সরকারি কর্মচারীদের বাসা বরাদ্দ বিধিমালা ১৯৮২ মেনে বরাদ্দ দিতে হইবে এবং বাসা বরাদ্দ গ্রহণকারী নীতিমালা লঙ্গন করিলে যে কোন সময় বাসা বরাদ্দ বাতিল করতে পারিবে। বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মূল বেতন ও সিনিয়রিটি অনুসরণ করতে হবে। বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে বরাদ্দ গ্রহণকারীকেও নির্ধারিত বিধিমালা ও রুলস অনুসরণ করে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিমাসে সম্পূর্ণ বাসা ভাড়া বাবদ কর্তন করতে হবে। উচ্চ শ্রেণীর বাসা বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতন হারে প্রাপ্য বাসা ভাড়া প্রদেয় হইবে।
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।–
এই বিধিমালা বাংলাদেশ বরাদ্দ বিধিমালা ১৯৮২ নামে অভিহিত হইবে।
২। সংজ্ঞা।–
এই বিধিমালায় বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে;
(ক) “আবাসন” অর্থ সরকারের মালিকানাধীন, সরকার কর্তৃক ভাড়া-কৃত বা হুকুম দখলকৃত এবং আবাসন পরিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন ন্যস্ত-কৃত আবাসিক নিবাস;
(খ) “ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” অর্থ এই বিধিমালার বিনান অনুসারে কার্যাদি সম্পন্নের জন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকতা;
(গ) “পরিচালক” অর্থ আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক এবং পরিচালকের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তাও পরিচালকের অন্তর্ভুক্ত হইবে’;
(ঘ) “পরিবার” অর্থ সরকারি কর্মচারীর সহিত বসবাসরত এবং তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভশীল তাহার স্বামী, স্ত্রী, সন্তান ও সৎ সন্তান এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাইও পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(চ) “সরকারি কর্মচারী” অর্থ আবাসন প্রাপ্তির যোগ্য সরকারি কর্মচারী;
(ছ) “বেতন” এর অন্তর্ভুক্ত হইবে বিভিন্ন শ্রেণীর আবাসনের প্রাধিকার নির্ণয় এবং ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্য পে, টেকনিক্যাল পে, ডেপুটেশন পে, নন-প্র্যাক্টিসিং অ্যালাউয়েন্স যাহা প্রাধিকার নির্ধারণের জন্য সরকার গণনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে; এবং
(জ) “বাড়ী” এর অন্তর্ভুক্ত হইবে সরকার কর্তৃক কর্তৃত্ব প্রাপ্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তলা নির্বিশেষে নির্মিত বাড়ী।
৩। বরাদ্দ প্রাপ্তি যোগ্যতা।–
(১) উপ-বিধি (২) এবং (৩) এর বিধান সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংযুক্ত দপ্তরসমূহে (Attached Department) অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত সকল সরকারি কর্মচারী আবাসন বরাদ্দ পাইবার যোগ্য।
(২) অধীনস্ত অফিস সমূহের সরকারি কর্মচারীগণ আবাসন পরিদপ্তর পুল, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ হইতে আবাসন বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য হইবেন না-
(ক) টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড;
(খ) ডাক বিভাগ;’ এবং
(গ) এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য বিভাগ।
৪। শ্রেনী বিন্যাস এবং প্রাধিকার।–
আবাসনের শ্রেণীবিন্যাস এবং সরকারি কর্মচারীদের প্রাধিকার নিম্নরূপ হইবে।
১। “এ” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ৮২৫০ গ্রেডে ১৮, ১৯ এবং ২০ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
