সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টসমূহ

মসজিদের সম্মানীর বিষয়ে কমিটি গঠন ২০২৫ । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের বেতন দিবে সরকার?

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬ যুগোপযোগী করা এবং জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার হতে সম্মানী প্রদান করা হবে-মসজিদের সম্মানীর বিষয়ে কমিটি গঠন ২০২৫ 

২০০৬ সালে নীতিমালা হয়েছিল? হ্যাঁ। নং ধর্ম/সংস্থা/৭-৩/২০০৪ /৫০৭- (ক) পবিত্র কাবা পৃথিবীর সর্বপ্রথম ইবাদতগৃহ। এই পবিত্র কাবাগৃহের অনুকরণে পৃথিবীতে গড়িয়া উঠিয়াছে অসংখ্য মসজিদ। মসজিদ মুসলমানদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণকর সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মসজিদ সেই ভূমিকাই পালন করিত। কালের বিবর্তনে মসজিদ সেই ঐতিহ্য হারাইয়া শুধুমাত্র ইবাদতখানায় পরিণত হইয়াছে। মানব জীবনের সামাজিক বা অর্থনৈতিক বিষয়গুলি মসজিদের পরিমন্ডলে অনুপস্থিত হইয়া পড়িয়াছে। সামাজিক শৃংখলা ও ভারসাম্য রক্ষাপূর্বক সমাজ বিনির্মাণে মসজিদ কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম হইতেছে না। একই সাথে ইমামগণও শুধুমাত্র নামাজ পড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হইয়া পড়িয়াছেন । অথচ সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ইমামগণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিবার সুযোগ রহিয়াছে।

মসজিদের ইমাম নিয়োগ নীতিমালা আছে? হ্যাঁ। ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান মসজিদ নির্মাণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য এই যাবৎ কোন নীতিমালা প্রণীত হয় নাই। ফলে একদিকে মসজিদ নির্মাণে ধর্মীয় বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছে না, অন্যদিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ বা পরিচালনার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হইতেছে বিধায় ইমামগণ আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডে যথাযথ ভূমিকা পালন করিতে পারিতেছেন না। সেই কারণে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়োগ, মসজিদ কমিটি গঠন এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য নিরূপণসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে । জাতীয় সংসদের ২৬-০১-২০০৪ইং তারিখের অধিবেশনে বিষয়টি আলোচিত এবং মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সরকার নিম্নরূপ ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ জারী করিতেছে।

সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত মসজিদসহ বাংলাদেশের অন্যান্য মসজিদের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় ও দিক-নির্দেশনামূলক হইবে।

ইমামদের সামাজিক মর্যাদা ও চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সম্প্রতি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার আশা করে ইমামদের দ্বারা সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার ভিত্তিতে সামাজিক উন্নয়নে জাগরণের সৃষ্টি হবে। এ জাগরণ সৃষ্টিতে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রাপ্ত সম্পদের মধ্যে নীতিমালার যথাসম্ভব বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখবে।

Caption: মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০৬

মসজিদ নির্মাণ । মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে কোন জমি ওয়াকফ, দান, ক্রয় অথবা আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বরাদ্দকৃত না হইলে উক্ত জমিতে কোন মসজিদ নির্মাণ করা যাইবে না।

  • (গ) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ মসজিদ পরিচালনা কমিটি;
  • (ঘ) “খতিব” অর্থ যিনি জুমআর নামাজে খুতবা দান করেন এবং উক্ত নামাজ পড়ান;
  • (ঙ) “খাদিম” অর্থ যিনি নামাজ পড়ানো ও আজান দেওয়া ব্যতীত মসজিদের অন্যান্য কাজ সম্পাদন করেন;
  • (চ) “পেশ ইমাম” অর্থ যিনি জুমআর নামাজে খুতবা দানসহ জুম’আ ও পাঞ্জেগানা নামাজ পড়ান অথবা মসজিদে একাধিক ইমাম থাকিলে প্রধান ইমামের দায়িত্ব পালন করেন ; (ছ) “প্রধান খাদিম” অর্থ যে মসজিদে একাধিক খাদিম আছেন তাহাদের মধ্যে যিনি প্রধান;
  • (জ) “প্রধান মুয়াজ্জিন” অর্থ যে মসজিদে একাধিক মুয়াজ্জিন আছেন তাহাদের মধ্যে যিনি প্ৰধান;
  • (ঝ) “মসজিদ” অর্থ যে স্থাপনায় নিয়মিত জুম’আ ও দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সহিত আদায় হয়;
  • (ঞ) “মসজিদ পরিচালনা কমিটি” বা “কমিটি” অর্থ অনুচ্ছেদ ৫ এ বর্ণিত মসজিদ- পরিচালনা কমিটি;
  • (ট) “মুয়াজ্জিন” অর্থ যিনি মসজিদে নামাজের আজান দেন ।

ইমামদের বেতন সরকার কোত্থেকে দিবে?

বাংলাদেশে আড়াই লক্ষাধিক মসজিদ রয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মসজিদ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে মসজিদের সেই ঐতিহ্যপূর্ণ ভূমিকা এখন কেবল নামাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অথচ মসজিদের সঠিক ব্যবস্থাপনা চালু থাকলে ইমামগণ তাঁদের আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারতেন। সমাজে ইসলামের গৌরবময় ভূমিকা পূনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য তাঁদের ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাঁদেরকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ইমামদের পারিবারিক কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার উদ্দেশ্যে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *