সার্ভিস রুলস । নীতি । পদ্ধতি । বিধি

গণ কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২

সুপ্রীম কোর্টের রায়ে সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল হওয়ায় অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা হারাইলে ‘১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১৩’ (২০১৩ সনের ৭নং আইন) দ্বারা অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা বহাল রাখা হয়েছে।

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম। -এই অধ্যাদেশ গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ১৯৮২ নামে অভিহিত হইবে।

২। সংজ্ঞা।-এই অধ্যাদেশে প্রসংগের বা বিষয়ের পরিপস্থি কিছু না থাকিলে-

(এ) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এই অধ্যাদেশের আওতায় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ;

(বি) “গণকর্মচারী” অর্থ প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারী।

ব্যাখ্যা: ধারা-২ (এ) তে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রাষ্টপতি, যে সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সে সকল কর্মকর্তার ক্ষেত্রে, সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং বিভাগীয় প্রধানগণকে এই রূপ কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ হিসাবে নির্দিষ্ট করিলেন, যাহারা এই অধ্যাদেশের অধীন কর্তৃপক্ষে ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (এস, আর, ও, ১৫৪-আইন/৮৯, তারিখ: ২১ মে ১৯৮৯)।

৩। অন্যান্য আইনের উপর অধ্যাদেশ প্রাধান্য। – গণকর্মচারী সম্পর্কিত অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় অথবা গণকর্মচারীর চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবে।

গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ ১৯৮২ অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় অথবা গণকর্মচারী চাকরির শর্তাবলীতে যাহা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এই অধ্যাদেশ মোতাবেক অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড কার্যকর হইবে।


৪। বিনানুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির জন্য দন্ড।- কোন গণ কর্মচারী তাঁহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ছুটিতে গেলে বা নিজে কর্মে অনুপস্থিত থাকিলে, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।

৫। বিনানুমতিতে অফিস ত্যাগের জন্য দন্ড।- কোন গণকর্মচারী অফিস চলাকালীন তাঁহার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করিলে, কর্তৃপক্ষ এইরূপ প্রতিক্ষেত্রে এক দিনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।

৬। বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দন্ড।- কোন গণকর্মচারী অফিসে বিলম্বে উপস্থিত হইলে, কর্তৃপক্ষ প্রতি দুই দিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবেন।

৭। অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড।- কোন গণ কর্মচারী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ধারা-৪, ৫ ও ৬ এ বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করিলে, কর্তৃপক্ষ (কর্তৃপক্ষ বলতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে বোঝাবে/সমক্ষমতার) আরো অতিরিক্ত ০৭ (সাত) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবেন।

৮। আবেদন দাখিল (representatiion)।- ধারা -৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ এর অধীনে কোন গণকর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হইলে, ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টা (দুই দিন) এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট গণকর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিকট আদেশ সংশোধনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং তদপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবেন, সেইরূপ শুনানি গ্রহণান্তে আদেশ সংশোধন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।

৯। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন নাই।-এই অধ্যাদেশের অধীনে কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না।

১০। আদালতের এখতিয়ার খর্ব।-এই অধ্যাদেশের অধীন কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহিত পরামর্শের প্রয়োজন হইবে না।

The public emplyees Discipline (Punctual Attendance) Ordinance, 1982

গণ কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *