গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা, ২০২০ এর অনুচ্ছেদ ২.৫ অনুসারে প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মচারী অনুবেদনাধীন কর্মচারীর গোপনীয় অনুবেদন অনুস্বাক্ষর করবেন এবং “প্রতিস্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই” উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষরের অংশে কারণটি লিপিবদ্ধ করবেন। একইভাবে কারণগুলো প্রতিস্বাক্ষরকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে অনুবেদনকারী কর্মচারী যথারীতি অনুস্বাক্ষর করবেন এবং প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষরের অংশে কারণটি লিপিবদ্ধ করবেন।
২.৫. অনুবেদনকারী বা প্রতিস্বাক্ষরকারীর অবর্তমানে করণীয়:
২.৫.১. অনুবেদনকারীর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কারণগুলো প্রযোজ্য হরে প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মচারী অনুবেদনাধীন কর্মচারীর গোপনীয় অনুবেদন অনুস্বাক্ষর করবেন এবং “প্রতিস্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই” উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষরের অংশে কারণটি লিপিবদ্ধ করবেন। একইভাবে কারণগুলো প্রতিস্বাক্ষরকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে অনুবেদনকারী কর্মচারী যথারীতি অনুস্বাক্ষর করবেন এবং প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষরের অংশে কারণটি লিপিবদ্ধ করবেন। একইভাবে কারণগুলো প্রতিস্বাক্ষরকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে অনুবেদনকারী কর্মচারী যথারীতি অনুস্বাক্ষর করবেন এবং প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন নেই মর্মে উল্লেখ করে প্রতিস্বাক্ষরের অংশে কারণ লিপিবদ্ধ করে ডোসিয়ার সংরক্ষণকারীর দপ্তরে প্রেরণ করবেন।
তবে উভয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কারণগুলো ঘটলে বিষয়টি তথ্যপ্রমাণসহ উল্লেখ করে অনুবেদনাধীন কর্মচারী ডোসিয়ার সংরক্ষণকারী কর্তৃপক্ষকে এসিআর দাখিলের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবহিত করবেন।
কারণগুলো হলো:
ক) মৃত্যুবরণ করলে; খ) কারাগারে আটক থাকলে; গ) সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকলে; ঘ) অপসারিত হলে; ঙ) চাকরি হইতে বরখাস্ত হলে; চ) চাকরি হতে পদত্যাগ করলে; ছ) নিরুদ্দেশ থাকলে; জ) শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম হলে; ঝ) পদ শুন্য থাকলে; ঞ) গোপনীয় অনুবেদনের জন্য নির্ধারিত সময়ে বিদেশে অবস্থান করলে।
২.৫.২. অনুবেদনকারী বা প্রতিস্বাক্ষরকারী নির্ধারণে কোনো জটিলতা দেখা দিলে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রের মধ্যে অনুবেদনকারী এবং প্র্রতিস্বাক্ষরকারী নির্ধারণ করে প্রশাসনিক আদেশ জারি করবে এবং তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।
গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা প্রশাসন শাখা বা হিসাব শাখায় কাজ করেন তারাই কেবল চাকরি সম্পর্কিত বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। অবশিষ্ট ৮০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীই সরকারি চাকরির বিধানাবলী, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, হালনাগাদ পেনশন রুলস, ভ্রমণ বিধি ও প্রাপ্যতা , উৎসব ভাতার প্রাপ্যতা, সরকারি কর্মচারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা বা চিকিৎসা শেষে ব্যয় উত্তোলন, বিভিন্ন ভাতাদির প্রাপ্যতা, বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম সুবিধা গ্রহণ, নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা, বিভিন্ন ধরনের ছুটি কিভাবে নিতে হয়, বাসা বরাদ্দ বা বাড়ি ভাড়া প্রাপ্যতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা বা রেশন সুবিধা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভাল ধারনা রাখেন না। এই ওয়েবসাইটটিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ কর্মচারী যাতে সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারে এবং যদি কোন বিধি বুঝতে সমস্যা হয় তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি কোন বিধি বা নীতিমালা বুঝতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিটি পোস্টের রেফারন্স পোস্টের শেষে “ডাউনলোড” নামের যে লিংক দেওয়া আছে সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ডাউনলোড ফাইল Google Drive or Box.com এ স্টোর করা আছে। কারও যদি ফাইলটি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে আপনি আপনার নিজের gmail Account এ Login করে নিন। লগইন করার পর ঠিকই ফাইলটি ডাউনলোড হবে। তবুও যদি আপনি রেফারেন্স ফাইল ডাউনলোডে সমস্যায় পড়ে তবে আপনি এডমিনকে alaminmia.tangail@gmail.com এ ফাইলের নাম দিয়ে নক করুন। এডমিন আপনার ইমেইলের উত্তর দিবে।
কিছু কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছে সরকারি চাকরির বিধি বিধানের কিছু বইও হয়তো সংগ্রহে আছে কিন্তু তা মূলত সংগ্রহেই মাত্র বের করে পড়ার সময় বা সুযোগ নেই। কারও সময় বা সুযোগ থাকলেও বের করে পড়া পর্যন্ত হয় না। আবার দেখা যায় যে, অসংখ্য বইয়ের মধ্যে একটি সামারি বই চাকরির বিধানাবলীই শুধুমাত্র সংগ্রহ রয়েছে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত অসংখ্যা বই রয়েছে যেগুলো আবার প্রতি বছরই আপডেট হয়ে থাকে আপনি যদি শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তবে আপনি সকল আপডেট তথ্যই পেয়ে যাবেন। ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।