শাস্তি । সাময়িক বরখাস্ত । অপসারণ

সরকারি কর্ম হতে বিরত বিধি ২০২৫ । সাময়িক বরখাস্তের পর কর্মস্থলে নিজ দায়িত্ব পালন করা যাবে কি?

সরকারি কর্মচারীকে নিজের প্রয়জনে অফিস হাজরা অবশ্যই বাধ্যতামুলক। তবে কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। আপনি নির্দোষ প্রমানিত হয়ে চাকুরীতে পুনর্বহাল হলে আপনার সকল পাওনাদীর জন্য হাজীরা প্রয়োজন হবে– সরকারি কর্ম হতে বিরত বিধি ২০২৫

সাময়িক বরখাস্তের পর কর্মস্থলে নিজের দায়িত্ব পালন করা যাবে কি?– সাময়িক বরখাস্তের পর সাধারণত একজন কর্মচারী তার কর্মস্থলে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। সাময়িক বরখাস্তের সময় তাকে তার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়, তবে তাকে অফিসে হাজিরা দিতে হতে পারে। সাময়িক বরখাস্তের অর্থ হলো কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা বা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হলে, তাকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা। এই সময়কালে তিনি বেতন পেতে পারেন বা নাও পেতে পারেন, তবে তাকে অফিসে হাজিরা দিতে হতে পারে।

দায়িত্ব হতে দূরে থাকতে হবে? হ্যাঁ। যদি কোনো কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, তাহলে তাকে তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময়কালে তিনি অফিস এবং তার কাজের সাথে সম্পর্কিত সকল কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকবেন। সাময়িক বরখাস্তের সময়কালে তিনি কোনো প্রকার বেতন বা ভাতা নাও পেতে পারেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে তাকে খোরপোষ ভাতা দেওয়া হতে পারে। সাময়িক বরখাস্তের সময়কালে একজন কর্মচারী তার পদমর্যাদা এবং কর্মসংস্থান চুক্তি বজায় রাখতে পারেন। এই সময়কালে তার উপর কোনো বাধ্যবাধকতা চাপানো হয় না, তবে তাকে তার কর্মস্থলে ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে।

ছুটি নেয়া যাবে কি? না। নিজের প্রয়োজন বলতে হাজিরা খাতা নিজে একটা ব্যবহার করবে তাতে স্বাক্ষর করবেন। কারন যখন ভিকটিম কে নির্দোষ ঘোষনা করে চাকুরীতে বহাল করবে। তখন সাময়িক বরখাস্তকাল চাকুরীকাল হিসেবে গননা করে আদেশ করা হবে। এবং বকেয়া বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে এবিষয়গুলো সামনে আসবে। সাময়িক বরখাস্ত হলে নিয়তই অফিসে আসতে হবে এটিই বিধান। তবে অফিসের কোন দায়িত্ব পালন করবেননা। এটি একপ্রকার মনস্তাত্বিক শাস্তি। অনেকেই পরিপত্র দেখতে চেয়েছেন। নির্ধারিত বিধি বিএসআর দেখুন।

সাময়িক বরখাস্তের পর, একজন সরকারি কর্মচারী তার কর্মস্থলে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সাময়িক বরখাস্তের অর্থ হলো, কোন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে সরকারি কাজে, দায়িত্ব পালনে এবং ক্ষমতার প্রয়োগে বিরত রাখা। এটি একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, যা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন সময়ে তাকে কর্মস্থলে কাজ করতে বাধা দেয়।

সাময়িক বরখাস্তের সময়কালে একজন সরকারি কর্মচারী তার বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা পেতে পারেন, তবে তিনি তার কর্মস্থলে কাজ করতে পারবেন না। সাময়িক বরখাস্তের পর, যদি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হয়, তবে তিনি পুনরায় তার কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন এবং তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। যদি কোনো সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, তবে তিনি তার কর্মস্থলে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এটি সরকারি চাকরি বিধি এবং নিয়ম অনুযায়ী একটি বাধ্যবাধকতা।

Caption: Temporary Suspension

টেম্পরারি সাসপেনশন ২০২৫ । সাময়িক বরখাস্তের শর্তাদি কি কি?

  1. সাময়িক বরখাস্তের শর্তাবলী হলো: (১) কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা (disciplinary proceeding) শুরু হলে বা বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করা হলে, (২) অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি, (৩) অভিযুক্ত কর্মচারীকে তার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা দরকার কিনা, (৪) তদন্তে তার প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা- এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে।
  2. বিভাগীয় কার্যধারা: কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু হলে বা রুজু করা হলে সাময়িক বরখাস্ত করা হতে পারে।
  3. অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি: অভিযোগের গুরুত্ব এবং প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
  4. দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা: সাময়িক বরখাস্তের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মচারীকে তার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা, যাতে সে তদন্তে প্রভাব ফেলতে না পারে।
  5. তদন্তে প্রভাব: সাময়িক বরখাস্তের আরেকটি কারণ হলো, কর্মচারী যদি তদন্তে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হতে পারে।
  6. মেয়াদ: স্থগিতাদেশের মেয়াদ একবারে ১৮০ দিনের বেশি হতে পারবে না, তবে পর্যালোচনার পর তা আরও বাড়ানো যেতে পারে।
  7. সসম্মানে অব্যাহতি: অভিযোগ থেকে সসম্মানে অব্যাহতি পেলে পূর্ণ বেতন ও ভাতাদি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, এবং অনুপস্থিতি কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে।
  8. অন্যান্য ক্ষেত্রে: সসম্মানে অব্যাহতি না পেলে, বেতন ও ভাতাদির পরিমাণ কত হবে, তা দন্ড আরোপকারী কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে।
  9. আপিল: সাময়িক বরখাস্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
  10. পুনর্নিয়োগ: যদি সাময়িক বরখাস্ত অবৈধ বা অন্যায় হয়, তাহলে কর্মচারী পুনরায় তার পদে ফিরে আসতে পারে।
  11. অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা: যদি আপিল করার পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়া যায়, তবে অন্য কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীর পদ পূরণ করা যাবে কি?

না। সাময়িক বরখাস্তকালে সংশ্লিষ্ট ব্যীক্ত নিজস্ব পদটি দখল করিয়া রাখেন। ফলে উক্ত পদটি পদশুন্য হিসাবে বিবেচিত হয় না বিধায় ঐ পদে নিয়োগ করা যায় না। তবে বিশেষ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে অত্যাবশ্যকীয় হইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে এই উদ্দেশ্যে সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টি করা যাইবে। কিস্তু সাময়িক বরখাস্তকৃত ব্যক্তি সাময়িক বরখাস্তের মেয়া শেষ হওয়ার বা চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপারনিউমারি পদটি বিলপ্ত হইবে। (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্বারক R-III/IS-128/69/50 তারিখ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০)

সাময়িক বরখাস্তকালে কি অফিসে দায়িত্বরত থাকবে? স্মারক নং F.32/48-Ests(SE), তারিখঃ ২১ জুলাই, ১৯৪৯ অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ সাময়িক বরখাস্তের আদেশদানের ভিত্তি হিসাবে গণ্য হইবে- (ক) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের বলিষ্ট প্রাথমিক তথ্য থাকিতে হইবে; (খ) অভিযোগ এইরূপ গুরুতর প্রকৃতির যে মামলা চলাকালীন তাহাকে দায়িত্ব পালন করিতে দেওয়া যুক্তিযুক্ত হইবে না, অথবা উক্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য দন্ড হইবে চাকরি হইতে বরখাস্ত কার্যকর। (গ) মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কর্ম হইতে বিরত রাখার বলিষ্ট কারণ বিদ্যমান; (ঘ) শৃঙ্খলার সামান্য বিচ্যুতি বা ছোটখাট অপরাধের ক্ষেত্রে সাময়িক বরখাস্ত করা উচিত নয়।

   
   
   
https://bdservicerules.info/stay-in-office-on-suspension/

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *