সমাজসেবা অধিদফতরাধীন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা নির্দেশিকা-২০২২
২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা – শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে নির্ধারিত আবেদন ফরমে(পরিশিষ্ট-ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালক(কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর বরাবর আবেদন দাখিল করতে হবে।শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে মােটর সাইকেল ক্রয় এবং এর আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচাদির জন্য এককালীন সর্বোচ্চ ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা যাবে। এছাড়া বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গত রেখে যুক্তিসঙ্গত সময় অন্তর অন্তর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুমােদনক্রমে ঋণের পরিমাণ পুন:নির্ধারণ করা যাবে।
বিশেষ ঋণের অর্থে ক্রয়কৃত মােটর সাইকেল বিক্রয়- বিশেষ ঋণের অর্থ পরিশােধের পূর্বে মােটর সাইকেল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদফতরের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। বিক্রয়মূল্য হতে অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী বকেয়া ঋণ পরিশােধ করার শর্তে বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে এবং মােটর সাইকেল বিক্রয়ের অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে অপরিশােধিত অর্থ এককালীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উক্ত নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে পরিশােধ করতে হবে।
দুর্ঘটনা ও চুরি- ব্যাংক সুদের অর্থ দ্বারা ক্রয়কৃত মােটর সাইকেল সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন। মােটর সাইকেল হারানাে/চুরি বা যে কোন প্রকারের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য ঋণগ্রহীতা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না।
মােটর সাইকেল মালিকানা- মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য গৃহীত বিশেষ ঋণের সমুদয় অর্থের কিস্তি পরিশােধের পর পরিচালক (কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক প্রদত্ত না-দাবীপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারি মােটর সাইকেলের মালিক হবেন।
মোটর সাইকেল ঋণের কিস্তি কিভাবে আদায় করা হবে? / বিশেষ ঋণ আদায়ের পদ্ধতি
মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য ঋণের কিস্তি পরিশােধ বাবদ অর্থ পরিচালক (কার্যক্রম) ও উপপরিচালক (ইউসিডি), সমাজসেবা অধিদফতর, ঢাকা এর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত শহর সমাজসেবা কার্যক্রম (ইউসিডি) এর “কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ ব্যবহার” হিসাবে প্রতি মাসের সর্বোচ্চ ১০ তারিখের মধ্যে MT/ক্রসচেক/অনলাইন/পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট মারফত প্রেরণ করতে হবে এবং জমা রশিদের সত্যায়িত ফটোকপি/প্রমাণক উপপরিচালক (ইউসিডি), সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর পত্রসহ প্রেরণ করতে হবে। (ক) মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য গৃহীত বিশেষ ঋণ শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০(চল্লিশ)টি সমান কিস্তিতে আদায়যােগ্য হবে এবং ঋণের অর্থ উত্তোলনের পরবর্তী মাস হতে কিস্তি পরিশােধ শুরু করতে হবে। কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় যেকোন সময় অপরিশােধিত সমুদয় অর্থ এককালীন পরিশােধ করতে ইচ্ছুক হলে অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে তা জমা করতে পারবেন। তবে অবসরে যাওয়ার পূর্বে সমুদয় অর্থ অবশ্যই পরিশােধ করতে হবে। কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী সেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করলে চাকরি ত্যাগের পূর্বে অবশ্যই ঋণের সমুদয় অর্থ পরিশােধ করতে হবে। সরকার কর্তৃক কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অপসারণ বা বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা হলে সমাজসেবা অধিদফতর বন্ধকী মােটর সাইকেল বিক্রয়পূর্বক এর ঋণ সমন্বয় করবে। এরপরও ঋণ অপরিশােধিত থাকলে সরকারি দাবী আদায় আইনের বিধান অনুযায়ী সরকারি পাওনা হিসেবে আদায়যােগ্য হবে। বিশেষ ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হলে তার গ্রাচুয়িটি হতে অপরিশােধিত ঋণের টাকা আদায় করা হবে। গ্রাচুইটি হতে আদায়ের পর ঋণের অপরিশােধিত অর্থ উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর পারিবারিক পেনশন হতে আদায় করা হবে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ পূর্ববর্তী মাসের ঋণের কিস্তি পরিশােধ নিশ্চিত করা সাপেক্ষে পরবর্তী মাসের বেতনবিল দাখিল/অনুমােদন করবেন। বদলীককৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীর ঋণের কিস্তি অপরিশােধিত থাকলে তার অব্যাহতি পত্রে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবশ্যিকভাবে তা লিপিবদ্ধ করবেন।
ইতােপূর্বে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত থাকাবস্থায় যারা এ ধরণের বিশেষ ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেছেন কিন্তু বর্তমানে শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন তারা এ বিশেষ ঋণ প্রাপ্তির যােগ্য হবেন না। ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ অন্যান্য ঋণ গ্রহণ করলে এবং তা সম্পূর্ণ পরিশােধ না করলে এ বিশেষ ঋণ প্রাপ্তির যােগ্য হবেন না।
মোটর সাইকেল ঋণ মঞ্জুরের শর্ত সমূহ । ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।
- বিশেষ ঋণ সুবিধা নীতিমালার অধীন মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য প্রদত্ত ঋণ সমাজসেবা অধিদফতর মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ বলে বিবেচিত হবে।
- শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে নির্ধারিত আবেদন ফরমে(পরিশিষ্ট-ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালক(কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর বরাবর আবেদন দাখিল করতে হবে।
- শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে মােটর সাইকেল ক্রয় এবং এর আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচাদির জন্য এককালীন সর্বোচ্চ ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা যাবে। এছাড়া বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গত রেখে যুক্তিসঙ্গত সময় অন্তর অন্তর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুমােদনক্রমে ঋণের পরিমাণ পুন:নির্ধারণ করা যাবে।
- সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক এর নেতৃত্বে ০৭(সাত) সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকসুদ ব্যবহার ও বাস্তবায়ন সদর দপ্তর কমিটি ঋণ প্রাপ্তির আবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই করবেন এবং ঋণের জন্য আবেদনকারীদের মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতা, প্রয়ােজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে বিশেষ ঋণ প্রদান করা হবে। আবেদন প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অধিদফতর হতে ঋণ মঞ্জুর কিংবা নামঞ্জুর করা হবে।
- কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী তাঁর চাকরিকালে একবারের বেশী এ নীতিমালার অধীন বিশেষ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না।
- শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী ক্ষুদ্রঋণ খাতে শহর সমাজসেবা কার্যালয়সমূহ হতে প্রাপ্ত সর্বমােট ব্যাংক সুদের ৪০% অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকসুদ ব্যবহার হিসাবে গচ্ছিত/সংস্থান থাকা সাপেক্ষে মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য বিশেষ ঋণ প্রদান করা হবে।
- বিশেষ ঋণগ্রহিতাকে শারীরিকভাবে সক্ষম ও বৈধ ড্রাভিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য বিশেষ ঋণ প্রাপ্তির আবেদনের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
- সন্তোষজনক চাকরীর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র থাকতে হবে।
ক্রয়কৃত মােটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ও বীমা কার নামে হবে?
মােটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য বিশেষ ঋণের অর্থ উত্তোলনের অনধিক ২ (দুই) মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীকে মােটর সাইকেল ক্রয় এবং রেজিস্ট্রেশন, বীমা ও এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করতে হবে। সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (কার্যক্রম) ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর যৌথ নামে মােটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন/লাইসেন্স ও ইনসুরেন্সসহ সকল ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ নিজ দায়িত্বে বহন করবেন। এ ব্যাপারে আলাদা কোন বরাদ্দ প্রদান করা হবে না।
বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির যােগ্যতা কি?
শহর সমাজসেবা কার্যক্রম(ইউসিডি)তে স্থায়ী পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যারা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে নিয়ােজিত। এ বিশেষ ঋণ সুবিধা পেতে হলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এর চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কমপক্ষে ০৩(তিন) বছর দায়িত্ব পালন/কর্মরত থাকতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এর চাকরী সন্তোষজনক হতে হবে। ঋণের জন্য আবেদনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের চাকরীর বয়সের শেষ সীমা কমপক্ষে ০৫(পাঁচ) বছর থাকতে হবে। শুধুমাত্র শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এ বিশেষ ঋণ সুবিধা পাবেন।শহর সমাজসেবা কার্যালয় ব্যতিত অন্য কার্যালয়/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এ ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রস্তাবিত ঋণের টাকার সমপরিমাণ অর্থ পেনশন বা গ্রাচুয়িটি হতে প্রাপ্য না হলে ঋণ প্রাপ্তির যােগ্য হবেন না।
সমাজসেবায় মোটর সাইকেল ঋণ সুবিধা নির্দেশিকা ২০২২ । ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা: ডাউনলোড