২। “বি” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ১১২৫০ গ্রেড ১৬, ১৭ এবং ১৮ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৩। “সি-২” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ১১৮৯০ গ্রেড ১৪, ১৫ এবং ১৬ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৪। “সি-১” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ১৩০৫০ গ্রেড ১২, ১৩ এবং ১৪ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৫। “ডি-২” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ১৪৪৫০ গ্রেড ১০, ১১ এবং ১২ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৬। “ডি-১” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ২২০০০ গ্রেড ৭, ৮ এবং ৯ মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৭। “ই” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ৩৩৫০০ গ্রেড ৬ এবং তদুর্ধ্ব মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৮। “এফ” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ৪৬৯৭০ গ্রেড ৫ এবং তদুর্ধ্ব উপ-সচিব এবং তদুর্ধ্ব মূল বেতন আহরণকারী সরকারি কর্মচারী।
৯। “সুপিরিয়র” টাইপ শ্রেনীর প্রাধিকার টাকা ৬১১২০-৬৮৪৮০ এবং তদুর্ধ্ব মূল বেতন আহরণকারী যুগ্ন –সচিব ও তদুর্ধ্ব সরকারি কর্মচারী।
৫। উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণীর আবাসন বরাদ্দ।–
(১) কোনো সরকারি কর্মচারীকে তিনি যে শ্রেণীর আবাসন পাওয়ার প্রাধিকারী, উহার অপেক্ষা উচ্চতর শ্রেনীর আবাসন বরাদ্দ দেওয়া যাইবে, যদি উক্ত শ্রেণীর আবাসন বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা তালিকায় ঐ শ্রেণীর কোনো কর্মচারী অপেক্ষমাণ না থাকেন এবং যদি তিনি ঐ শ্রেণীর আবাসন পাওয়ার প্রাধিকারী কর্মচারী কর্তৃক প্রদেয় সর্বনিম্ন হার অনুযায়ী ভাড়া প্রদানে সম্মত থাকেন।
(২) কোনো কর্মচারী যে শ্রেণীর আবাসন পাওয়ার অধিকারী, তাহা অপেক্ষা এক ধাপ নিম্ন শ্রেণীর আবাসন তাহাকে বরাদ্দ করা যাইতে পারে, যদি তিনি তার প্রাপ্য শ্রেণীর আবাসন পাওয়ার দাবি লিখিতবাবে পরিত্যাগ পূর্বক নিম্নোক্ত হারে ভাড়া প্রদানে সম্মতি জ্ঞাপন করেন:
(ক) বেতন স্কেলের ১ হইতে ১৩ নং স্কেলের মধ্যে যে কোনো স্কেলের অন্তর্ভুক্ত হইলে বেতনের ৭.৫% হারে; এবং
(খ) বেতন স্কেলের ১৪ হইতে ১৮ নং স্কেলের মধ্যে যে কোনো স্কেলের অন্তর্ভুক্ত হইলে বেতনের ৫% হারে;
তবে শর্ত থাকে যে, গেজেটেড কর্মকর্তাকে “ডি” টাইপের নিম্ন শ্রেণীর কোনো আবাসন বরাদ্দ দেওয়া যাইবে না।
৬। আবাসন পুল।–
(১) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংযুক্ত দপ্তরের এ, বি ও সি টাইপ বাসা পাওয়ার অধিকারী কর্মচারীদের আবাসন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক মন্ত্রনালয়।
(২) আবাসন পরিদপ্তর হইতে আবাসনের কোটা বরাদ্দ প্রাপ্তির পর প্রত্যেক মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ অধীনস্ত কর্মচারীদের প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত অপেক্ষা তালিকা অনুসারে আবাসন বরাদ্দ করিবে।
(৩) আবাসন পরিদপ্তর অপেক্ষা তালিকা অনুসারে উহার নিকট সংরক্ষিত সকল ডি-২, ডি-১, ই, এফ এবং সুপিরিয়র টাইপের বাসা বরাদ্দ করিবে।
(৪) প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আবাসন পরিদপ্তর এই বিধিমালার অধিনে যে শ্রেণীর আবাসন বরাদ্দ প্রদেরন ক্ষমতাপ্রাপ্ত, উক্ত প্রত্যেক শ্রেনীর আবাসনের নির্ধারিত ফরম ও বাঁধাই ভবিউমে অপেক্ষা তালিকা সংরক্ষণ করিবে এবং সকল কার্য দিবসে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিবে।
৭। অপেক্ষা তালিকা প্রনয়ন।–
(১) প্রযোজ্যমতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা আবাসন পরিদপ্তর “এ” ফরমে প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহের “বি” ফরমে প্রাপ্তিস্বীকার করিবে এবং বরাদ্দ ক্ষমতার আওতাধীন আবাসনের শ্রেণী অনুসারে পৃথক পৃথক অপেক্ষ তালিকা নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে নিম্নরুপিত জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রণয়ন করিবে-
(ক) যে শ্রেনীর আবাসনের জন্য আবেদন করা হইয়াছে, বিধি-৪ এর বিধান অনুসারে ঐ শ্রেণীর আবাসনের বরাদ্দ প্রাপ্তির যোগ্যতা যে তারিখে অর্জিত হইয়াছে, ঐ তারিখ হইতে চাকরির দৈর্ঘের ভিত্তিতে আবেদনকৃত আবাসনের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা নিরূপণ করিতে হইবে;
(খ) বিলুপ্ত;
(গ) চাকরির দৈর্ঘ্য একই হলে ভাড়া কর্তযোগ্য উচ্চতর বেতনের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নিরূপন করিতে হইবে;
(ঘ) অনুচ্ছেদ (গ) তে উল্লিখিত বেতন এক হইলে সরকারি কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা বয়সের ভিত্তিতে নিরূপিত হইবে।
(২) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপবিধি (১) এর বিধান অনুসারে নিরূপিত জ্যেষ্ঠতা কড়াকড়ি ভাবে অনুসরণপূর্বক আবাসন বরাদ্দ করিবে।
(৩) একজন মহিলা কর্মচারী পুরুষ কর্মচারী অপেক্ষ তিন বৎসরের অ্যান্টিডেটেড সিনিয়রিটি পাইবেন।
তবে কোনো মহিলা কর্মচারীর স্বামী অথবা অবিবাহিত মহিলা কর্মচারীর ক্ষেত্রে পিতা বা অভিভাবক সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োজিত থাকিলে এবং তিনি আবাসন পাওয়ার প্রাধিকারী হইলে বা বাসা ভাড়া ভাতা উত্তোলন করিলে এবং উক্ত মহিলা কর্মচারী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, স্বামী বা পিতা বা অভিভাবকের সহিত একত্রে বসবাস করিলে উক্ত ক্ষেত্রে মহিলা কর্মচারী অ্যান্টিডেটেড সিনিয়রিটি পাইবেন না।
৮। সংরক্ষিত আবাসন।–
সরকার এই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি জারীর মাধ্যমে কোনো একটি কর্মস্থলের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আবাসন উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখিতে পারিবেন।
৯। অস্থায়ী আবাসন।–
এই বিধিমালায় যাহাই থাকুক না কেন, রেস্ট হাউজ সহ সকল অস্থায়ী আবাসন, আবাসন পরিদপ্তর পুলের অধীনে থাকিবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দ প্রদান করিতে হইবে। অস্থায়ী আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বদলীযোগ্য কর্মকর্তাগণকে অগ্রাধিকার দিতে হইবে।
১০। আবাসনের দখল গ্রহণ।–
(১) বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী বরাদ্দ আদেশ প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে যে অনুসন্ধান অফিসের এখতিয়ারধীনে বাসা অবস্থিত, উক্ত অনুসন্ধান অফিস হইতে বাসার দখল বুঝিয়া নিবেন এবং বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি (Fixture and Fittings) বুঝিয়া পাওয়ার একটি রশিদ স্বাক্ষর করিবেন।
(২) অনুসন্ধান অফিসার, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আবাসন পরিদপ্তর অথবা মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দখল গ্রহণের তিন দিনের মধ্যে দখল গ্রহণের প্রতিবেদন দুই প্রস্থে প্রেরণ করিবেন।
১১। আবাসনের দখল হস্তান্তর।–
(১) বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী বাসার দখল প্রত্যর্পনের সময় সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান অফিসে বাসার দখল বুঝাইয়া দিয়া উক্ত অফিস হইতে দখল বুঝিয়া লওয়ার দুই প্রস্থ রশিদ নিবেন। উক্ রশিদে উক্ত সময়ে বাসায় প্রাপ্ত সকল বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকিবে। বরাদ্দ প্রাপক উক্ত রশিদের একটি কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আবাসন পরিদপ্তর বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করিবেন। অনুসন্ধান কর্মকর্তা বাসা প্রত্যার্পনের তিন দিনের মধ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আবাসন পরিদপ্তর বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট বাসা খালি হওয়ার প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
(২) বাসার বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির যে কেনো রকম ক্ষয়ক্ষতি হইলে বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী উক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং স্বাভাবিক নিয়মে অবচয়জনিত ক্ষয়ক্ষতি ব্যতীয় বাসার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হইলে উহার ক্ষতিপূরণের জন্য বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী দায়ী থাকিবেন।
১২। আবাসনের বরাদ্দ বাতিল-করণ।–
আবাসনের বরাদ্দ হস্তান্তযোগ্য নয়। সরকারি কর্মচারী বা তাহার পরিবার সাধারণভাবে বরাদ্দকৃত বাসায় বসবাস না করিলে বরাদ্দ বাতিল যোগ্য হইবে।
১৩। পারিস্পারিক সমঝোতায় বাসা বদল।–
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে , আবাসন পরিদপ্তর বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকার্তার পূর্বানুমতিক্রমে দুই বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে বাসা বদল করিতে পারিবেন। পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে বাসা বদল করিতে হইলে বরাদ্দ বাতিলযোগ্য হইবে।
১৪। সাবলেটিং, ইত্যাদি।–
(১) বরাদ্দকৃত বাসা সাবলেট দেওয়া যাইবে না এবং ইহা কোনো ব্যবসা বা পেশা-জণিত কাজে ব্যবহার করা যাইবে না। বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আবাস পরিদপ্তর তাহাকে বা তাহার পরিবারের কোনো সদস্যকে মেডিকেল প্রফেশন চালানোর অনুমতি দিতে পারিবে।
(২) সরকারি কর্মচারী তার বন্ধু বা আত্মীয়কে অর্থের বিনিময়ের ক্ষেত্র ব্যতীত বাসায় তাহার সঙ্গে ববাসের অনুমতি দিতে পারিবেন। এই বিধির যে কোনো ব্যত্যয়ের জন্য বরাদ্দ বাতিল হইবে।
(৩) বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী বাসা সাবলেট দিয়াছেন, ইহা প্রমাণিত হইলে পরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাদ্দ বাতিল করিবেন এবং এই বিষয়ে বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারীর অফিস প্রধানের নিকট রিপোর্ট করিবেন, যিনি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার আওতায় শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
(৪) সাবলেটের কারণে বরাদ্দ বাতিল হইলে পরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে মাসে বরাদ্দ বাতিল করিতে হয়, উহার পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নাম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবেন।
(৫) বাসার দখল পুনরুদ্ধারের তারিখ হইতে পরবর্তী দুই বৎসর সাবলেটিং এর অপরাধে অপরাধী কর্মচারী আবাসন বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ থাকিবেন।
১৫। মৃত্যুর পরও বরাদ্দ বজায় রাখা, ইত্যাদি।–
(১) নিয়ম মাফিক বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারীর মৃত্যুর ছয় মাস সমাপ্তিতে মৃত কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী বাসার দখল ত্যাগ করিবেন। মৃত কর্মচারীর যদি কোনো সন্তান থাকে এবং যদি তাদের নিজস্ব কোনো আবাসন না থাকে এবং পর্যান্ত আয়ের উৎস না থাকে, তাহা হইলে আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার মৃত্যুর তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত বাসা দখলে রাখার অনুমতি দিতে পারিবেন। তবে উক্ত পরিবারকে স্বল্প পরিসরের বাসায় স্থানান্তরের ক্ষমতা সরকারের থাকিবে।
(২) বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারীর চাকরি হইতে বরখাস্তের, অপসারণের, চুক্তিভিত্তিক চাকরির সমাপ্তির, পদত্যাগের, বদলির, বদলির, বিদেশে প্রেষণে নিয়োগের অথবা অবসর গ্রহণের ২ (দুই) মাসের মধ্যে দখল ত্যাগ করিতে হইতে।
(৩) উপবিধি (২)-তে যাহাই থাকুক না কেন, বরাদ্দ প্রাপকের চাকরি হিতে বরখাস্ত, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসরগ্রহণ বা বদলির ক্ষেত্রে যদি উক্ত কর্মচারীর সন্তানের লেখাপড়ার কারণে বরাদ্দ বহাল রাখা একান্ত আবশ্যক হয়, তাহা হইলে উক্ত বরাদ্দ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বহাল রাখার বিষয়টি সরকারের ইচ্ছাধীন থাকিবে।
(৪) কোনো বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী বাংলাদেশের বাহিরে বদলি হইলে, যতদিন পর্যন্ত তিনি বিদেশের কর্মস্থালে বাসা না পান অথবা ৬ (ছয়) মাস, ইহার মধ্যে যে সময় কম, উক্ত সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক হারে ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে বাসা দখলে রাখিতে পারিবেন।
(৫) অপসারণ-কৃত , চাকরি হইতে বরখাস্তকৃত অথবা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানের অধীনে অপসারণ, চাকরি হইতে বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করিলে, উক্ত আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অথবা ৬ (ছয়) মাস, ইহার মধ্যে যে সময় কম, উক্ত সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক হারে ভাড়া প্রদানপূর্বক বাসা দখলে রাখিতে পারিবেন।
(৬) সরকার কর্তৃক নন-ফ্যামিলি এলাকা হিসেবে ঘোষিত এলাকায় বদলির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হারে ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে বাসা দখলে রাখার অনুমতি দেওয়া যাইবে।
(৭) এই বিধিতে অন্যরূপ যে কোনো বিধানই বর্ণিত থাকুক না কেন, বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী প্রশিক্ষণ অথবা উচ্চ শিক্ষার জন্য সদর দপ্তর ত্যাগ করিলে এবং তাহার পরিবারকে বাসায় রাখিতে বাধ্য হইলে পরিচালকের অনুমতিক্রমে ভাড়া প্রদানপূর্বক এক বৎসর পর্যন্ত বাসা দখলে রাখিতে পারিবেন। এক বৎসরের অতিরিক্ত সময় দখলে রাখার ক্ষেত্রৈ সরকারের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৮) এই কর্মস্থালের আবাসন পাওয়ার অযোগ্য সরকার বিভাগে বদলি হইলে স্বাভাবিক হারে ভাড়া প্রদানপূর্বক বাসা দখলে রাখার অনুমতি দেওয়া যাইবে।
(৯) কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় বদলি হইলে, উক্ত সংস্থা আবাসনের বন্দোবস্ত না করা পর্যন্ত বাসা দখলে রাখার অনুমতি দেওয়া যাইবে এক্ষেত্রে উক্ত সংস্থার নিকট হইতে স্ট্যান্ডার্ড রেন্ট আদায় করিতে হইবে।
(১০) কোনো বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারীর মৃত্যুতে বা অবসর গ্রহণে, এই বিধিমালার অন্যান্য বিধান অনুসারে উক্ত শ্রেণীর আবাসন পাওয়ার প্রাধিকারী হইলে তাহার পিতা বা মাতা বা পুত্র অথবা অবিবাহিত কন্যা বা স্বামী বা স্ত্রীর অনুকুলে উক্ত বাসা বরাদ্দ দেওয়া যাইবে।
তবে উক্ত আবাসন এ, বি, বা সি শ্রেনীর হইলে উক্ত বাসাটি উপরে বর্ণিত ব্যক্তির অনুকূলে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রেই কেবল বরাদ্দ দেওয়া যাইবে-
(ক) বাসাটি যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের পুলের অধীন, উক্ত ব্যক্তি উক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মচাপরী হন; এবং
(খ) উক্ত ব্যক্তি যদি মৃত কর্মচারীর সহিত উক্ত বাসায় পূর্ব হইতে বসবাসরত থাকে।
১৬। উপদ্রবের কারণে বরাদ্দ বাতিল।–
বরাদ্দ প্রাপক কর্মচারী এবং তাহার পরিবারের সদস্যগণ উপদ্রব সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ হইতে বিরত থাকিবেন। যদি উক্ত কর্মচারী বা তাহার পরিবারের কোনো সদস্যের বা তাহার সহিত বসবাসকারী অন্য কোনো ব্যক্তি কার্যকলাপ উপদ্রবের বা সমস্যার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাদ্দ বাতিল করিতে বা থাকে অন্যত্র হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
ব্যাখ্যা: পোষা প্রানী বা গবাদি পশু কর্তৃক কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে বা ইহা উক্ত বিল্ডিংয়ের, কলোনির বা এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষতির কারণ হইলে বা বিরক্তিকর আওয়াজ সৃষ্টি করিলে, ইহার পালন এই বিধিমতে উপদ্রব বলিয়া গণ্য হইবে।
১৭। সরকারি কর্মচারীর নিজস্ব বাড়ি, ইত্যাদি-
(১) ঢাকা, নারায়গঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা বা চট্টগ্রামে সরকারি কর্মচারী নিজে বাড়ি নির্মাণ বা অর্জন করিয়া থাকিলে অথবা তাহার স্ত্রী বা তার উপর নির্ভশীল কোনো সন্তান উপর্যুক্ত এলাকায় কোনো বাড়ি নির্মাণ বা অর্জন করিয়া থাকিলে, উক্ বাড়ি নির্মানের দশ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর হ৯ইতে তিনি সরকারি আবাসন পাওয়ার যোগ্য হইবেন না।
(২) কোনো সরকারি কর্মচারীর নিজ নামে অথবা স্ত্রী বা নির্ভরশীল ব্যক্তি নামে একাধিক বাড়ি থাকিলে তিনি সরকারি আবাসন পাওয়ার যোগ্য হইবেন না।
১৮। অননুমোদিত দখল।–
(১) কোনো সরকারি কর্মচারী অননুমোদিতভাবে কোনো বাসা দখল করিলে বা কোনো বাসার দখল বজায় রাখিলে তাহার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে এবং ইহা ছাড়াও আবাসন পরিদপ্তর অননুমোদিত দখলকালীন সময়ের জন্য ১৯ (২) বিধি অনুসারে ভাড়া ধার্য ও আদায় করিবে।
(২) অননুমোদিত দখলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অবহিত হওয়ার পর যতশীঘ্র সম্ভব আবাসন পরিদপ্তর অননুমোদিত দখলকারীকে উচ্ছেদের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে এবং এই উচ্ছেদের কাজ ত্বরান্বিত করিতের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে:
(ক) অননুমোদিত দখলের অপরাধী সরকারি কর্মচারী এই বিধির অধীনে ব্যবস্থা গ্রহনের অতিরিক্ত হিসেবে আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে তাহার পালা আসার তারিথ হইতে সে যে কোনো বাসান বরাদ্দ পাওয়ার অযোগ্য হইবে।
১৯। ভাড়া। –
(১) ভাড়ামুক্ত (rent free) আবাসন পাওয়ার প্রাধিকারী না হইলে নিম্নোক্ত হারে ভাড়া প্রদান করিতে হইবে-
(ক) বেতন স্কেলের ১ নং হইতে ১৩ নং স্কেলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীগণের আবাসনের ভাড়া হার হইবে বেতনের ৭.৫ %।
