পেনশন । লাম্পগ্র্যান্ট I পিআরএল

এককালীন পেনশন প্রাপ্যতা ২০২৫ । মৃত কর্মচারীর পরিবারের যে যে সদস্য আনুতোষিক প্রাপ্য হয়

আনুতোষিক বন্টন হয় নমিনি অনুসারে যদি নমিনি না দেয়া থাকে তবে পরিবারের সদস্যগণ সমহারে প্রাপ্য হইবেন-এককালীন পেনশন প্রাপ্য ২০২৫ 

মাসিক পেনশন কে পাবেন? সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যুতে স্বামী বা স্ত্রী বিয়ে না করার শর্তে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হয়। স্বামী স্ত্রী দুজনেই গত হলে প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হয়। যদি দুটি বিষয় না থাকে তবে ২৫ বছর পর্যন্ত সন্তান বা ২৫ বছর পূর্ণ হলেও পেনশন শুরু হতে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হয়।  পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ । পেনশন সহজীকরণ নীতিমালা PDF । পেনশন বিধিমালা ২০২০

০১। মনোনয় না থাকিলে কর্মচারীর মৃত্যুতে পরিবারের নিম্নবর্ণিত সদস্যগণ সমান হারে আনুতোষিক প্রাপ্য- (১) মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্বামী; (২) পুরুষ কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্ত্রীগণ; (৩) মৃত কর্মচারীর ২৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত পুত্র; (৪) মৃত কর্মচারীর অবিবাহিত কন্যা; (৫) মৃত কর্মচারীর বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা; এবং (৬) মৃত কর্মচারীর মৃত পুত্রের- (ক) বিধবা স্ত্রী, (খ) ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক পুত্র, অবিবাহিত কন্যা, বিধবা কন্যা (মৃত পুত্রের প্রাপ্য অংশ সকলে প্রাপ্য)।

পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক প্রাপ্যতা । পরিবারের কোন সদস্য কত টুকু অংশ পাবেন

২। উপরের ১নং অনুচ্ছেদের সদস্যগণ না থাকার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সদস্যগণ আনুতোষিক প্রাপ্য- (১) মৃত কর্মচারীর ২৫ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র; (২) মৃত কর্মচারীর বিবাহিত কন্যা; এবং (৩) (৬) মৃত কর্মচারীর মৃত পুত্রের ১৮ বৎসরের অধিক বয়স্ক পুত্র ও বিবাহিত কন্যা (মৃত পুত্রের প্রাপ্য অংশ সমহারে প্রাপ্য)।

৩। উপরের ১ নং ও ২নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিবারের কোন সদস্য না থাকার ক্ষেত্রে মৃত কর্মচারীর নিম্নোক্ত আত্মীয়বর্গ সমহারে আনুতোষিক প্রাপ্য-

  • (১) মৃত কর্মচারীর ১৮ বৎসরের কম বয়স্ক ভাই;
  • (২) অবিবাহিত বোন;
  • (৩) বিধবা বোন;
  • (৪) পিতা; এবং
  • (৫) মাতা।

৪। উপরের ১নং হইতে ৩নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়বর্গ না থাকার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক কোন আনুতোষিক প্রদেয় হইবে না।

আনুতোষিক প্রাপ্যতার পরিবারের সদস্য কে কে?

আনুতোষিক প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে “পরিবারের সদস্য” বলতে সাধারণত মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী এবং তাদের সন্তানকে বোঝায়। এছাড়াও, মৃত ব্যক্তির বাবা-মা, ভাই-বোন, এবং অন্যান্য নির্ভরশীল আত্মীয়ও কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের জন্য যোগ্য হতে পারে। আনুতোষিক প্রাপ্যতার পরিবারের সদস্যরা কারা, তা বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো:

স্বামী/স্ত্রী: মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামীর ক্ষেত্রে, তারা যদি পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হন, তাহলে তারা পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য।

সন্তান: মৃত ব্যক্তির সন্তানরা, বিশেষ করে যদি তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক বা প্রতিবন্ধী হয়, তাহলে তারা পারিবারিক পেনশনের জন্য যোগ্য হতে পারে।

অন্যান্য নির্ভরশীল সদস্য: কিছু ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির বাবা-মা, ভাই-বোন, এবং অন্যান্য নির্ভরশীল আত্মীয়ও পারিবারিক পেনশনের জন্য যোগ্য হতে পারে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন এবং শর্তাবলী থাকে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কোনো সরকারি কর্মচারী মারা গেলে তার পেনশন তার নমিনি পাবে। যদি কোনো নমিনি না থাকে, তবে তার স্ত্রী বা স্বামী পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবে. এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে বিচারকগণ অবসর গ্রহণের আগে বা পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পারিবারিক পেনশন মনোনীত করতে পারেন।

আরও বিস্তারিত জানতে পেনশন বই দেখুন…….

Pension Book PDF File । পেনশন বিধিমালা PDF ডাউনলোড করুন

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

4 thoughts on “এককালীন পেনশন প্রাপ্যতা ২০২৫ । মৃত কর্মচারীর পরিবারের যে যে সদস্য আনুতোষিক প্রাপ্য হয়

  • golamrabby567@gmail.com

    আস-সালামুৃ-আলাইকুম,

    আমার বাবার পেনশন শুরু হওয়ার তারিখ ছিল 01/01/2025, উনার আনুতোষিকের চেক AG অফিস হতে রেডি হয়েছিল। আমার বাবা আনুতোষিকের চেক AG অফিস হতে উত্তোলন করতে পারেন নাই কারণ তিনি চেক উত্তোলনের পূর্বেই 18/03/2025 তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। উনি পেনশন ভোগ করাও শুরু করে যেতে পারেন নাই। আমার বাবার ০২জন স্ত্রী। আমার বাবার মৃত্যূর পর উনার অফিসে খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পারি “আমার বাবা উনার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দ্বিতীয় পরিবারের চার সন্তানকে নমিনী করে যান”। আমার মা আমার বাবার ১ম স্ত্রী। আমার বাবা উনার ১ম স্ত্রীর ও ১ম পরিবারের চার সন্তানের বিষয় অফিসে গোপন করেছেন। আমার বাবার মৃত্যূর পর উনার ২য় স্ত্রী AG অফিস তাঁর নামে আনুতোষিকের চেক ও পেনশন চালু করার জন্য আবেদন দেন। AG অফিস থেকে ২য় স্ত্রী আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাইল আমার বাবার অফিসে ফেরত পাঠানো হয়। আমরা ১ম পরিবার আমার বাবার অফিসে এবং AG অফিসে আমার মা (১ম স্ত্রী) এর নামেও আনুতোষিকের চেক ও পেনশন প্রাপ্তির জন্য আবেদন দাখিল করি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমার বাবার অফিসে হতে আমাদেরকে মৌখিকভাবে জানানো হয় “আমার বাবার আনুতোষিকের চেক ও পেনশন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আমার বাবা যেহেতু উনার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দ্বিতীয় পরিবারের চার সন্তানকে নমিনী করে গিয়েছেন সেহেতু উনার ১ম স্ত্রীর (আমার মা) ও ১ম পরিবারের চার সন্তান আনুতোষিকের চেক ও পেনশন সংক্রান্ত কোন কিছুই পাবে না। ১ম স্ত্রীর (আমার মা) ও ১ম পরিবারের চার সন্তান কোন কিছু প্রাপ্য নয়”।

    দয়া করে সুপরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
    দয়া করে আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

    ভাল থাকবেন,
    আল্লাহ হাফেজ।

  • বুঝতে পেরেছি। ১ম স্ত্রী এবং পক্ষ কোর্টে সাকসেশন মামলা করুন। আনুতোষিক ও পেনশনের অংশ পেয়ে যাবেন। দ্রুত মামলা করলে কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। আইনজীবী অফিস ও ২য় পক্ষকে নোটিশ পাঠাবে।

  • আসসালামুয়ালাইকুম,
    আমার বাবার পেনশন “বাবার মৃত্যুর পর” আমার আম্মা পাচ্ছে,
    এখন আমি জানতে চাই যে আমার আম্মার পর কি আমার বোন পেনশন পাবে?
    বোন তালাকপ্রাপ্ত এবং হেপাটাইটিস রোগী

  • বাবার মৃত্যুর হতে ১৫ বছর হিসাব করে যদি এর মধ্যে মা মারা যান তবে ১৫ বছর পূর্ণ হতে অবশিষ্ট সময়ের জন্য তালাকপ্রাপ্ততা কন্যা পেনশন পাইবেন। এ টুকুই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *