু রাখার জন্য কোনাে পদক্ষেপও গ্রহণ করিবে না।
২) এই বিধিমালার অধীনে গ্রহণযােগ্য হইবে চাঁদাদাতার নিজের করা তাহার নিজস্ব জীবনের জন্য অথবা চাঁদাদাতার নিজের ও তাহার স্ত্রী বা স্বামীর যুগ্ম জীবনের জন্য পলিসি, এবং চাঁদাদাতার স্ত্রী বা স্বামীর অথবা চাঁদাদাতার স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তান বা উহাদের যে কেহ ব্যতীত অন্য কোনও সুবিধাভােগীর জন্য পলিসি গ্রহণযােগ্য হইবে না;
তবে শর্ত থাকে যে, কোনাে চাঁদাদাতা পূর্বে বলবৎ ভবিষ্য তহবিল বিধি অনুযায়ী যে পলিসি গ্রহণ করিয়াছেন, সেই পলিসি পূর্বের সেই বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে গ্রহণযােগ্য হইবে।
পলিসি গৃহীত হওয়ার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে
১৮। ১) তহবিল হইতে প্রথম অর্থ উত্তোলনের তিন মাসের মধ্যে অথবা বিমা কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর বাংলাদেশের বাহিরে হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে পলিসি গৃহীত হওয়ার জন্য | হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পলিসি গ্রহণান্তে তাহা চাঁদাদাতার নিকট ফেরত পাঠাইবেন।
২) তহবিল হইতে অর্থ প্রদানের জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক একবার পলিসি গৃহীত হওয়ার পর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পূর্বানুমােদন ব্যতীত উক্ত পলিসির শর্ত পরিবর্তন বা অন্য কোনাে পলিসির সহিত বিনিময় করা | যাইবে না। পূর্বানুমােদন সাপেক্ষে তাহা করা হইলে তাহার নিকট নূতন পলিসির বা পরিবর্তনের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করিতে হইবে।
৩) উপবিধি ১ -এর অধীনে কথিত সময়কালের মধ্যে অথবা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত | সময়ের মধ্যে পলিসি গৃহীত হওয়ার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা না হইলে বা পলিসি বাতিল হইয়া গেলে পলিসি সম্পর্কিত তহবিল হইতে উত্তোলনকৃত অর্থ বিধি-১২ -এ বর্ণিত হারে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] সহ অচিরেই চাঁদাদাতা কর্তৃক তহবিলে পরিশােধ করিতে হইবে বা পরিশােধে ব্যর্থ হইলে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে কিস্তিতে বা অন্যভাবে চাঁদাদাতার বেতন হইতে কর্তনের মাধ্যমে আদায়ের জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আদেশ দিবেন।
পলিসির পুনঃঅ্যাসাইনমেন্ট
১৯। এই বিধিমালা বলবৎ হওয়ার পূর্বে বলবৎ কোনাে বিধির অধীনে রাষ্ট্রপতি বা গভর্নর -এর বরাবরে অ্যাসাইনকৃত কোনাে চাঁদাদাতার পলিসি এখন পুনঃঅ্যাসাইন করিতে চাঁদাদাতার নিকট, বা প্রযােজ্য হইলে চাঁদাদাতা ও যুগ্মবিমাকৃত’র নিকট বিমা কর্তৃপক্ষের বরাবরে স্বাক্ষরিত পুনঃঅ্যাসাইনমেন্ট নােটিশ সহ চতুর্থ তফশিলে প্রদত্ত ফরমের মাধ্যমে হস্তান্তর করিতে হইবে।
তহবিলে সঞ্চিত অর্থ চূড়ান্তভাবে উত্তোলন
