সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ নির্ধারণ কমিটি ২০২৪ । ৫ সদস্যের কমিটি ৭ দিনের মধ্যে কি কি বিষয় বিবেচনা করবে?

সরকারি চাকরি প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনাপূর্বক যথাবিহীত সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে-সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ নির্ধারণ কমিটি ২০২৪

সরকারি কমিটির কাজ কি হবে? কমিটি দেশের বর্তমান চাকরির বয়সসীমা এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে তুলনা করবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও এর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করবে। বিগত কোভিড-১৯ এর অভিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, কোডি৬-১৯ এবং অন্যান্য প্রভাবকারী উপাদানগুলি বিবেচনা করবে। দেশের শিক্ষাবিদ, চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত গ্রহণ করবে।

আইনি জটিলতা আছে কি? কমিটি আইনি এবং প্রশাসনিক দিকগুলো যাচাই বাছাই করবে।  চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আইনগত ও প্রশাসনিক বাধাগুলি বিশ্লেষণ করবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন ও সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবেন। সরকা চাকরিরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির ফলে শ্রম বাজারে কী ধরণের প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করে দেখবেন। সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করবেন। সরকারের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি পায় কিনা বা পেলে সেটি কি পরিমান বৃদ্ধি পায়।

বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবনা প্রস্তুতি নিবে? হ্যাঁ। প্রাসঙ্গিক তথ্য ও পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করে একটি সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করবেন। প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবেন। কার্যপরিধি অনুযায়ী কার্যক্রম সমাপ্তির পর কমিটির সুপারিশ সংবলিত একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন। এছাড়াও রিপোর্টটি অন্তবর্তী সরকারের কাছে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে পেশ করবেন। এ সাত কর্মদিবস ৩০ তারিখ হতেই হিসাব করা হবে। 

শেষ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ছে/ ৩২ করার গুঞ্জন শোনা গেলেও দেখা যাক কমিটি কি প্রস্তাবনা নিয়ে আসে

৭ কর্মদিবস হিসাব করলে মঙ্গল বা বুধ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বোচ্চ আগামী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

Caption: Full pdf download link

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বৃদ্ধির প্রস্তুতি ২০২৪ । এ বিষয়ে কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে

  1. সেসব দেশের শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পান।
  2. বাংলাদেশেও একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তরুণেরা তাঁদের কর্মজীবনের শুরুতে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পাবেন, যা তাঁদের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
  3. বর্তমান সময়ে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, তাই অনেকেই দীর্ঘ সময় কর্মক্ষম থাকতে পারেন।
  4. কর্মক্ষেত্রে পরিপক্বতা এবং অভিজ্ঞতা অনেক সময় তত্ত্বীয় জ্ঞানের চেয়ে বেশি কার্যকর।
  5. মানসিক ও শারীরিকভাবে তাঁরা আরও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেন।
  6. এটি কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সফলতা অর্জনে সহায়তা করে।
  7. তবে বয়সসীমা বেশি বাড়ালে তাঁদের তুলনায় বয়স্ক প্রার্থীরা বেশি সময় পাবেন, যা তরুণ প্রার্থীদের জন্য নিরুৎসাহিত হতে পারেন ও নতুনত্বের অভাব কর্মক্ষেত্রের স্বাভাবিক উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সেই সঙ্গে পেশাগত দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

সরকারি কমিটি কি আবার সম্মানী নিবে?

হ্যাঁ। সাচিবিক সহায়তা, লজিস্টিকস ও অন্যান্য নিবে তারা যেমন গাড়ি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরকারি সরঞ্জাম ব্যবহার করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটির জন্য একটি যথোপযুক্ত দপ্তর ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস প্রদানের ব্যবস্থা করবে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভার সদস্যগণ প্রতি সভার জন্য যেরূপ সম্মানী পেয়ে থাকেন, এ কমিটির সদস্যগণ একই খাত থেকে সমপরিমাণ সম্মানী প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

 

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *