Govt. Essential Services 2025 । অত্যাবশ্যকীয় চাকরিতে অনুপস্থিত থাকলে কি শাস্তি হবে?
অত্যাবশ্যকীয় সরকারি চাকরিতে (Essential Services) অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চাকরি থেকে অপসারণ, নিম্নপদ বা বেতন গ্রেডে অবনমন, এবং ক্ষেত্রবিশেষে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এছাড়াও, অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে– Govt. Essential Services 2025
শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া কি? অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোট ১৪ দিনের মধ্যে শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে। কোনো কর্মচারীকে দণ্ড দেওয়া হলে তিনি ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বলা হয়েছে, অসদাচরণ প্রমাণিত হলে কর্মীর চাকরির বয়স নির্বিশেষে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে এবং তার চাকরি জীবনের মেয়াদ অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত আর্থিক সুবিধা পাবেন।
বিদ্যুৎ, পানি ও ট্যাক্স সার্ভিস কি বন্ধ রাখা যাবে? না। কোনো এলাকায় যদি কোনো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ঘোষণা করা হয়, তাহলে সেই এলাকার চাকরিজীবীদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হতে পারে। এছাড়া, ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিতে পারে। কোনো কর্মচারী যদি ছুটি বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কাজে অনুপস্থিত থাকেন বা এ ধরনের কাজে অন্যকে উৎসাহিত করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
নতুন আইনে কি করলে কি শাস্তি হবে? অপরাধ ও দণ্ড। — (১) কোনো ব্যক্তি (ক) অন্য কোনো ব্যক্তির সহিত সংঘবদ্ধভাবে বা কোনো যৌথ উদ্দেশ্যে অথবা এককভাবে কোনো আইনসংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ অমান্য করিলে, অথবা এইরূপ কোনো আদেশ অমান্য করিবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করিলে, অথবা কাজ করিতে বা কাজ চলমান রাখিতে অস্বীকার করিলে, বা (খ) যৌক্তিক কারণ ব্যতীত কাজে অনুপস্থিত থাকিলে বা চাকরি পরিত্যাগ করিলে, (গ) বা ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত কোনো আদেশ অমান্য করিলে, উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (২) কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট আরম্ভ করিলে বা চলমান রাখিলে বা অন্য কোনো প্রকারে এইরূপ কোনো ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করিলে অথবা অন্য কোনোভাবে উহাকে চলমান রাখিবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে উৎসাহিত বা প্ররোচিত করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধর্মঘট করলে বা চাকরি অনুপস্থিত থাকলে? (৩) কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট চলমান রাখিবার জন্য বা সমর্থন করিবার জন্য জ্ঞাতসারে অর্থ ব্যয়, চাঁদা প্রদান বা সরবরাহ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (৪) কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক বেআইনি লকআউট আরম্ভ করিলে বা চলমান রাখিলে বা অন্য কোনোভাবে উহাকে চলমান রাখিবার জন্য কোনো কাজ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। (৫) কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে লে-অফ করিলে বা লে-অফ অব্যাহত রাখিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২৫ । আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।
সরকারি কি ভ্যাট ও ট্যাক্সকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করতে পারে? হ্যাঁ। অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসাবে ঘোষণা করিবার ক্ষমতা।—(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিম্নবর্ণিত কোনো চাকরি বা কোনো শ্রেণির চাকরির সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো পরিষেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে, যথা:— (ক) কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হইলে জনকল্যাণমূলক সেবা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হইবার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ কোনো পরিষেবা, (খ) জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হইবার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ কোনো পরিষেবা; (গ) জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে এইরূপ কোনো পরিষেবা; এবং (ঘ) দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে সমগ্র দেশ বা ইহার কোনো অংশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় এইরূপ কোনো পরিষেবা।
Caption: Govt. Essential Services pdf
অত্যাবশ্যকীয় সেবা ২০২৫ । সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে। এর ফলে, এই সকল বিভাগের কর্মীরা তাদের কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে
- ডাক ও টেলিযোগাযোগ।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
- ই-কমার্স ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল সেবা।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ ও বিক্রয় এবং এ-সংক্রান্ত স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ কাজ।
- স্থল, রেল, জল বা আকাশপথে যাত্রী বা পণ্য পরিবহন।
- স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস।
- এনবিআর বা ভ্যাট ট্যাক্স ও শুল্ক সার্ভিস।
হাসপাতাল কি অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস?
হ্যাঁ। এছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ই-কমার্স এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল সেবা; ডিজিটাল আর্থিক সেবা; বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ ও বিক্রয় এবং এতৎসংক্রান্ত স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্য; স্থলপথ, রেলপথ, জলপথ বা আকাশপথে যাত্রী বা পণ্য পরিবহণ সেবা; বিমান ও বিমানবন্দর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত পরিষেবাসহ বাংলাদেশ বেসামরিক ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধিভুক্ত অন্য যে কোনো পরিষেবা; স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস, স্থানান্তরসহ সংশ্লিষ্ট বন্দর বা বন্দর সম্পর্কিত পরিষেবা; সশস্ত্র বাহিনীর আওতাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত পরিষেবা এবং দেশের প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা; খাদ্যদ্রব্য ক্রয়, বিক্রয়, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিতরণের কাজে নিযুক্ত সরকারি মালিকানাধীন বা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা; সরকারি মালিকানাধীন বা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং পানি সরবরাহ বা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা; হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান এবং ডিসপেনসারি সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা,; ঔষধ উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়সহ তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা কারখানার সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা; কয়লা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইস্পাত ও সার উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ বা বিতরণের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা; কোনো তেলক্ষেত্র, তেল শোধনাগার, তেল সংরক্ষণাগার এবং পেট্রোলিয়াম বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সহিত সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে গণনা হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি, এই আইন প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোনো চাকরি বা উক্তরূপ শ্রেণির কোনো | চাকরিতে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা প্রদান বা প্ররোচিত করেন | এবং উক্ত সহায়তা বা প্ররোচনার ফলে উক্ত অপরাধটি সংঘটিত হয় বা সংঘটনের চেষ্টা করা হয়, |
তাহা হইলে উক্ত সহায়তাকারী বা প্ররোচনাদানকারী উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। | ||