সরকারি কর্মচারীদের মাসিক কল্যাণভাতা, যৌথবীমা ও দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আবেদন অনলাইনে করতে হবে – ম্যানুয়ালি কোন আবেদন গ্রহণ করা হয় না- মাসিক কল্যাণ ভাতা আবেদন নিষ্পত্তিতে সেবা সহজীকরণ ২০২৪
মাসিক কল্যাণ অনুদান কে পায়? শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণে কোনো কর্মচারী চাকরি হতে অপসারিত হলে বা অবসর গ্রহণ করলে তিনি এবং চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে অথবা অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১০(দশ) বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে কর্মচারীর পরিবার ১৫(পনের) বছর অথবা কর্মচারীর অবসর গ্রহণের তারিখ থেকে ১০(দশ) বছর পর্যন্ত, যেটি আগে হয়, মাসিক কল্যাণ অনুদান প্রাপ্য হবেন। এছাড়া অক্ষমতার কারণে কোনো কর্মচারী চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করলে তিনি ১৫(পনের) বছর/৬৯ বছর বয়স পর্যন্ত যেটি আগে হয়, মাসিক কল্যাণ অনুদান পাবেন।
১০ বছর ভাতা পাওয়া যায় কখন? সরকারি ও তালিকাভূক্ত ২০টি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় কর্মরত অবস্হায় মৃতুবরণ করলে অথবা অক্ষম হলে তার পরিবারকে অনধিক ১৫ (পনের) বছর পর্যণ্ত কল্যাণভাতা প্রদান করা হয় এবং কর্মকর্তা কর্মচারী অবসরগ্রহণের ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে, মৃত্যুর তারিখের পরের দিন হতে ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যণ্ত কল্যাণভাতা প্রদান করা হয়।
সরকারি কর্মচারী মারা গেলেও নাকি টাকা পাওয়া যায়? সরকারি কর্মচারী চাকরিরত অবস্থায়/ অবসরের পর কর্মচারীর ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার পরিবার অথবা তাঁর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি যিনি কর্মচারীর পরিবারের অনুপস্থিতিতে কর্মচারীর দাফন/সৎকারের ব্যয়ভার বহন করেছেন (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত এবং কর্মচারীর অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে)। চাকরিরত সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে কর্মচারী এবং বোর্ডের তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে (কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) তাঁর পরিবার বা তিনি।
যৌথবীমা মাসিক কল্যাণ দাফন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের আবেদন । যৌথবীমা ও কল্যাণ তহবিল বিধিমালা ১৯৮২
যৌথবীমা চাকরিরত/ পিআরএল ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার প্রাপ্য হয়।
মাসিক কল্যাণভাতার আবেদনের ফলাফল দেখুন এখানে ক্লিক করে
মাসিক কল্যাণ তহবিল ও যৌথ বীমা অনুদান ২০২৪ । দাফন কাফন অনুদান কত টাকা পাওয়া যায়?
- ক) বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকগণকে স্ব স্ব বিভাগের আবেদন যাচাই-বাছাইকারী হিসেবে নিযুক্ত করার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে;
- খ) আবেদন অনুমোদনের পর এর অন্তর্বর্তী প্রত্যেকটি সেবার মঞ্জুরিকৃত অনুদানের পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে সেবাগ্রহীতার নিকট ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে অবহিত করতে হবে;
- গ) মৃত কর্মচারীর ওয়ারিশগণের মধ্যে এক বা একাধিক ওয়ারিশ নিজে কল্যাণ-যৌথ-দাফনের আবেদন না করলে এবং অন্যকে ক্ষমতা প্রদান না করলে প্রাপ্যতা অনুযায়ী তার অংশ কর্তনপূর্বক যিনি আবেদন করেছেন তার অংশটুকু (আংশিক অনুদান/partial payment) প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে;
- ঘ) ০৩ বছরের অধিক এবং ০৫ বছরের মধ্যে প্রাপ্ত মাসিক কল্যাণভাতা, যৌথবীমা ও দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদানের আবেদনসমুহ বিলম্বে প্রেরণের ব্যাখ্যা এবং সুপারিশসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
কোন অনুদান কত টাকা পাওয়া যায়?
মাসিক কল্যাণভাতা প্রতিমাসে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা হারে সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) বছর পর্যন্ত পাওয়া যায়। যৌথবীমা সবোর্চ্চ ২,০০,০০০/- (দুই লাখ) টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া: চাকরিরত সরকারি/বোর্ডের তালিকাভুক্ত সংস্থার কর্মচারীর মৃত্যুতে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা পরিবার পায়। সরকারি/বোর্ডের তালিকাভুক্ত সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী৭৫ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা পায়। চাকরিরত সরকারি/বোর্ডের তালিকাভুক্ত সংস্থার কর্মচারীর পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা। সরকারি/বোর্ডের তালিকাভুক্ত সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।