Trade Licence is essential to start a business- ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন পদ্ধতি– ট্রেড লাইসেন্স ফি তালিকা ঢাকা– ট্রেড লাইসেন্স ফি ২০২৪
ট্রেড লাইসেন্স ফি – ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে লাইসেন্স ফি নির্ধারিত হয়। এই ফি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত, একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত কর্ম দিবস সময় লাগতে পারে। সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সের যেকোনো নাগরিক ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত যে কোন এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট আঞ্চলিক অফিস থেকে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করা আইনানুগ বাধ্যতামূলক । ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পূর্ণ এলাকাকে মোট ১০ টি অঞ্চলে ভাগ করে সেবা প্রদান করা হয় । অঞ্চলগুলো অফিসের ঠিকানা ও আওতাধীন ওয়ার্ডের বিস্তারিত তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
ট্রেড লাইসেন্স সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় সময় ও ফরম গ্রহণ ফি-ট্রেড লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ‘কে’ ফরমে আবেদন করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে ৩ কপি ছবি, ভাড়ার চুক্তি পত্র ও ভাড়ার রশিদ, কর পরিশোধের রশিদ সহ কর কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে হয়। লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে Memorandam এর কপি দাখিল করতে হয়। পরবর্তীতে লাইসেন্স সুপারভাইজার কর্তৃক সরেজমিনে তদমত্ম করে সঠিক পাওয়া গেলে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। ৩ দিন, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের তদমেত্মর প্রয়োজন হলে ৭ দিন। ১) নামজারীর ফরম মূল্য ১০ টাকা। ২) ব্যবসার ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত ফি আদায় করা হয়।
কর আইনের ৪৪(১), ধারা মোতাবেক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ইউপিতে ট্রেড লাইসেন্স ফি হিসেবে ২৩০, ৫০০ আবার কোথাও ১৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন- ট্রেড লাইসেন্স বহির সাথে নবায়নের চালান বহি থাকে। বৎসর ভিত্তিক নবায়ন সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্ধারিত ফি জমা প্রদানের মাধ্যমে করা হয়। আবেদনের এক দিনের মধ্যে নবায়ন করা হবে। ফি হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ধরন মোতাবেক ইউপি বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
কর তফসীল সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ মোতাবেক সিটি কর্পোরেশন কর নির্ধারিত হয়। নীতি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হতে ট্রেড লাইসেন্স পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে? জরুরী যোগাযোগ
ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদনের প্রক্রিয়া ২০২৪ । সিটি কর্পোরেশন হতে যেভাবে ট্রেড লাইসেন্স পাবেন।
প্রথমে জানতে হবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোন অঞ্চলের কোন ওয়ার্ডে অবস্থিত । ধরুন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ধানমন্ডি কলাবাগানে তাহলে আপনার ওয়ার্ড নং ১৭ ও অঞ্চল ১। তাহলে আপনাকে অঞ্চল-১ এর অফিস নগর ভবনের ১২ তলায় এসে লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে ।
- নগর ভবনের নীচ তলা ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ হতে লাইসেন্স এর আবেদন ফরম ৫০/- টাকা এর বিনিময়ে সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম টি পূরন করবেন ।
- আবেদন পত্রের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ১ কপি ফটোকপি , ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়ার চুক্তিনামা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থানটি নিজের হলে সিটি করপোরেশনের হালনাগাদ বাড়ীর করের রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। আবেদনের পর সিটি করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যাচাই-বাচাই করবেন এবং যাচাই-বাচাইয়ের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স ফি পরিশোধ করতে হবে এবং লাইসেন্স ফি পরিশোধের পরবর্তী সময়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করে লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
- প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি লিমিটেড হলে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ও সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন দিতে হবে। প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান, কারখানা বা কোম্পানির পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার নকশাসহ ওই স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনামাও দাখিল করতে হবে। এসব ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
যেমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপরের সব দলিলের সঙ্গে পরিবেশ সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান চিহ্নিত মানচিত্র ও অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন, ছাপাখানা ও আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি, রিকুটিং এজেন্সির জন্য মানবসম্পদ রপ্তানি ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স, অস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স, ট্রাভেল এজেন্সির ক্ষেত্রে সিভিল এ্যাভিয়েশনের অনুমতিপত্র, সিএনজি স্টেশন বা দাহ্য পদার্থের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
ই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার উপায় কি?
এছাড়াও ডিজিটাল/ ই-ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন। মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে, লাইসেন্সে উল্লেখিত শর্তাবলী এবং সিটি করপোরেশনের আইন ও বিধি মেনে না চললে লাইসেন্স যে কোন সময় বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া লাইসেন্স গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তাই নিজ দায়িত্বে সকল সঠিক তথ্য প্রদান করেই লাইসেন্স গ্রহণ করবেন।