সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতা অবলম্বন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ অনুসরণ করতে হবে–সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নির্দেশিকা ২০২৫
পূর্বের সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে? হ্যাঁ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীগণের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করা এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
সরকারি কর্মচারীদের কি করা যাবে না? ২০২০ সালের নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাপ্তরিক এবং ব্যক্তিগত একাউন্ট তৈরি করা এবং এতে পরিহারযোগ্য বিষয়াদি উল্লেখ রয়েছে। এরূপ নির্দেশনার আলোকে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থার গণকর্মচারীগণকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছে।
তথ্য শেয়ার করলেই শাস্তি? সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত একাউন্টে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছেন বা বিভিন্ন ডকুমেন্টস শেয়ার করছেন এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সরকারকে বিব্রত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস রুলস পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ যা করলে আচরণ বিধি লঙ্গন হবে।
সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ । নেকক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভূক্ত অপরাধ।
(দপ্তর/সংস্থাসহ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদানপূর্বক এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’
Caption: Full pdf download link
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আচরণ বিধি লঙ্গন ২০২৫ । সরকারি কর্মচারী যা করলে শাস্তি পেতে হবে
- প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল, অনেকক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভূক্ত অপরাধ।
- উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের বিভিন্ন ব্যত্যয়সমূহ পরিলক্ষিত হওয়ায় রেগুলেটরী মন্ত্রণালয় হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
- এক্ষণে, তাঁর অধীন (দপ্তর/সংস্থাসহ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদানপূর্বক এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এবং ‘সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮’ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সরকারি কর্মচারী বলতে কি বুঝায়?
সরকারি কর্মচারী হলেন এমন ব্যক্তি যিনি সরকারের কোনো বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা দেশের জনগণের সেবা করার জন্য নিযুক্ত হন এবং সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পাদনে সহায়তা করেন।
সরকারি কর্মচারীদের কাজ কি? সরকারি কর্মচারীরা জনগণের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করেন, যেমন:- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
- আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা
- সামাজিক কল্যাণ
- উন্নয়ন কার্যক্রম
নীতিমালা প্রণয়ন: অনেক সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে জড়িত থাকেন। সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন: সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