অন্তর্বতীকালীন সরকার নিজে একক সিদ্ধান্তে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়নি- বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মতামত নিয়েই এ ছুটি বাতিল করা হয়েছে–সাধারণ ছুটি বাতিল ২০২৪
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল? হ্যাঁ। রাজনৈতিক দলগুলোর সহিত উপদেষ্টা পরিষদের সংলাপে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করিবার বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য হওয়ায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তক্রমে সরকার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঘোষিত ১৫ আগস্ট এর সাধারণ ছুটি এতদ্বারা বাতিল করেছে।
কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার দিনটিই মূলত জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হত্যাকারীদের বিচার শুরু হয়। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস এবং এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
বিএনপি সরকার কি এটি বাতিল করেছিল? জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। গত বছরের মতো এবারও ব্যতিক্রমীভাবে পবিত্র রমজান মাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। অতীতের মত কাঙ্গালি ভোজ না করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত: ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোকদিবস হিসাবে ঘোষণা করে। এই দিন সরকারি ছুটির দিন হিসাবে নির্ধারণ করা হয় কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে সরকারি সে ছুটি বাতিল করেছিল। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর সেই বিধিটি পুনঃপ্রবর্তন করেন।
জাতীয় শোক দিবসের সরকারি বা সাধারণ ছুটি বাতিল ২০২৪ / শোক পালন কার্যক্রম নিষিদ্ধ বা বাতিল করা হয়নি
বাংলাদেশে নৃশংস এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরও যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বড় ছেলে শেখ কামাল, মেঝ ছেলে শেখ জামাল, ছোট ছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্ণেল জামিল।
Caption: info source MOPA
২০২৪ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা । শোক দিবস বাতিল করা হয়নি বরং ছুটি বাতিল করা হয়েছে
- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী
- ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস
- ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ
- ১ মে মে দিবস
- ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস
- ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিজয় দিবস
বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরই কি শোক দিবস চালু হয়?
না। ১৯৭৫ সালের এইদিনের কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি মূলত আওয়ামীগ সরকার আমলে সচল হয়।