জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫ । বাংলাদেশে কি কি দিবসগুলো আর পালিত হবে না?
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন সম্পর্কে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কিছু দিবস উদযাপন/পালন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে– জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫
বাংলাদেশে পালিত জাতীয় দিবসগুলো কি কি? বাংলাদেশে বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালিত হয়। এই দিবসগুলো আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাতীয় দিবস শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি): বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও মাতৃভাষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ): বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং শিশুদের অধিকার সুরক্ষার দিন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ): বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দিন। জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট): ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশের দিন। বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর): ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের দিন।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস কি আছে? হ্যাঁ। আরও অনেক জাতীয় দিবস পালিত হয়, যেমন- মুক্তিযোদ্ধা দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস, জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস, জাতীয় পতাকা দিবস এই দিবসগুলো কেন পালিত হয়? এই দিবসগুলো পালনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ইতিহাসকে স্মরণ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগিয়ে তুলি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের শিক্ষা দিই।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনে কি কি পরিবর্তন এসেছে? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। এই পরিবর্তনগুলো রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে লক্ষ্য করা যায়। দিবস বাতিল বা সংযোজন: সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু নির্দিষ্ট জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। যেমন, বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও দিবসটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়নি, তবে এর পালনের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। এর আগে, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু দিবস, যেমন- শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, শেখ রাসেল দিবস ইত্যাদি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হতো। এই দিবসগুলো সরকারিভাবে পালনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে। সরকার বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করে। এসব নির্দেশনায় কোন দিবস কীভাবে পালন করা হবে, অনুষ্ঠানের ধরন কেমন হবে এবং ব্যয় কীভাবে নির্বাহ করা হবে, তার বিবরণ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সরকারি পরিপত্রে সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান পরিহার করে আলোচনা, সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস বাংলাদেশ / যে দিবসগুলো বাতিল করেছে সরকার
দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবসের উৎপত্তি হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে পাশ কাটিয়ে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেন। অধ্যাদেশটি পরে সংসদে একটি বিলের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়। এখন বর্তমান সরকার এটি বাতিল করেছে।
Caption: Govt. Order Bangladesh pdf download
বাংলাদেশে যে দিবগুলো পালিত হবে না । কি কি দবিস বাতিল হলো?
- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
- জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু
- শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী
- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৮ আগস্ট জন্মবার্ষিকী
- জাতীয় শোক দিবস
- শেখ রাসেল দিবস
- জাতীয় সংবিধান দিবস
- স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস
বাংলাদেশে কি কি দিবস পালিত হয়?
বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসসমূহকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে “বাংলাদেশের দিবস” বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শ্রেফ বাংলাদেশেই পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো সীমিতাকারে পালন করে থাকেন। তালিকা এখানে দেখুন