বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

New Pay Scale 1:5 Ratio 2024 । সরকারি কর্মচারী বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার অপেক্ষায়?

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য বা ব্যবধান খুব বেশি। যেখানে আন্তজার্তিক মান ১:৫ কিন্তু সেখানে বাংলাদেশে কর্মচারী ও কর্মকর্তা বেতন রেশিও ১:১০ যা খুবই বেমানান। তাছাড়া কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি বাজারের মূল্য স্ফিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলমান থাকছে না-New Pay Scale 1:5 Ratio 2024

২০ গ্রেড নাকি ১০ গ্রেড চান? গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ১০ টি করতে হবে। ১১-২০ গ্রেডের প্রতিটি গ্রেডের গ্যাপ রাখা হয়েছে মাত্র ২%। অন্য দিকে ১-১০ গ্রেডের কর্মকর্তাদের বেতন গ্রেডের গ্যাপ রাখা হয়েছে ২০% এটি এক চোখে তেল অন্য চোখে নুন (লবন০ বেচার মত হয়েছে। বৈষম্যহীন ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে কমিশন গঠন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে। ইতোমধ্যে যাদের মূল বেতন শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে । বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে । যতক্ষণ না নতুন পে স্কেল বাস্তবায়িত হচ্ছে ততদিন পযৃন্ত ৫০% মহার্ঘ ভাতা কার্যকর থাকতে হবে।

সারাদেশে একই নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধি থাকতে হবে? হ্যাঁ। সচিবালয়ের ১৯৯৫ সালের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমানসহকারী ও হিসাবরক্ষক এবং সাঁটলিপিকারসহ সমপদগুলির পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নাম করনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রয়ন করতে হবে। পদ পদবী ভেদে নিয়োগ বিধির পরিবর্তন থাকতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ নিয়োগ ও পদোন্নতি কাঠামো একই থাকতে হবে। প্রতিটি দপ্তর বা বিভাগে আলাদা নিয়োগ বিধি থাকার কারণে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে একই নিয়োগ বিধি কার্যকর থাকলে বৈষম্য দূর হবে এবং কর্মচারীগণ সন্তুষ্ট চিত্তে কাজকর্ম করতে উৎসাহ পাবেন।

১ টাকা মূল বেতনে বিপরীতে কত থাকতে হবে? ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩ টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহল এবং সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ২০১৫ সালের ২০ লক্ষ টাকা কোন ভাবেই ২০২৫ সালের ২০ লক্ষ টাকা একই হতে পারে না। একজন কর্মচারী যিনি ২০১৫ সালে পেনশনে গিয়েছে এককালীন ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন, এখন ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেও একই হারে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা পায়। এটি কোন ভাবেই সমতা বা সুবিচার হতে পারে না।

৩ টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল ২০২৪ । প্রজাতন্ত্রের সুযোগ সুবিধা কোনভাবে কমানো যাবে না বরং জুনিয়র কেন সিনিয়র থেকে বেতন বেশি পাচ্ছে? । আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ১:৫ কর্মকর্তা/কর্মচারী বেতন স্কেল রেশিও থাকা আবশ্যক।

৩টি সুবিধাকে সংকুচিত করে ২টি উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার হয়েছে তাও আবার ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে যা খুবই বৈষম্যযুক্ত। সমতাকরণের বিধান না থাকায় পে স্কেলের জটিলতার কারণে একই সাথে জয়েন করা ব্যক্তি বা পরে জয়েন করা ব্যক্তি সিনিয়র হতে বেশি বেতন পাচ্ছে যা বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে।

New Pay Scale 1:5 Ratio 2024 । সরকারি কর্মচারী বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার অপেক্ষায়?

১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম

সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী সমূহ ২০২৪ । ১০টি গ্রেড চায় বৈষম্যমুক্ত বেতন ভাতার দাবিতে

  • দাবীনামা ০১বৈষম্যহীন ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে কমিশন গঠক করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে। ইতোমধ্যে যাদের মূল বেতন শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে । বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে ।
  • দাবীনামা ০২সচিবালয়ের ১৯৯৫ সালের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমানসহকারী ও হিসাবরক্ষক এবং ষাটলিপিকারসহ সমপদগুলির পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নাম করনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রয়ন করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৩২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩ টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহল এবং সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৪সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ । আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে ।
  • দাবীনামা ০৫ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে।
  • দাবীনামা ০৬বাজারমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে ।
  • দাবীনামা ০৭উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকুরীকাল গণনা করে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে নং : অম/অবি(বাস্ত-৪)/বিবিধ-২০ (উঃস্কেঃ/০৭/৪৭ তারিখঃ ২৪-০৩-২০০৮ খ্রিঃ যোগে অর্থ মন্ত্রনালয় হতে জারীকৃত বৈষম্য মূলক আদেশ বাতিল করতে হবে।

১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য রেশন ব্যবস্থা?

হ্যাঁ। ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বরাবরই অনেক কম থাকে। বাজারমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে । চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা কোনভাবেই কাম্য নয়, সিনিয়র হওয়ার সাথে সাথে কর্মদক্ষতা কমতে থাকে তাই চাকরির বয়স সীমা বৃদ্ধি না করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকুরীকাল গণনা করে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে নং : অম/অবি(বাস্ত-৪)/বিবিধ-২০ (উঃস্কেঃ/০৭/৪৭ তারিখঃ ২৪-০৩-২০০৮ খ্রিঃ যোগে অর্থ মন্ত্রনালয় হতে জারীকৃত বৈষম্য মূলক আদেশ বাতিল করতে হবে। প্রকল্পের চাকরিকাল প্রকৃত চাকরিকাল হিসেবে গন্য হওয়ার জরুরি পূর্বে এর বিধান থাকলেও ২০০৮ সালে তা বাতিল করা হয়।

বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ৯ম পে স্কেল ঘোষণার দাবী।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

3 thoughts on “New Pay Scale 1:5 Ratio 2024 । সরকারি কর্মচারী বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণার অপেক্ষায়?

  • এম পি ও ভুক্ত শিক্ষক মাত্র ১০০%মূল বেতন আর১০০০টাকা বাড়ি ভাড়া আর ৫০০টাকা চিকিৎসা, আর মূল বেতনের২৫% বোনাস,এরা কি ভাবে চলবে।

  • এটি ভবিষ্যতে অবশ্যই সরকার খেয়াল রাখবে আশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *