প্রশিক্ষণ । সংযুক্তি । উচ্চশিক্ষা। প্রেষণ

ডেপুটেশন ও এ্যাটাচমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি জেনে নেই।

সরকারি কর্মচারীদের প্রায়ই সংযক্তি বা এ্যাটাচমেন্টে পাঠানো হয়। এ সময় তাদের মূল কর্মস্থল থেকে তারা বেতন ভাতাদি গ্রহণ করে এবং অন্য দপ্তরে কাজ বা কর্মরত থাকেন। অন্য দিকে আপনার লিয়েন বা পদে অধিষ্ঠিত ক্ষমতা অক্ষুন্ন রেখে অন্য কোন মন্ত্রণালয়/দপ্তর বা সংস্থা বা প্রকল্প বা একই মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প (প্রকল্প অস্থায়ী এ জন্য) এর পদে দিলে তা হবে ডেপুটেশন বা প্রেষণ।

খুবই সহজ দুটি শব্দ। এ দুটির অর্থ জানার আগে আপনাকে “লিয়েন” কি তা জানতে হবে। লিয়েন কোন ছুটি বা প্রেষণ বা শিক্ষানবীশ কাল নহে।


“কোন একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্থায়ী পদের বিপরীতে অধিষ্ঠিত থাকার ক্ষমতাকে লিয়েন বলে।“ গনকর্মচারী স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই লিয়েন অর্জন করে। উদাহরণস্বরপ- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য কাডারের ৫০০০ টি সহকারী সার্জন পদ রয়েছে। পদগুলো হাসপাতাল/কলেজ/দপ্তর/সংস্থা এর জন্য। আপনি একা একটি পদে নিয়োগ হলেন। তাহলে ৪৯৯৯ টি পদ ফাঁকা থাকবে। উক্ত ১ টি পদে আর কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। সহজ কথায় আপনার পদে থাকার ক্ষমতা হচ্ছে লিয়েন।বিভাগের এক পদে পদায়ন করে একই দপ্তর বা সংস্থার অন্য পদে কাজ করানো হলো তা এ্যাটাচমেন্ট। যেহেতু আপনি ৫০০০ পদের ভিতরেই কাজ করছেন। এমনকি কোন পদ না থাকলেও কাজ করলে তাও এ্যাটাচমেন্ট।


আপনার লিয়েন বা পদে অধিষ্ঠিত ক্ষমতা অক্ষুন্ন রেখে অন্য কোন মন্ত্রণালয়/দপ্তর বা সংস্থা বা প্রকল্প বা একই মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প (প্রকল্প অস্থায়ী এ জন্য) এর পদে দিলে তা হবে ডেপুটেশন বা প্রেষণ। যেমন- স্বাস্থ্য কাডারের কোন কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পদায়ন করা হলে তা হবে ডেপুটেশন। তেমনি উক্ত কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কোন প্রকল্পে পদায়ন করলে তাও হবে ডেপুটেশন। আপনার ০১ টি পদ অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংরক্ষণ করবে। অনেক সময় বিভিন্ন আদেশ দেখবেন, লিয়েন মুঞ্জুর হওয়ায় তাঁকে জাতি সংঘ কাজ করার জন্য ০৩ বছর ছুটি মুঞ্জুর করা হলো অথবা তাঁকে জাপানে ০৩ বছরের জন্য শিক্ষা ছুটি মুঞ্জুর করা হলো। এখানে লিয়েন মুঞ্জুর হওয়ার অর্থ হলো “ তাঁর স্থায়ী পদে অধিষ্ঠিত থাকার ক্ষমতা মুঞ্জুর” হয়েছে।


লিয়েন কোন ছুটি নহে। “নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা-১৯৫৯” এ লিয়েন ছুটি নামে কোন ছুটিও নাই। তবে ছুটি প্রাপ্তির জন্য লিয়েন অর্জণ করতে হয়। প্রবেশন বা শিক্ষানবীশকালে কোন লিয়েন অর্জন হয় না। উক্ত সময়ে ছুটি সাধারণতঃ বিশেষ বিবেচনায় করা হয় বা ভবিষ্যতে অর্জন করবেন বলে ছুটি দেওয়া হয়। এজন্য প্রবেশন এ ছুটি সহজে মুঞ্জুর করা হয় না। তাছাড়াও অস্থায়ী এবং প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারিদের কোন লিয়েন নাই।

 

ক্রেডিট: De Mak

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

10 thoughts on “ডেপুটেশন ও এ্যাটাচমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি জেনে নেই।

  • আসসালামু আলাইকুম। আমার একটা বিষয় সম্পর্কে জানার দরকার। জানালে খুবই উপকৃত হবো। আমার এক আত্মীয় জেলা পর্যায়ে একটা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সম্প্রতি তার প্রমোশন হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে গবেষণা অফিসার (বাজেট ও প্লানিং) পদে অর্থ, হিসাব ও পরিকল্পনা উপবিভাগে যোগদান করেছে। জেলা পর্যায়ে উক্ত পদ বা সমমানের কোন পদ নেই। তাই তাকে জেলা পর্যায়ে পদায়ন দেওয়া যাবে না বলে জানা যায়। পরবর্তীতে অনেক অনুরোধ এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পর্যায়ে অর্থাৎ পূর্বের কর্মস্থলে এক বছরের জন্য সংযুক্তিতে ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু অফিস আদেশে নির্দিষ্ট একটা তারিখ উল্লেখ করে সেই তারিখের পরে প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এক্ষত্রে সেই কর্মচারী কী নির্দিষ্ট তারিখ শেষে প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করে পুনরায় জেলা কার্যালয়ে সংযুক্তিতে পদায়নের জন্য আবেদন করতে পারবে? নাকি যোগদান করে আবেদনের কোন সুযোগ নেই? আর যোগদান না করে যদি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সংযুক্তিতে পুনরায় পদায়নের জন্য আবেদন করা যায় তাহলে কী নিয়ম অনুযায়ী সংযুক্তিতে পদায়ন করা সম্ভব? সংযুক্তিতে পদায়ন দিলে কতসময় থাকা যায়? সে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সেখানে অন্যান্য পদে বিশেষ বদলি দেখা যায় না। খুবই কম বদলি দেখা যায়।

  • যোগদান করে পরবর্তীতে আবেদন করে সংযুক্তিতে যেতে পারবে। সংযুক্তির ক্ষেত্রে এ তারিখ উল্লেখ করাবেন না। সংযুক্তি বিষয়টি বৈধ কোন বিষয় নয়, তাই ক্ষেত্রে নিয়ম কানুন সীমিত।

  • প্রিয় অ্যাডমিন,
    শুভেচ্ছা জানবেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা চাকুরিতে থাকা অবস্থায় ডেপুটেশনে (পূর্ণ বেতন-ভাতায়) দেশের অভ্যন্তরে একটি দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স, বিদেশী কোন সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় উক্ত বিদেশী সরকারের বৃত্তি নিয়ে ঐ দেশে দুই বছর মেয়াদী আরেকটি মাস্টার্স করার পর বিদেশী কোন সরকারের/বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা কি তার চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্ণ বেতন ভাতা নিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করতে পারবেন? এক্ষেত্রে কি সমগ্র চাকুরিজীবনে ৫ বছরের বেশি শিক্ষাছুটি পাবেন না-এই বিধান প্রযোজ্য হবে। উপযুক্ত প্রজ্ঞাপন/বিধি/বিধান/ রেফারেন্সসহ জানালে বাধিত হই। ধন্যবাদ!

  • পারবেন। এক্ষেত্রে ঐ বিধি প্রযোজ্য হইবে না। কারণ কর্মকাল হিসেবে গণ্য করে বেতন ভাতাদি বিদেশে থেকেও নিয়মিত পাবেন।

  • প্রিয় এডমিন ,শুভেচ্ছা নিবেন
    কোন একটি পদে যখন অন্য কোথাও থেকে কাওকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তখন যে পদে পাঠানো হয় সেই পদ যদি উচ্চতর গ্রেডের হয় তাহলে তাকে পাঠানো যাবে কিনা ? যেমন কারও গ্রেড -১০ কিন্তু তাকে ৯ম গ্রেডে দেওয়া যাবে কিনা/

  • উচ্চ গ্রেডে দায়িত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রেরণ করতে পারে। দায়িত্বভাতা দাবি করতে পারেন।

  • সংযুক্তি দিলে তো দায়িত্ব পালন করে অন্য কর্মস্থলে আর বেতন হয় নিজ কর্মস্থল থেকে সেক্ষেত্রে ডেপুটেশন গেলে বেতন কোথা থেকে হয়?

  • সংযুক্তিতে অন্য কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করলেও বেতন হয় মূল কর্মস্থল থেকে সেক্ষেত্রে ডেপুটেশনে দায়িত্ব পালন করলে বেতন হয় কিভাবে

  • মূল কর্মস্থল হতেই বেতন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *