সঞ্চয়পত্রের মুনাফা রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে কিনা বা কিভাবে উল্লেখ করতে হবে এটা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না একই বিষয়ে প্রশ্ন করছে। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে রাজস্ব বোর্ডের একটি পরিপত্রে বিষয়টি ক্লিয়ার করা আছে। গেজেটের উদাহরনটিতে অন্যান্য আয়ের সাথে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কিভাবে দেখাতে হবে তা পরিষ্কার দেখানো আছে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্র টিনধারীদেরও রিটার্ণ বা আয়কর দাখিল করতে হবে।
যাদের শুধু সঞ্চয়পত্র আছে আর কোন আয়ের উৎস নেই তারা কি করবে তা ধাপে ধাপে দেখানো হলঃ
১। যেখান থেকে সঞ্চয়পত্র খোলা হয়েছে সেখান থেকে আয়করের প্রত্যয়ন নিতে হবে। (একটি আয়করের প্রত্যয়নের নমুনা ছবিতে দেয়া হল)। সেখানে দুটো অংক পাবেন। পরিশোধিত মুনাফা আর ট্যাক্সের পরিমান। পরিশোধিত মুনাফাটি ট্যাক্স সহ।
২। পরিশোধিত মুনাফার ট্যাক্স সহ অংকটিই সঞ্চয়পত্রের ৮ পৃষ্টার ফরমের ২য় পৃষ্ঠার ২ নম্বরের নিরাপত্তা জামানতের সুদের ঘরে লিখতে হবে। পাতাটির নমুনা আরেকটি ছবিতে দেয়া হল।
৩। ১৩ নম্বরের “মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়কর” ঘরে আয়কর প্রত্যয়নে দেয়া উতসে আয়কর কর্তনের পরিমানে যে অংকটি লেখা আছে সেটা লিখতে হবে।
৪। ১৬(ক) তে উৎস হতে কর্তিত করের ঘরেও সেই একই ট্যাক্সের পরিমান লিখতে হবে।
আরও কিছু জিনিষ মাথায় রাখতে হবেঃ
১। যাদের শুধু সঞ্চয়পত্র আছে তাদের ক্ষেত্রে জিরো রিটার্ন হবে না। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে যে ট্যাক্স কেটে রাখা হয়েছে, সেটুকুই মোট আয়ের উপর করদায় হিসেবে রিটার্নে দেখাতে হবে।।
২। সঞ্চয়পত্র থাকলে ১ পাতার ফরমটি ব্যবহার করা যাবে না। ৮ পৃষ্টার বাংলা ফর্মটি সঞ্চয়পত্রধারীদের জন্য পারফেক্ট।
৩। পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হিসেবে আপনি প্রতিমাসে প্রতি লাখে মুনাফা পান আসলে ৯৬০ টাকা করে (১৫ লাখ পর্যন্ত)। হাতে পান ৯১২ বা ৮৬৪ টাকা। এই ৪৮ বা ৯৬ টাকা উৎস কর হিসেবে কেটে রাখা হয়েছে যেটা রিটার্নে পরিশোধিত কর হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।
৪। ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। ব্যাংক ব্যালেন ৪/৫ লাখের নিচে হলে স্টেটমেন্ট চায় না।
সূত্র: সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত বিধান ক্রেডিট: Abu Sufian