বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি । উচ্চতর গ্রেড

উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা নিয়ে নতুন রায় ২০২৫ । ইতিমধ্যে ১টি টাইমস্কেল বা সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও ২টি উচ্চতর গ্রেড পাবেন?

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ১৫ জুলাই পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে- ফলে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবেন-উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা নিয়ে নতুন রায় ২০২৫ 

সরকারি কর্মচারীগণ টাইম স্কেল সিলেকশন পেলেও উচ্চতর গ্রেড পাবেন? হ্যাঁ। এখন আপীল বিভাগের রায় হওয়ার কারণে পাবেন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড ছিল পূর্ববর্তী বেতন কাঠামোতে প্রচলিত দুটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বা শর্ত পূরণ সাপেক্ষে উচ্চতর বেতন গ্রেড পেতেন পদোন্নতি না হোক। তবে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ কার্যকর হওয়ার পর থেকে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে, একই পদে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের জন্য আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৭(১) অনুযায়ী): কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি পূর্ণ করলে এবং এর মধ্যে কোনো পদোন্নতি না পেয়ে থাকলে, তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড (১১তম গ্রেড) প্রাপ্ত হবেন। একইভাবে, প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির পর আরও ৬ বছর অর্থাৎ মোট ১৬ বছর একই পদে সন্তোষজনকভাবে চাকরি পূর্ণ করলে এবং এর মধ্যে কোনো পদোন্নতি না পেয়ে থাকলে, তিনি দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড (১০ম গ্রেড বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরবর্তী গ্রেড) প্রাপ্ত হবেন। এই বিধিটি-ই কেবল অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে।

পূর্বে কি সিলেকশন গ্রেড পেতেন? হ্যাঁ। যারা পূর্বের নিয়মে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছিলেন, তারা সেই সময়ে অবশ্যই উচ্চতর গ্রেড লাভ করেছিলেন। বর্তমান নিয়মে (২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী), যদিও টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড নামে কোনো সুবিধা নেই, এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট মেয়াদ (১০ বছর ও ১৬ বছর) পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই সুবিধা যারা পান, তারাও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হন। সংক্ষেপে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিল হলেও, নির্দিষ্ট সময় পর উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুযোগ বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির মাধ্যমে বহাল আছে। হ্যাঁ, টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা উচ্চতর গ্রেড পাবেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ কার্যকর হওয়ার আগে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর (যেমন ৮, ১২, ১৫ বছর চাকরি পূর্তিতে) পদোন্নতি না পেলেও আর্থিক সুবিধা হিসেবে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড (সাধারণত ৪ বা ৫ বছর পূর্তিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এই সুবিধা পাওয়ার অর্থই হলো তৎকালীন বেতন কাঠামো অনুযায়ী উচ্চতর বেতন গ্রেডে বেতন প্রাপ্তি। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫: এই বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিল করে দেওয়া হয় (১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে কার্যকর)। এর পরিবর্তে একই পদে পদোন্নতি ছাড়া ১০ বছর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে একটি এবং ১৬ বছর পূর্তিতে ১৭তম বছরে আরও একটি স্বয়ংক্রিয় উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়।

এখন কি তাহলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রাপ্তদের কপাল খুলছে? সাম্প্রতিক আদালতের রায় (এপ্রিল ২০২৫): সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। এই রায় অনুযায়ী, যে সকল সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ কার্যকর হওয়ার আগে একটি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছিলেন, তারাও বর্তমান বেতন স্কেলের অধীনে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড (সাধারণত ১৬ বছর পূর্তিতে প্রাপ্য দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড) পাওয়ার অধিকারী হবেন। পূর্বে একটি সুবিধা পাওয়ার কারণে তারা নতুন বেতন স্কেলের স্বয়ংক্রিয় উচ্চতর গ্রেড সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এই রায়ের ফলে প্রায় ১৫ লক্ষ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। সুতরাং, যারা আগে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তারা সেই সময়ে উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা লাভ করেছেন এবং সাম্প্রতিক আদালতের রায়ের আলোকে তারা বর্তমান বেতন স্কেল অনুযায়ী পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাওয়ারও অধিকারী হবেন।

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুইটি করে উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা কাটলো বলে জানান আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত ১৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি ১৫ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সবাই এ সুবিধা পাবে না

স্পষ্টীকরণটি অংশ বাতিল ঘোষিত হয়েছে? হ্যাঁ। রিটকারীদের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে এ রায় দেন। আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বলেন, স্পষ্টীকরণ সংক্রান্ত পরিপত্রের প্যারা-গ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের জাতীয় পেস্কেলের উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত প্যারা-৭ যেমন আছে, তেমনই থাকবে। স্পষ্টীকরণ পরিপত্রের প্যারা-গ-এর কারণে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ায় যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা আর থাকলো না। এটি না থাকার কারণে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা পাবেন অর্থাৎ যারা ২০১৫ সালের আগে একটা টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাদের দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা আইনি বাধা থাকছে না। ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ স্পষ্টীকরণ’ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছর রিট করেন কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবী। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে স্পষ্টীকরণ পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ২০২০ সালে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত আপিল করে।

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ২০০৯আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় পিডিএফ

উচ্চতর গ্রেড প্রজ্ঞাপন ২০২৫ । স্বয়ংক্রিয় উচ্চতর গ্রেড নিয়ম কি?

  • স্বয়ংক্রিয় উচ্চতর গ্রেড মানে হল, একই পদে কোনো সরকারি কর্মচারী ১০ বছর কাজ করার পর পদোন্নতি না পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। প্রথমটি পাবে ১০ বছর চাকরি পূর্তির পর, এবং দ্বিতীয়টি পাবে ১৬ বছর পর।
  • টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড: যারা আগে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তারাও এই সুবিধা পাবেন।
  • দুটো উচ্চতর গ্রেড: যারা আগে কোনো ধরনের উচ্চতর স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পাননি, তারা ১০ বছর চাকরি পূর্তির পর একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এরপর যদি ৬ বছর পদোন্নতি না হয়, তাহলে ৭ম বছরে আরেকটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন।
  • চাকরির শর্ত: এই সুবিধা পাওয়ার জন্য চাকরিরত অবস্থায় সন্তোষজনক কর্মের প্রমাণ থাকতে হবে।
  • বেতনস্কেল: এই সুবিধা বেতন স্কেলের ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত প্রযোজ্য।
  • অন্যান্য নিয়ম: এর আগে কোনো পরিপত্রে বলা হয়েছিল যে, যদি কোনো কর্মচারী দুই বা তার বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নতুন স্কেলে উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরিজীবীদের জন্য উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।

টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড কি বকেয়া মঞ্জুর হয়?

হ্যাঁ।  চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ গেজেট প্রকাশের তারিখ (অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫) হইতে সিলেকশন গ্রেড স্কেল ও উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল) বা কোন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌছাইবার ১ (এক) বৎসর পর পরবর্তী উচ্চতর বা টাইম স্কেল প্রদান সংক্রান্ত বিধানাবলী বিলুপ্ত করা হয়েছে। বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরী এখনও হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের পূর্ব পর্যন্ত বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা হচ্ছে এখনও।

  • মঞ্জুরকৃত এ রকম একটি আদেশ এর কপি প্রদান করা হলো: ডাউনলোড
  • বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরী সংক্রান্ত আদেশের কপি: ডাউনলোড

জাতীয় পে স্কেলের উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা সংক্রান্ত প্যারা-৭ তে কি আছে? একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অীভহিত হউক) পাইয়া থাকিলে তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন না। একই পদে কর্মরত কোন কর্মচারী একটিমাত্র উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অীভহিত হউক) পাইয়া থাকিলে উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) বছর পূর্তির পর ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন। একই পদে কর্মরত কর্মচারী কোন প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইমস্কেল)/সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অীভহিত হউক) না পাইয়া থাকিলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বৎসর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ০৬ বছরে পদোন্নতি না পাইলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।
জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর ৭(১) ও ৭(২) এ প্রদত্ত সুবিধা কোন ক্রমেই ১৫/১২/২০১৫ তারিখের পূর্বে প্রদান করা যাইবে না।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

14 thoughts on “উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্যতা নিয়ে নতুন রায় ২০২৫ । ইতিমধ্যে ১টি টাইমস্কেল বা সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও ২টি উচ্চতর গ্রেড পাবেন?

  • Md. Habibur Rahman

    আমি ১টি সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির পর এজি অফিস প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির ০৬ বছর পর ২য় উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেছেন। বর্তমানে প্রজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আমি এখন গেজেট অনুযায়ী ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হব। এখন প্রশ্ন হলো প্রজ্ঞাপন যেহেতু অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে, সেহেতু প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গৃহীত সুবিধা অর্থাৎ সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির ০৬ বছর পর ২য় উচ্চতর গ্রেডের কি হবে।

  • ২০২০ সালে বেতন সমতা জনিত কারণে আমি একটি উচ্চতর গ্রেড পাই। একই বছর আমার চাকরি এক পদে দশ বছর পূরণ হয়। উল্লেখিত কারণে আমার চাকুরী ১০ বছর হওয়া সত্বেও আমার প্রথম টাইম স্কেল মঞ্জুর করা হয়নি। বর্তমান রায় অনুযায়ী চাকরি দশ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে প্রথম টাইম স্কেল কি পাব?

  • Md. Hedayet Hossain

    যারা ৩ টি টাইম স্কেল এবং ১ টি সিলেকশন গ্রেড পাও

    এই রায়ের ফলে কেহ যদি ৩ টি টাইম স্কেল ও ১ টি সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার পর ১০ বছর বা ৬ বছর চাকরি করার পর কি পরবর্তী উচ্চতর স্কেল প্রাপ্য হবেন ?

  • এ বি এম নকিবুল হাসান

    আমি ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকুরী তে জাতিয় বেতন স্কেলে প্রকল্পে ৯ম গ্রেডে যোগদান করি। আমার চাকুরী রাজস্ব খাতে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরনের ১/৭/২০০৯ তারিখে ১টি সিলকশন গ্রেড ৭ম পাই এবং পরবর্তীতে একটিমাত্র টাইম স্কেল পেয়ে বর্তমানে ৬ষ্ঠ গ্রেডে আছি। আমার এসব অরর্ডার বিলম্বে ২০২২ সালে ভূতাপেক্ষ ভাবে দিয়েছে। আমাকে কোন পদোন্নতি দেয়া হয় নাই। চাকুরীতে এসিআর সন্তোষজনক। আমার সহকর্মী কাউকেই দেয়া হয় নাই। অনেকে অবসরে গিয়েছেন। আমিও ১ বছর পরে অবসরে যাব।এটা কি বৈষম্য নয়? আমি কি ২য় উচ্চতর স্কেল পাব কি না? দয়া করে জানাবেন।

  • রায় অনুসারে পাবেন। এ বিষয়ে পরিপত্র জারি হলে কার্যকর হবে এবং তখন বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

  • এটির সাথে এ রায় জড়িত নয়। উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির তারিখ হতে ১০ বছর গণনা করতে হবে।

  • থাকবে। আপনি জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম অনুচ্ছেদের ২ দেখুন।

  • তৌহিদ

    প্রথম টাইমস্কেল ২০১৪ সালে।
    ২০২০ সালে উন্নীত স্কেল পাই। ২য় উচ্চতর গ্রেড কবে পাবো?

  • উন্নীত স্কেল হতে ১০ বছর গণনা করতে হবে।

  • মোঃআব্দুর রউফ

    আমি ২০০৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে বিধিমোতাবেক ২০১৪ সালে ১টি টাইম স্কেল প্রাপ্ত হই।বর্তমানে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড কত সালে প্রাপ্ত হই?

  • আপিল বিভাগের রায় হয়েছে কিন্তু কোন পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা স্পষ্টীকরণ জারি হয়নি। হলেই পাবেন।

  • মোহাম্মদ এমদাদুল হক

    আসসালামু আলাইকুম। আমার চাকুরিতে যোগদানের তারিখ ৫/৩/২০০৫ । ১ম টাইম স্কেল পেয়েছি ৫/৩/২০১৩। এরপর উচ্চতর গ্রেড পেয়েছি ৫/৩/২০১৯। চাকুরীতে প্রথম যোগদানের তারিখ হতে অদ্যাবধি একই পদে কর্মরত আছি। আমি কি এখন উচ্চতর গ্রেড পাব ? পাওনা হইলে কয়টি এবং কত তারিখে প্রাপ্য হইব ?
    অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন, কৃতার্থ হবো।

  • পাবেন। রায় হয়েছে কিন্তু প্রজ্ঞাপন হয়নি। অপেক্ষা করুন নতুন পে স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেড নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *