জীবন বীমা ও অন্যান্য বীমার সুবিধা

ইন্স্যুরেন্স এজেন্ট এর বেতন ভাতাদি ২০২৪ । একজন বীমা প্রতিনিধির মাসিক আয় কত টাকা?

বীমা এজেন্টের কাজ খুবই পরিশ্রম সাধ্য কিন্তু একবার যদি এর স্বাদ আপনি পেয়ে যান তবে কোন ভাবে আপনাকে আপনি নিজেই থামাতে পারবেন না, কারণ কমিশন, বেতন বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা ভোগের মজাই আলাদা– ইন্স্যুরেন্স এজেন্ট বেতন ভাতাদি ২০২৪

নতুন কর্মীদের আয় কেমন? – ইন্স্যুরেন্স এজেন্টের আয় মূলত হিসাব করা হয় ক্লায়েন্ট প্রতি কমিশন হিসেব করে তাই ক্লায়েন্ট না থাকলে আয় হবে না। প্রতি এজেন্টের গ্রাহককে বীমা করানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, লক্ষ্য অর্জন করলে কমিশন ও বোনাস দুটোই পাওয়অ যায়। সে অনুযায়ী তিনি কমিশন ও বোনাস পেয়ে থাকেন। সবেমাত্র জয়েন করেছেন, এমন কর্মী যদি সেলস করতে পারে তবে চাকরির শুরুতে গড়ে ১০,০০০ – ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কি? পদের নাম এজেন্ট বা ফিন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট (এফএ) পদে ১৮-৫০ বছর বয়সের যে কেউ জয়েন জয়েন বা আবেদন করতে পারেন। তবে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এসসি পাশ হতে হবে। এছাড়াও এস.এস.সি/এইচ.এস.সি/অনার্স/মাষ্টার্স পাশ অনেকেই এ পেশায় যুক্ত রয়েছে। কেউ কেউ চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম হিসেবে এটি করছে। তবে সরকারি চাকরি অবস্থায় এটি করা যাবে না।

শুনেছি লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়? হ্যাঁ যায়। বীমা পেশায় যে ৮ মাসে গাড়ি অর্জন করা যায়, এইটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। বীমা পেশায় স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ রযেছে, নিজের ইচ্ছামতো আয় করার সুযোগ রয়েছে। আর যারা কাজ করতে আসছে তারা সঠিক ট্রেনিংয়ের অভাবে সফল হতে পারছে না। তাই যারা বীমা পেশায় কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না। তাদের জন্য Online ও Offline ট্রেনিং সেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্র দেখুন

একজন ইন্স্যুরেন্স প্রতিনিধি হিসেবে কি কি কাজ করতে হয়? প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আর্থিক সম্পদ সম্পর্কে তথ্য এবং প্রিমিয়াম দেয়া সক্ষমতা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে কৌশলে জানতে হয়। ইন্স্যুরেন্স কভারেজ নিয়ে আলোচনা করতে হয়। প্রতিষ্ঠানের ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতি ব্যাখ্যা করতে হয়। ক্লায়েন্টদের বর্তমান ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলো বিশ্লেষণ করা ও প্রয়োজনে সংযোজন বা পরিবর্তন করতে সহায়তা করতে হয়।ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ইন্স্যুরেন্স প্রোগ্রাম নির্বাচনে সহায়তা করতে হয়। পলিসি নবায়ন করতে সহায়তা করতে হয়। পলিসি বাতিল বা ভাঙ্গাতেও সহায়তা করতে হয়। সকল তথ্যের রেকর্ড রাখতে হয়।

বেকার ও অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে আপনিও আয় করতে পারেন / পাছে লোকে কিছু বলে এমন ভাবলে জীবনে উন্নতি সম্ভব হবে না।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড এর ভিত্তি ত্রিশ বছর আগে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ডরুমে চালু হয়েছিল। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের দৃষ্টিভঙ্গিটি যেমনটি প্রয়োজনীয় ছিল তত তাৎপর্যপূর্ণও। এর উদ্দেশ্য, একজনের জীবন বীমা করার সময় সঞ্চয়ীকরণ এবং আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তার মূল্য তৈরি করা। ত্রিশ বছর পরে রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের বোর্ড সদস্যরা বাংলাদেশী পরিবারের আশা ও স্বপ্নকে সুরক্ষিত ও লালিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইন্স্যুরেন্স এজেন্ট বেতন ভাতাদি ২০২২ । একজন বীমা প্রতিনিধির মাসিক আয় কত?

Caption: Circular Download । যে কোন সময় আবেদন করুন । উপরোক্ত সার্কুলারটি নভেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে।

বীমা এজেন্টের সুযোগ সুবিধা ও কাগজপত্র যা লাগে

  1. কমিশন ( মাসিক বা বাৎসরিক প্রিমিয়ামের উপর ৫% আপনার আয় প্রযোজ্য হইবে)।
  2. বেতন (নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই। একটিভ রাখতে টার্গেট ভিক্তিক বেতন নির্ধারণ করা হয়। টার্গেট পূরণ না করলে প্রাতিষ্ঠানিক এমাউন্ট বা বেতন বন্ধ হয়ে যায়)।
  3. লিডার্স ক্লাব।
  4.  পিকনিক ক্লাব।
  5. প্রমোশন ও বোনাস ( পরিশ্রম অনুযায়ী প্রমোশন হবে এটি কেউ ঠেকাতে পারবে না, টার্গেট বা গোল পূরণ করে বোনাসও পাওয়া যাবে)।
  6. বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ -প্রাতিষ্ঠানিক ভ্রমণ বা ভ্রমণ ভাতাও পাওয়া যাবে।
  7. চিকিৎসা ভাতা -চিকিৎসা ভাতা পাওয়া যাবে যদি বেতন প্রাপ্য হউন।
  8. পেনশন -বীমা স্কীমের আওতায় পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  9. মৃত্যু ভাতা -প্রতিটি এজেন্ট যেহেতু বীমার আওতায় তাই মৃত্যু পরবর্তী ভাতাও পাওয়া যাইবে।
  10. কাগজপত্র বলতে – শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি। ভোটার আইডি কার্ড/ অনলাইন জন্ম সনদ/
    পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  11. নিজের ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। সরকারি লাইন্সেস ফি ১,৫১০ টাকা। ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ডাচ-বাংলা ব্যাংক অথবা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক)।

একটি বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কত থাকে?

তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড ২৮৫ মিলিয়ন টাকা পরিশোধিত মূলধন সহ সারা দেশে ৮৬ টিরও বেশি শাখা এবং পরিসেবা কেন্দ্র চালু করে। এটি রূপালী বীমা কোং লিমিটেডের নেটওয়ার্ক শক্তি ব্যবহার করে, একই সময়ে অভিভাবক সংস্থার (IDRA) কৌশলগত অবস্থানগুলি ব্যবহার করে নিজেকে প্রচার করছে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের লক্ষ্য হল আর্থিক সুরক্ষা এবং অবসর গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের সমাধান, বিনিয়োগ এবং সুরক্ষা পরিকল্পনার প্রিমিয়ার পরিসেবা প্রদানকারী হিসেবে চূড়ান্ত স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকসেবা ওরিয়েন্টেশন সহ একসাথে এটি জীবন বীমা উপর ভিত্তি করে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড ই,আর,পি সিস্টেম প্রয়োগ করেছে যা এর কার্য কলাপ এবং কর্ম পদ্ধতি গুলি সুগঠিত ও অত্যন্ত উৎপাদনশীল, দক্ষ এবং ব্যয় সাশ্রয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলছে।

একজন ইন্স্যুরেন্স এজেন্টের ক্যারিয়ার কেমন হয়? বীমা কোম্পানিতে এজেন্ট হিসেবে যোগদান করা হলো এ পেশার প্রাথমিক ধাপ এবং পরবর্তীতে ডেভেলপমেন্ট অফিসার বা ডিও, ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার বা ডিএম, মার্কেটিং বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (সেলস) ইত্যাদি পদে নিয়োগ পাবেন। উল্লেখ্য যে, পরিশ্রম করার সামর্থ্য ও কাজের দক্ষতা থাকলে এ পেশায় খুব দ্রুত পদোন্নতি লাভ করা যায় এবং উন্নতির সাথে সাথে সুযোগও বাড়তে থাকে।

বি:দ্র: প্রতিটি ইন্সুরেন্স কোম্পানি এখন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর নিয়ন্ত্রণ ও আওতাভূক্ত তাই প্রিমিয়াম ও প্রাপ্যতায় স্বচ্ছাতা নিশ্চিত করা যায়।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *