বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ কর্তৃক সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুদকের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ন্যায় রেশন সুবিধা প্রদানে খাদ্য উপদেষ্টার সম্মতি রয়েছে–সচিবালয় রেশন সুবিধা ২০২৫
অর্থমন্ত্রণালয় একমত হলেই রেশন সুবিধা চালু হবে? হ্যাঁ।–বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ কর্তৃক সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় রেশন সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুকূল বিবেচনার জন্য সুপারিশসহ অর্থমন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় একমত হলে পত্র জারির মাধ্যমে রেশন সুবিধা কার্যকর হবে।
সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারীরা কি বলছেন? সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদের গত ১২ /৩/২০২৫ তারিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫/৩/২০২৫ তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ -১ অধিশাখা থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারিদের রেশন সুবিধা প্রদানের বিষয়ে যে সুপারিশ নির্দেশনা সহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে তাতে সচিবালয়ের বাইরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির প্রাক্কালে এ ধরনের চিঠি ইস্যু করাও দুরভিসন্ধিমূলক। সবার অগোচরে এ কাজ বাস্তবায়ন করার সুপ্ত বাসনা থেকে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। অথচ আমরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারিদের রেশন প্রবর্তন বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবেদন নিবেদন করে আসছি।বর্তমান পেস্কেল ইতোমধ্যে ১০ বছর অতিক্রম করেছে, সকল কর্মচারিদের বর্তমান সময়ে জীবনধারন কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে, এই বাস্তবতায় সকল কর্মচারীরা যেখানে পে স্কেল ও মহার্ঘ ভাতার জন্য মাঠে আন্দোলনরত তখন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে এ ধরনের সুবিধা প্রদান বিদ্যমান বৈষম্যকে আরো বৃদ্ধি করবে।
সরকারি কর্মচারীরা কি চায়? পেস্কেল ও মহার্ঘভাতার দাবিকে বাধাগ্রস্ত করবে।শুধু সচিবালয়ের কর্মচারিদের জন্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হয়নি, প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় মাসের বেতন দিয়ে ১৫ দিনের বেশি চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে, উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালেও আন্দোলন চলাকালীন সচিবালয়ের কর্মচারিদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদ দেয়া হয়েছিল, যে বৈষম্য আজও নিরসন হয়নি। আবার নতুন করে শুধু তাদের রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের মধ্যে বৈষম্য আরো বাড়বে। সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক সরকারের কাছে সমান অধিকার ও সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হলেও এখানে ভিন্ন আচরণ সংবিধান লঙ্ঘনের নামান্তর। ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরি ফোরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর পক্ষ থেকে শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে রেশন সুবিধা না দিয়ে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারিদের রেশন সুবিধা দেওয়ার জন্য বৈষম্য বিরোধী সরকারের নিকট আবেদন জানাই। না হলে এর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত যে কোন পরিস্থিতির জন্য এই সরকার দায়ী থাকবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মতো রেশন সুবিধা চেয়েছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এজন্য বুধবার (১২ মার্চ) খাদ্য উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বিভিন্ন সময়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটির দিনসহ অফিস সময়ের পরও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত আর্থিক কোনও সুবিধা অর্থাৎ রেশন কিংবা সচিবালয় ভাতা দেওয়া হয় না।
Caption: Reference pdf
সচিবালয় কর্মচারীদের ৯ দফা দাবী ২০২৫ । তাদের দাবীর মধ্যে কি রেশন সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল?
- সচিবালয়ে কর্মরত নন- ক্যাডারের ৩৭০টি পদসহ প্রতিটি পদের এক তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণ।
- প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাগণের পদবি উপ- সহকারী সচিব নামকরণ।
- গ্রেড ১১- ১৬ এর কর্মচারীদের চারটি পদকে অতিরিক্ত উপ সহকারী সচিব।
- গ্রেড ১৭-২০ গ্রেডের চারটি পদকে সচিবালয় সহকারী হিসেবে নামকরণ।
- নবম জাতীয় পে- কমিশন গঠন, পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল।
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ে সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদেরকে অবিলম্বে ২০ শতাংশ টিপটপ ভাতা প্রদান।
- শতভাগ পেনশন অবিলম্বে পুনর্বহাল।
- পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা অবিলম্বে নির্ধারণ এবং
- সচিবালয়ে সব শ্রেণির ব্লকড পদ বিলুপ্ত করে সমপদনাম বা মর্যাদা ও বেতন গ্রেডের পদে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানানো হয়েছে।
সচিবালয় কর্মকর্তাগণ রেশন সুবিধা চায় কেন?
হ্যাঁ, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা চেয়েছেন। এই দাবির জন্য তারা খাদ্য উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটির দিনসহ অফিস সময়ের পরও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এজন্য তাদের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা বা রেশন বা সচিবালয় ভাতা দেওয়া হয় না। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধার ‘অদৃশ্য শ্রেণি’। একদিকে প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মী রেশনসহ নানা ধরনের সুবিধা ভোগ করছেন, অন্যদিকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাচ্ছেন না তাদের ন্যূনতম অধিকার। গত ২০২০ সালে তৎকালীন সরকারের নিকট আবেদন করেছিলো সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বুধবার (১২ মার্চ) খাদ্য উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
দুদক রেশন সুবিধায় কি কি পায়?
সিদ্ধ আতপ চাল পাবেন এক সদস্যের পরিবার ১১ কেজি, দুই সদস্যের পরিবার ২০ কেজি, তিন সদস্যদের পরিবার ৩০ কেজি এবং চার সদস্যের পরিবার ৩৫ কেজি।আটা এক সদস্যের পরিবার ১২ কেজি, দুই সদস্যের ২০ কেজি, তিন সদস্যের ২৫ কেজি এবং চার সদস্যের ৩০ কেজি। | চিনি এক সদস্যের পরিবার পৌনে দুই কেজি, দুই সদস্যের পরিবার তিন কেজি, তিন সদস্যের পরিবার চার কেজি এবং চার সদস্যের পরিবার পাঁচ কেজি। | ডাল এক সদস্যের পরিবার সাড়ে তিন কেজি, দুই সদস্যের পরিবার সাড়ে পাঁচ কেজি, তিন সদস্যের পরিবার সাত কেজি |
চার সদস্যের পরিবার আট কেজি। আর ভোজ্য তেল এক সদস্যের পরিবার আড়াই লিটার | দুই সদস্যের পরিবার সাড়ে চার লিটার, তিন সদস্যের পরিবার ছয় লিটার | চার সদস্যের পরিবার পাবে আট লিটার। |