সরকারি কর্মচারীদের দাবি ২০২৫ । ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন ও বৈষম্যহীন বেতন কাঠামোর আহ্বান
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে উত্থাপন করেছেন। ২০১৫ সালের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের পর আর কোনো পূর্ণাঙ্গ বেতন কাঠামো প্রণয়ন না হওয়ায় তারা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন বলে জানান। এ পরিস্থিতিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে নবম বেতন স্কেল কার্যকরের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তারা।– সরকারি কর্মচারীদের দাবি ২০২৫
কর্মচারীদের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোর মূল বেতন কত হওয়ার উচিত? সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবিত নবম পে স্কেল বৈষম্যহীন ও যৌক্তিক বেতন কাঠামো গ্রহণযোগ্য হবে তখন যখন সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকা (বর্তমান ৮,২৫০ টাকা) এবং সর্বোচ্চ বেতন: ১,৪০,০০০ টাকা (বর্তমান ৭৮,০০০ টাকা) ধাপৱর্য করা হবে। মোট কথা বেতন অনুপাত সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের মধ্যে ১:৪ অনুপাত বজায় রাখার দাবি। এটি বর্তমান ১:৯.৫ অনুপাতের বেতন কাঠামো হতে বেরিয়ে এসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা কতটা সম্ভব সেটি ই দেখার বিষয়।
১২ গ্রেডের সরলীকৃত বেতন কাঠামো? হ্যাঁ। বর্তমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে মাত্র ১২টি গ্রেডে সীমিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে দক্ষতা বাড়াবে। মূল্যস্ফীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বৃদ্ধি বা বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট কেবল seniority-ভিত্তিক না হয়ে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হারের সাথে সমন্বয় করে দেওয়ার demand উঠেছে। বাস্তবসম্মত ভাতা কাঠামো যেমন বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও পরিবহন ভাতা বাজার rent এবং চিকিৎসা খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুনঃনির্ধারণের demand জোড়ালো ভাবে উঠেছে।
১:৪ কাঠামো চায়? হ্যাঁ। সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩৫,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন নির্ধারণ করা হবে ১,৪০,০০০ টাকার মধ্যে। এর ফলে বেতনের বৈষম্য হ্রাস পাবে এবং কর্মচারীদের জীবনের মান উন্নত হবে। বেতন কাঠামোতে মোট গ্রেড সংখ্যা ১২টি রাখা হবে, যা বর্তমান ২০ গ্রেডের চেয়ে কম কিন্তু বেশি সংক্ষিপ্ত এবং বৈষম্যহীন ব্যবস্থার লক্ষণ প্রকাশ পাবে। বেতনের বৈষম্য হ্রাসের উদ্দেশ্যে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত হবে প্রায় ১:৪, যা অধিক ন্যায্য ও সমন্বিত বেতন প্রদান নিশ্চিত করবে। মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা চালু থাকবে, যা কর্মচারীদের বাজারের অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব অনুযায়ী বেতনের উন্নতি নিশ্চিত করবে। বেতন ছাড়াও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা এবং পরিবহন ভাতা পুনর্বিবেচনা ও বৃদ্ধি করার দাবি রয়েছে, যা সরকারি কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনের খরচ সামলাতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারিদের দাবি নতুন পে-স্কেল ২০২৫-২৬ থেকে কার্যকর করতে হবে / প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোটি তুলে ধরা হলো। প্রতিটি গ্রেডের মূল বেতন ৩৫,০০০ টাকা থেকে ১,৪০,০০০ টাকার মধ্যে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যেন গ্রেডগুলোর মধ্যে একটি যৌক্তিক ধাপ থাকে এবং ১:৪ অনুপাত সংরক্ষিত হয়।
Caption: Pay Scale Idea Bangladesh
সরকারি কর্মচারিদের দাবিসমূহ ২০২৫ । সরকারি কর্মচারীদের চাহিদা হলো উন্নত, বৈষম্যহীন ও সাশ্রয়ী বাজেটভিত্তিক পে-স্কেল, যেখানে গ্রেড সংখ্যা ১২, বেতন অনুপাত ১:৪ এবং বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও ভাতার উপযুক্ত বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা ২০২৫ সালের অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গতিপূর্ণ। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের এই দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
- সর্বনিম্ন মূল বেতন: ৩৫,000 টাকা। এটি বর্তমান সর্বনিম্ন বেতন (৮,২৫০ টাকা, ২০১৫) থেকে ব্যাপক বৃদ্ধি নির্দেশ করে, যাতে মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়।
- সর্বোচ্চ মূল বেতন: ১,৪০,000 টাকা। এটি বর্তমান সর্বোচ্চ বেতন (৭৮,000 টাকা, ২০১৫) থেকে উন্নতি করে শীর্ষস্তরের কর্মচারিদের প্রোত্সাহন দেবে।
- বেতনের অনুপাত (বৈষম্যহীন স্কেল): ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো নির্ধারণ। এমন কি, সর্বনিম্ন বেতনকে ভিত্তি করে সর্বোচ্চ বেতন 4 গুণ হবে (যেমন, ৩৫,000 × ৪ = ১,৪০,000), যা সমান বিতরণ নিশ্চিত করবে।
- গ্রেড সংখ্যা: মোট ১২টি গ্রেডে সীমাবদ্ধ। এটি বর্তমান 20টি গ্রেডের চেয়ে কম, যাতে সিস্টেম সরল এবং কার্যকর হয়।
- ইনক্রিমেন্ট: বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা। উদাহরণস্বরূপ, যদি মূল্যস্ফীতি 5% হয়, তাহলে বেতনও সেই অনুপাতে বাড়বে।
- অতিরিক্ত ভাতা: বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা এবং পরিবহন ভাতার পুনর্বিবেচনা। এটি বর্তমান ভাতা সিস্টেমকে আপডেট করে জীবনযাত্রার সাথে মিলিয়ে নেওয়ার দাবি।
৩৫ হাজার টাকা দাবী কেন করছে?
দাবির পেছনের কারণ হল বর্তমান বেতন কাঠামোতে নিম্ন ও উচ্চ গ্রেডের মধ্যে বেতনে অনেক বেশি ব্যবধান রয়েছে। দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের বেতন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০১৫ সালের পর থেকে কোনো পূর্ণাঙ্গ পে-স্কেল বাস্তবায়ন হয়নি, ফলে বছরের পর বছর বেতন বৃদ্ধির কূটনৈতিক অবস্থা তৈরি হয়েছে। সরকারের প্রতি কর্মচারীদের প্রত্যাশা এই প্রস্তাবিত পে-স্কেল অর্থাৎ ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন দ্রুত কার্যকর করা হোক, বিশেষত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকেই। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং চাকরিতে উদ্দীপনা ও পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি বেতন কাঠামোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভাতা ও অন্যান্য প্রণোদনাও সমন্বয় করা হোক, যা সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা বর্ধিত করবে।
উপাদান | বর্তমান (২০১৫) | প্রস্তাবিত (৯ম পে-স্কেল) | কারণ |
---|---|---|---|
গ্রেড সংখ্যা | ২০ | ১২ | সিস্টেমকে সরল করা এবং ব্যবহার সহজ করা। |
সর্বনিম্ন বেতন | ৮,২৫০ টাকা | ৩৫,০০০ টাকা | জীবনযাত্রার খরচ কভার করা। |
সর্বোচ্চ বেতন | ৭৮,০০০ টাকা | ১,৪০,000 টাকা | শীর্ষস্তরের কর্মচারিদের মোটিভেশন বাড়ানো। |
বেতনের অনুপাত | অনির্ধারিত | ১:৪ | বৈষম্য দূর করা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। |
ইনক্রিমেন্ট | স্থির রেট | মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী | মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করা। |
অতিরিক্ত ভাতা | বিদ্যমান (পুনর্বিবেচনা নেই) | বাড়ি, চিকিৎসা, পরিবহন পুনর্বিবেচনা | কর্মচারীদের আর্থিক সুরক্ষা বাড়ানো |