আয়কর ছাড় ও রিটার্ন দাখিল ২০২৫ । অনলাইনে ই রিটার্ন সাবমিট নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমার সময় শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই থাকলেও, এবারের বাজেটে যুক্ত হয়েছে করদাতাদের জন্য দারুণ কিছু সুবিধা-রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই নতুন পরিবর্তন সম্পর্কে জেনে নিন, যা আপনার কর সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারে– আয়কর রিটার্ন ছাড় ২০২৫
কৃষি আয়ে ছাড় কত টাকা পর্যন্ত? ভাইবোনের দানে আর কর নেই অর্থাৎ এখন থেকে আপন ভাই বা বোনের কাছ থেকে পাওয়া যেকোনো দান (যেমন: টাকা, জমি, ফ্ল্যাট) সম্পূর্ণ করমুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। পারিবারিক সম্পদ হস্তান্তর এখন আরও সহজ করা হয়েছে। কৃষি আয়ে বড় ছাড় আপনি কি শখের বা বাণিজ্যিক কৃষক? আপনার জন্য সুখবর! এখন থেকে কৃষি খাত থেকে বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত থাকবে।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বাড়তি সুবিধা কি? বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় গণনার সময় বিভিন্ন ভাতার বিপরীতে বাদযোগ্য অর্থের পরিমাণ ৪.৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
পেনশনের পুরো আয় কি করমুক্ত? হ্যাঁ। সর্বজনীন পেনশন স্কিম (Universal Pension Scheme) থেকে পাওয়া যেকোনো অর্থ বা সুবিধা এখন সম্পূর্ণ করমুক্ত। পেনশনারদের জন্য এটি একটি বড় স্বস্তি। গুরুতর রোগের চিকিৎসায় করছাড় চাকরিজীবীদের জন্য ক্যানসার, কিডনি, হার্টের চিকিৎসা, মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারসহ নির্দিষ্ট গুরুতর রোগের চিকিৎসা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত থাকবে।
ই রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২৪-২০২৫ । অনলাইনে ই রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ কবে?
সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা কত? মোট আয়ের ২৫% অথবা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা (এটি করবর্ষ অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে), এর মধ্যে যেটি কম, সেই পর্যন্ত বিনিয়োগ বা দান করলে রেয়াত পাওয়া যায়। বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার কম হলে মোট বিনিয়োগ ও দানের ১৫% কর ছাড়। বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে মোট বিনিয়োগ ও দানের ১০% কর ছাড়। কর রেয়াত দাবি করার জন্য আপনাকে আয়কর রিটার্ন ফরমের ২৪D তফসিল (Schedule 24D) পূরণ করে আপনার বিনিয়োগ ও দানের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। বিনিয়োগের প্রমাণপত্র (যেমন: সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের কপি, বীমা প্রিমিয়ামের রশিদ, ডিপিএস স্টেটমেন্ট, শেয়ার ক্রয়ের প্রমাণপত্র, দানের রশিদ ইত্যাদি) সংগ্রহে রাখতে হবে, যদিও রিটার্নের সাথে জমা দিতে হয় না। তবে, কর কর্তৃপক্ষ চাইলে তা দেখাতে হতে পারে।
Caption: https://etaxnbr.gov.bd
ই রিটার্ন অনলাইনে আয়কর কিভাবে দিতে হয়? বাংলাদেশে অনলাইনে আয়কর পরিশোধ করা এখন বেশ সহজ হয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত অটোমেটেড চালান সিস্টেম (Automated Challan System – ACS) বা ই-চালান (e-Challan) এর মাধ্যমে এই কাজটি করা যায়।
- ই-রিটার্ন পোর্টালে প্রবেশ ও রেজিস্ট্রেশন/লগইন: প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-রিটার্ন পোর্টালে যান: etaxnbr.gov.bd। প্রথমবার ব্যবহারকারী হলে: আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন নম্বর এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর সাথে যুক্ত মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে। মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) আসবে, যা দিয়ে ভেরিফাই করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন। ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে: আপনার ই-টিআইএন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- রিটার্ন দাখিলের ধরন নির্বাচন: লগইন করার পর, আপনাকে আপনার ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। এখান থেকে “Income Tax Return” অপশনটি ক্লিক করুন। এরপর কিছু তথ্য নির্বাচন করতে হবে: করবর্ষ (Assessment Year): যে করবর্ষের জন্য রিটার্ন জমা দিচ্ছেন, তা নির্বাচন করুন (যেমন, 2024-2025)। রিটার্ন টাইপ (Return Type): Regular Return (নিয়মিত রিটার্ন): যদি আপনি প্রথমবারের মতো ওই করবর্ষের জন্য রিটার্ন জমা দেন। Revised Return (সংশোধিত রিটার্ন): যদি আপনি আগে জমা দেওয়া রিটার্ন সংশোধন করতে চান। রিটার্নের প্রকৃতি (Nature of Return): আপনার জন্য প্রযোজ্য রিটার্ন ফরমটি নির্বাচন করুন। বেশিরভাগ ব্যক্তিগত করদাতার জন্য “IT-11GA” ফরম প্রযোজ্য। যদি আপনার মোট আয় ৪০ লাখ টাকার বেশি না হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করেন, তবে “IT-11GD (One Page Return)” ফরমটিও ব্যবহার করতে পারেন। রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি (Submission Mode): “অনলাইনে প্রস্তুত করুন এবং জমা দিন” (Prepare and Submit Online) নির্বাচন করুন।
- ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ: ফরমের প্রথম অংশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসতে পারে। যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে বা আপডেট করার প্রয়োজন হয়, তবে তা সংশোধন করুন: টিআইএন, নাম, ঠিকানা, পেশা, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ ইত্যাদি। বিবাহিত হলে স্ত্রী/স্বামীর টিআইএন (যদি করদাতা হন)। পিতা-মাতার নাম। শারীরিক অক্ষমতা বা মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকলে তা উল্লেখ করুন।
- আয়ের উৎস ও বিবরণী পূরণ: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার আয়ের সকল উৎস বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। প্রতিটি আয়ের খাতের জন্য আলাদা তফসিল বা Schedule থাকতে পারে। বেতন আয় (Salary Income): আপনার বেতন বিবরণী (salary statement) অনুযায়ী মূল বেতন, বিভিন্ন ভাতা (বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত ইত্যাদি) উল্লেখ করুন। করমুক্ত অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা হতে পারে। গৃহ-সম্পত্তির আয় (House Property Income): যদি আপনার বাড়ি ভাড়া দেওয়া থাকে, তবে ভাড়া বাবদ আয় এবং অনুমোদিত খরচগুলো (যেমন: মেরামত, পৌরকর, ভূমি উন্নয়ন কর, ঋণের সুদ ইত্যাদি) উল্লেখ করুন। কৃষি আয় (Agricultural Income): কৃষি কাজ থেকে প্রাপ্ত আয় উল্লেখ করুন। ব্যবসা বা পেশার আয় (Business or Professional Income): যদি ব্যবসা বা পেশা থাকে, তবে লাভ-ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী আয় উল্লেখ করুন। মূলধনী লাভ (Capital Gain): শেয়ার, সম্পত্তি বা অন্য কোনো মূলধনী সম্পদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত লাভ। অন্যান্য উৎস থেকে আয় (Income from Other Sources): ব্যাংক সুদ, সঞ্চয়পত্রের সুদ, ডিভিডেন্ড আয়, রয়্যালটি, লটারি জয় ইত্যাদি। এই আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন হয়ে থাকলে তার বিবরণ দিতে হবে।
- কর রেয়াত (Tax Rebate) ও বিনিয়োগের তথ্য পূরণ: আপনার বিনিয়োগ বা দানের তথ্য এই অংশে পূরণ করতে হবে। এখানে অনুমোদিত খাতগুলোতে (যেমন: সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা প্রিমিয়াম, ডিপিএস, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ, যাকাত ইত্যাদি) আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ করুন। সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বিনিয়োগের ভিত্তিতে প্রযোজ্য কর রেয়াত হিসাব করবে।
সম্পদ ও দায় বিবরণী (Statement of Assets & Liabilities) এবং জীবনযাত্রার ব্যয় (Living Expenses): যদি আপনার মোট আয় ৪০ লাখ টাকা অতিক্রম করে অথবা যদি আপনি গাড়ির মালিক হন, বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ির মালিক হন, তবে সম্পদ ও দায় বিবরণী (IT-10B) এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণ (IT-10BB) দাখিল করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় এটি ঐচ্ছিক। সম্পদ ও দায়: আপনার সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি (নগদ টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, গাড়ি, জমি, বাড়ি, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি) এবং সকল দায়ের (ঋণ) বিবরণ দিন। জীবনযাত্রার ব্যয়: আপনার পরিবারের বার্ষিক জীবনযাত্রার ব্যয় (খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত, উৎসব ইত্যাদি) উল্লেখ করুন।
প্রদেয় করের হিসাব ও পরিশোধিত করের সমন্বয়: সিস্টেম আপনার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোট করযোগ্য আয় এবং প্রদেয় আয়কর হিসাব করবে। যদি আগে থেকে কোনো কর পরিশোধ করে থাকেন (যেমন: উৎসে কর কর্তন, অগ্রিম কর, ই-চালানের মাধ্যমে পরিশোধিত কর), তবে তার চালান নম্বর ও তারিখসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। এই কর আপনার প্রদেয় কর থেকে সমন্বয় করা হবে। যদি আরও কোনো কর বকেয়া থাকে, তবে তা ই-চালানের মাধ্যমে অনলাইনে পরিশোধ করার অপশন পাবেন। যদি বেশি কর পরিশোধ করে থাকেন, তবে রিফান্ড দাবি করার অপশন থাকবে। ন্যূনতম করের বিষয়টিও এখানে বিবেচনা করা হয়।
- রিটার্ন জমা দেওয়া (Submit Return): সকল তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ হয়েছে কিনা, তা একাধিকবার যাচাই করুন। NBR-এর “আয়কর নির্দেশিকা” দেখে নিলে পূরণ করা আরও সহজ হবে। “Save Draft” অপশন ব্যবহার করে কাজ সেভ করে রাখতে পারেন এবং পরে আবার এডিট করতে পারেন। যদি সব ঠিক থাকে, তবে “Submit Return” বাটনে ক্লিক করুন। জমা দেওয়ার পর আপনি একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement Receipt) পাবেন। এটি প্রিন্ট করে বা পিডিএফ হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখুন। এটিই আপনার রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ।
কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করলে কর ছাড় পাওয়া যায়?
বাংলাদেশে আয়কর ছাড় বা কর রেয়াত (Tax Rebate) পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) কর্তৃক অনুমোদিত কিছু নির্দিষ্ট বিনিয়োগ খাত ও দান খাত রয়েছে। এই খাতগুলোতে বিনিয়োগ বা দান করলে আপনার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ কমে আসে। সাধারণত, একজন করদাতা তার মোট আয়ের ২৫% পর্যন্ত এই অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ বা দান করতে পারেন। এরপর, এই বিনিয়োগ বা দানের অর্থের উপর নির্দিষ্ট হারে (সাধারণত ১৫% বা ১০%) কর রেয়াত পাওয়া যায়। ২০২৪-২৫ করবর্ষের জন্য কর রেয়াত পাওয়ার অনুমোদিত বিনিয়োগ ও দান খাতসমূহ জীবন বীমা প্রিমিয়াম: নিজের, স্ত্রী/স্বামী বা নাবালক সন্তানের নামে গৃহিত জীবন বীমার প্রিমিয়াম। তবে, বীমা অংকের ১০% এর বেশি প্রিমিয়ামের উপর রেয়াত পাওয়া যায় না। স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে (Recognized Provident Fund) নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা: এটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য, যেখানে স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড রয়েছে। কল্যাণ তহবিল (Benevolent Fund) ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে (Group Insurance Fund) চাঁদা: কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুপার এনুয়েশন ফান্ডে (Superannuation Fund) প্রদত্ত চাঁদা: এটি অবসরকালীন সুবিধার জন্য একটি তহবিল। ডিপোজিট পেনশন স্কিম (DPS): যেকোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাসিক কিস্তিতে পরিচালিত ডিপোজিট পেনশন স্কিমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ।
বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে কি কর রিবেট পাওয়া যায়? বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ। সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ ছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয় একজন ব্যক্তি করদাতা একটি কম্পিউটার বা একটি ল্যাপটপ ক্রয়ের জন্য বিনিয়োগ প্রদর্শন করতে পারেন।
দান খাতসমূহ কি কর ছাড় হয়? হ্যাঁ। জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান: যেমন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। যাকাত তহবিলে দান যাকাত ফান্ড ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০২৩-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত যাকাত ফান্ডে প্রদত্ত দান।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) কর্তৃক অনুমোদিত কোনো দাতব্য হাসপাতালে দান: নির্দিষ্ট কিছু দাতব্য হাসপাতাল। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে স্থাপিত ও সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং NBR কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদত্ত দান। আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে (Aga Khan Development Network) দান। আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতাল, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান। আইসিডিডিআরবিতে (ICDDRB) প্রদত্ত দান। সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘সিআরপি’ এ প্রদত্ত দান। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান। এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশে দান। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুদান।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন: রিটার্ন পূরণের আগে বেতন বিবরণী, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সঞ্চয়পত্রের সনদ, বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, উৎসে কর কর্তনের সনদ (যদি থাকে), গৃহ ঋণের সনদ, পুরোনো সম্পদ ও দায়ের বিবরণী (যদি থাকে) ইত্যাদি সব হাতের কাছে রাখুন। | সঠিক ফর্ম নির্বাচন: আপনার আয়ের ধরন এবং পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সঠিক আয়কর রিটার্ন ফর্ম নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। | সাবধানতার সাথে পূরণ: প্রতিটি ঘরে সঠিক তথ্য দিন। ভুল তথ্য দিলে পরে সমস্যা হতে পারে। |
সংরক্ষণ ও যাচাই: মাঝে মাঝে ড্রাফট সংরক্ষণ করুন এবং ফাইনাল সাবমিটের আগে সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করুন। | হেল্পলাইন: যদি কোনো ধাপে আটকে যান বা কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে NBR-এর হেল্পলাইন (০৯৬৪৩৭১৭১৭১) অথবা একজন অভিজ্ঞ কর আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন। | |