২০। চাঁদাদাতা চাকরি ত্যাগ করিলে বা অবসর ছুটিতে গেলে বা অবকাশকালীন ছুটি সহ অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে গেলে বা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে অবসর গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হইলে বা যথাযথ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনঃচাকরির জন্য অক্ষম বলিয়া ঘােষিত হইলে তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থ তাহার প্রাপ্য হইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলে জমারূপে স্থিত অর্থ উত্তোলনের পর ৫২ বৎসর বয়সে উপনীত হওয়ার পূর্বে চাঁদাদাতা যদি পুনর্বহাল বা পুনঃনিয়ােগের মাধ্যমে চাকরিতে প্রত্যাবর্তন করেন তবে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ নির্দেশ প্রদান করিলে তাহাকে বিধি ১২ -এ বর্ণিত হারে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] সহ পূর্বে উত্তোলনকৃত অর্থ কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিলে ফেরৎ প্রদান করিতে হইবে।
চাঁদাদাতার মৃত্যুতে তহবিলের অর্থ প্রদান
২১। তহবিলে জমা অর্থ প্রদেয় হওয়ার পূর্বে অথবা প্রদেয় হওয়ার পর চাঁদাদাতা মৃত্যুণ করিলে
১) চাঁদাদাতার পরিবার থাকিলে
ক) বিধি ৬ এবং ইতিপূর্বে বলবৎ কোনাে বিধির অধীনে চাঁদাদাতা তাহার পরিবারের কোনাে সদস্যকে বা সদস্যবর্গকে তহবিলে তাহার জমারূপে স্থিত অর্থ বা ইহার অংশ বিশেষের জন্য মনােনয়ন দান করিয়া থাকিলে তাহা উক্ত মনােনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে মনােনয়নে বর্ণিত অংশ অনুসারে প্রদেয় হইবে;
খ) যদি পরিবারের কোনাে সদস্য বা সদস্যবর্গের অনুকূলে কোনাে মনােনয়ন না থাকে বা মনােনয়ন থাকা | সত্ত্বেও যদি তাহা অবৈধ হয় এবং ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ -এর ধারা ৫(১) (খ) -এর অধীনে তাহা অকার্যকারী হয় অথবা উক্ত মনােনয়ন যদি তহবিলে তাহার জমা অর্থের অংশ বিশেষের জন্য হইয়া থাকে তাহা হইলে তাহার পরিবারের সদস্য ব্যতীত অন্য কোনাে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অনুকূলে মনােনয়ন থাকা সত্ত্বেও তহবিলে তাহার জমা উহার সমুদয় অর্থ বা উহার যে অংশের জন্য মনােনয়ন নাই ঐ অংশ তাহার পরিবারের সদস্যদেরকে সমহারে প্রদেয় হইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, পরিবারের অন্য কোনাে সদস্য থাকিলে নিম্নোক্ত সদস্যগণ কোনাে অংশ পাইবেন না
ক) আইনগতভাবে প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র যিনি শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম নন এবং জীবীকা নির্বাহেও অসমর্থ নন;
খ) মৃত পুত্রের আইনগতভাবে প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম নন এবং জীবীকা নির্বাহেও অসমর্থ নন,
গ) বিবাহিতা কন্যা, যাহার স্বামী জীবীত এবং যিনি অন্য কোনােভাবে পরিত্যক্ত বা স্বামীর ভরণ-পােষণ হইতে বঞ্চিত নহেন;
ঘ) মৃত পুত্রের বিবাহিতা কন্যা, যাহার স্বামী জীবীত এবং যিনি অন্য কোনােভাবে পরিত্যক্ত বা স্বামীর | ভরণ-পােষণ হইতে বঞ্চিত নহেন;
তবে শর্ত থাকে যে, মত পুত্রের বিধবা স্ত্রী বা স্ত্রীগণ এবং সন্তান বা সন্তানগণ মৃত পুত্র জীবীত থাকিলে তাহাদের যে অংশ প্রাপ্য হইত কেবল ঐ পরিমাণ অংশই তাহাদের সকলের সমহারে প্রাপ্য হইবে এবং তাহাদের ক্ষেত্রে ১ম শর্তের দফা
(ক) -এর বিধান কার্যকর হইবে না।
২) চাঁদাদাতার যদি কোনাে পরিবার না থাকে এবং, তিনি যদি বিধি ৬ মােতাবেক বা ইতিপূর্ব হইতে বলবৎ বিধি মােতাবেক অন্য কোনাে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অনুকূলে মনােনয়ন প্রদান করিয়া থাকেন, তাহা হইলে, তহবিলে তাহার জমা অর্থ বা উহার যে অংশের জন্য মনােনয়ন দেওয়া হইয়াছে ঐ অংশ উক্ত মনােনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে প্রদেয় হইবে।।
টীকা:
১। এই বিধি অনুসারে চাঁদাদাতার পরিবারের কোনাে সদস্যকে প্রদেয় অর্থ ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ – এর ধারা- ৩ -এর উপধারা- ২ -এর অধীনে এইরূপ সদস্যকে প্রদেয় হইবে।
২। কোনাে মনােনীত ব্যক্তি ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ -এর ধারা-২ -এর দফা (গ) -এর সংজ্ঞা মতে চাঁদাদাতার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি হইলে তহবিলের অর্থ উক্ত আইনের ধারা-৩ -এর উপধারা (২) -এর অধীনে মনােনীত ব্যক্তিকে প্রদেয় হইবে।
৩। চাঁদাদাতার যদি কোনাে পরিবার না থাকে এবং তিনি যদি বিধি ৬ -এর বিধান মােতাবেক মনােনয়ন না। | করিয়া থাকেন বা তহবিলে তাহার জমা অর্থের অংশবিশেষের জন্য মনােনয়ন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে। তহবিলে তাহার জমা সমুদয় অর্থের ক্ষেত্রে বা উহার যে অংশের উপর মনােনয়ন সম্পর্কিত নহে উহার ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫-এর ধারা-৪ -এর উপধারা (১) -এর দফা (খ) এবং দফা (গ) -এর উপদফা (২) প্রযােজ্য হইবে।
পরিশােধ
২২। ১) তহবিলে চাঁদাদাতার জুমারূপে স্থিত অর্থ প্রদেয় হইলে, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে প্রদেয় হওয়ার কথা চাঁদাদাতাকে বা তাঁহার মনােনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীগণকে অবহিত করা এবং ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ এর ধারা-৪ -এ বর্ণিত পদ্ধতিতে জমা অর্থ প্রদান করা।
২) এই বিধিমালার অধীনে যে ব্যক্তিকে অর্থ প্রদান করা হইবে অথবা বিধি ১৯ অনুযায়ী বিমা পলিসি পুনঃঅ্যাসাইন করা হইবে, উক্ত ব্যক্তি অপ্রকৃতিস্থ হইলে তাহাকে প্রদান না করিয়া অপ্রকৃতিস্থতা আইন, ১৯১২
-এর অধীনে ম্যানেজার নিয়ােগকৃত হইলে উক্ত অপ্রকৃতস্থকে অর্থ প্রদান বা পুনঃঅ্যাসাইন না করিয়া উক্ত ম্যানেজারকে প্রদান বা অ্যাসাইন করিতে হইবে।
৩) এই বিধির অধীনে অর্থের দাবি করিতে হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন করিতে হইবে।
প্রদেয় অর্থ বাংলাদেশের মধ্যে টাকায় প্রদেয় হইবে
টীকা: ১। তহবিলে চাঁদাদাতার জমারূপে স্থিত অর্থ বিধি-২০ ও ২১ -এর অধীনে প্রদেয় হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রদেয় ‘ অর্থের যে অংশ সম্পর্কে কোনাে সন্দেহ বা বিরােধ নাই তাহা প্রদানের জন্য তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, এবং অবশিষ্টাংশ যথাশীঘ্র সম্ভব সমন্বয় করিতে হইবে।
২। কোনাে মনােনয়ন বা বৈধ মনােনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে তহবিলে চাঁদাদাতার জমা অর্থের পরিমাণ ৫,০০০/- টাকা বা উহার কম হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা যথাযথ তদন্তের পরে চাঁদাদাতার সেই উত্তরাধিকারীগণকে অর্থ প্রদান করিতে পারিবেন যাহাদিগকে তাহার নিকট অন্যভাবেও উহার পাইবার অধিকারী বলিয়া মনে হয়।
৩। তহবিলে তাহার অবসরগ্রহণের সময়ে তাহার পুঞ্জীভূত অর্থ হইতে তাহাদিগকে প্রদেয় বা চাঁদাদাতার মনােনীত ব্যক্তিকে বা উত্তরাধিকারীগণকে চাকরিতে থাকা অবস্থায় চাঁদাদাতার মৃত্যু ঘটিলে বা তাহার অবসর গ্রহণের পরে তাহার পুঞ্জীভূত অবণ্টিত অর্থ হইতে চাঁদাদাতা কর্তৃক প্রদেয় বলিয়া নির্ধারিত অর্থের কোনাে বিয়ােজন সরকারের পক্ষে ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ -এর ধারা ৩ -এর উপধারা ১ -এর। সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে। সর্বোত্তম পন্থা হইতেছে পুনঃপ্রদানকে একটি দ্বিতীয় লেনদেন হিসাবে গণ্য করা।
প্রদেয় ভবিষ্য তহবিল হইতে স্থানান্তর
২৩। ১) প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের চাঁদাদাতা কোনাে সরকারি কর্মচারী সরকারের অধীনে কোনাে পেনশনযােগ্য চাকরিতে স্থায়ীভাবে বদলি হইলে তিনি উক্ত চাকরিতে নিজ পছন্দ অনুযায়ীক) প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান অব্যাহত রাখিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে তিনি কোনাে পেনশন লাভের অধিকারী হইবেন না বা সাধারণ ভবিষ্য তহবিলেও চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন না, অথবা ।
খ) চাকরি পেনশনের জন্য গণনা করিতে পারিবেন এবং এই ক্ষেত্রে তাহাকে প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান বন্ধ করিতে এবং সাধারণ ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান শুরু করিতে হইবে। প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে তাহার চাঁদা এবং সরকারের দান মিলিতভাবে তদুপরি সুদ (অথবা বৃদ্ধি] ১ সমেত তাহার অনুকূলে জমারূপে স্থিত সমগ্র অর্থ তাহার সাধারণ ভবিষ্য তহবিল হিসাব-এ জমা হইবে এবং তাঁহার বদলিপরবর্তী চাকরিকাল পেনশনের জন্য গণনা করা হইবে। অবশ্য কোনাে ক্ষেত্রে সরকার যদি বিশেষ বিবেচনায় যে অতীত চাকরিকালে প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান করিয়াছেন তাহাও গণনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহা হইলে উক্ত ক্ষেত্রে প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে শুধু তাঁহার প্রদত্ত সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধিীসমেত তাহার ভবিষ্য তহবিলের হিসাব-এ স্থানান্তরিত হইবে এবং সরকারের প্রদত্ত অর্থ উহার সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] সমেত সরকারকে ফেরৎ দিতে হইবে এবং তাহা সাধারণ রাজস্ব খাতে জমা দিতে হইবে।
২) পেনশনযােগ্য চাকরিতে তাঁহাকে স্থায়ীভাবে বদলির আদেশের তারিখের ছয় মাসের মধ্যে চাঁদাদাতা উপ বিধি (১) -এর অধীনে তাঁহার পছন্দের কথা পত্র দ্বারা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে জানাইবেন, ঐ সময়কালের মধ্যে | হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে তাহা প্রাপ্ত না হইলে ধরিয়া লওয়া হইবে যে, চাঁদাদাতা প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদান অব্যাহত রাখার পক্ষে তাঁহার পছন্দ প্রয়ােগ করিয়াছেন।
প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে প্রবেশ লাভ
২৪। তহবিলের কোনাে চাঁদাদাতা পরবর্তী সময়ে প্রদেয় তহবিলে প্রবেশলাভ করিলে তাহার প্রদত্ত চাঁদা তদুপরি সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধিসহ প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে তাহার হিসাবে স্থানান্তরিত হইবে। যে সময়কালে তিনি প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা পাইবেন তাহা পেনশনের জন্য গণনাযােগ্য হইবে না।
পদ্ধতি সংক্রান্ত বিধি
২৫। এই বিধিমালার অধীনে তহবিলে প্রদত্ত সমুদয় অর্থ সাধারণ ভবিষ্য তহবিল নামের সরকারি হিসাব বহিতে জমা হইবে। এই বিধিমালা অনুসারে প্রদেয় হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে এবং হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক অবহিতকরণের পর ছয় মাসের মধ্যে যে সকল অর্থ গ্রহণ করা হয় নাই তাহা বৎসরের শেষে ‘আমানতসমূহ’ খাতে স্থানান্তরিত হইবে এবং আমানতসমূহ সংক্রান্ত প্রচলিত সাধারণ বিধিসমূহের অধীনে তাহা পরিচালিত হইবে।
চাঁদাদাতা হিসাব নম্বর
২৬। বেতন হইতে কর্তন দ্বারা হউক বা নগদ অর্থে হউক চাঁদা প্রদানের সময় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক জ্ঞাপনকৃত তহবিলস্থ তাঁহার হিসাবের নম্বরটি উল্লেখ করিতে হইবে। হিসাব নম্বরের যে কোনাে পরিবর্তনও একইভাবে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা চাঁদাদাতাকে জ্ঞাপন করিবেন।
চাঁদাদাতার হিসাব বিবরণী
২৭।১) প্রতিটি বত্সরের শেষে যত শীঘ্র সম্ভব হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রত্যেক চাঁদাদাতার নিকট তহবিলে চাঁদাদাতার হিসাবে একটি বিবরণী প্রেরণ করিবেন। তাহাতে উক্ত বৎসরের প্রথম দিনের প্রারম্ভিক জের গােটা বৎসরটিতে চাঁদাদাতার জমাকৃত বা বিয়ােজিত মােট অর্থ, ৩০শে জুনে সুদ ১ [অথবা বৃদ্ধি] বাবদ জমার মােট পরিমাণ এবং উক্ত তারিখের সমাপনী জের দেখাইতে হইবে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসাব বিবরণীর সহিত নিম্নোক্ত তথ্যাদি সম্পর্কে জানিতে চাহিয়া অনুসন্ধান পত্র সংযুক্ত করিবেন-
ক) তিনি মনােনয়ন প্রেরণ করিয়াছেন কি না অথবা মনােনয়ন বিধি- ৬ বা আগে বলবৎ ছিল এমন বিধি অনুসারে ইতিপূর্বে প্রেরিত মনােনয়নে কোনাে পরিবর্তন করিতে আগ্রহী কি না;
খ) বিধি- ৬ -এর উপ-বিধি (১) -এর প্রবিধি অনুসারে চাঁদাদাতা তাঁহার পরিবারের কোনাে সদস্যের পক্ষে মনােনয়ন প্রদান করেন নাই এমন ক্ষেত্রে, তাহার কোনাে পরিবার হইয়াছে কি না।
২) চাঁদাদাতার বাৎসরিক হিসাব বিবরণীর শুদ্ধতা সম্পর্কে স্বয়ং নিশ্চিত হওয়া এবং কোনাে ভুল বিবরণী প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার গােচরে আনা কর্তব্য।
৩) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা চাহিলে চাঁদাদাতা সর্বশেষ যে মাসের হিসাব লিখিত হইয়াছে তাহার শেষে তহবিলে তাহার জমারূপে স্থিত মােট অর্থের পরিমাণ চাঁদাদাতাকে অবহিত করিবেন।
সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা ১৯৭৯ : ডাউনলোড