(খ) বেতন স্কেলের ১৪ নং হইতে ১৮ নং স্কেলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীগণের আবাসনের ভাড়ার হার হইবে বেতনের ৫%।
(২) কোনো সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অননুমোদিত বাসা দখলের ক্ষেত্রে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তাহার প্রাপ্য বাড়ি ভাড়ার দ্বিগুন হারে ভাড়া কর্তন করিতে হইবে।
(৩) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে যাহাদের বাসা আবাসন পরিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দ করা হইয়াছে, আবাসন পরিদপ্তর তাহাদের ভাড়ার চাহিদা বিবরণী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা সংযুক্ত দপ্তরে প্রেরণ করিবেন এবং ইহার এক কপি প্রতি বৎসর ১৫ জুন ও ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাড়া আদায়ের জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবে।
(৪) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে সমস্ত কর্মচারীদের বাসা বরাদ্দ করিয়াছেন, ঐ সমস্ত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে আবাসন পরিদপ্তরে দুই প্রস্থ ভাড়া আদায় বিবরণী প্রেরণ করিবেন এবং ইহার এক কপি প্রতি আর্থিক বৎসর ১৫ জুলাই ও ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভাড়া আদায়ের জন্য হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
(৫) চাহিদা বিবরণী অনুযায়ী নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংযুক্ত দপ্তর এবং গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ভাড়া আদায়ের জন্য দায়ী থাকিবেন। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংযুক্ত দপ্তর বা হিসাবরক্ষণ অফিস চাহিদা বিবরণীতে প্রকৃত আদায় সম্পর্কে আবাসন পরিদপ্তরে প্রতিবেদন প্রেরণ করিবে এবং প্রত্যেক আর্থিক বৎসরের ১৫ জুলাই এবং ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাহার আবাসর পরিদপ্তরে ফেরত পাঠাইবে।
(৬) কোনো সরকারি কর্মচারীর নিকট অত্যধিক ভাড়া বকেয়া পড়িলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, আবাসন পরিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বা বিভাগ উক্ত ভাড়া বিধি মোতাবেক আদায়েল জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকার্তার নিকট প্রেরণ করিবেন এবং হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা তদানুযায়ী ভাড়া আদায় করিবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কোনোরূপ আবেদন কারণে আদায় বিলম্বিত করিবে না। হিসাব রক্ষণ অফিসে এইরূ কোনো আবেদন করিতে হইলে উক্ত আবেদন পত্র আবাসন পরিদপ্তরে প্রেরণ করিতে পারিবে।
২০। না দাবি প্রত্যয়নপত্র।–
(১) ডি-২, ডি-১, ই, এফ, এবং “সুপিরিয়র” শ্রেণীর আবাসনের ক্ষেত্রে আবাসন পরিদপ্তর এবং অন্যান্য শ্রেণীর আবাসনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসর শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তিকে “না দাবি প্রত্যয়নপত্র” প্রদান করিবে।
(২) যখন কোনো সরকারি কর্মচারী বদলি হন, অবসর গ্রহণ করেন বা চাকরি হইতে বরখাস্ত হন এবং বরাদ্দকৃত বাসা খালি করিয়া দেন, তখন আবাসন পরিদপ্তর বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রত্যয়নপত্র চাওয়ার অথবা আবাসন পরিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক বাসা খালি হওয়ার সংবাদ প্রাপ্তির, এই দুইয়ের মধ্যে যাহা আগে ঘটিবে, তাহার দুই মাসের মধ্যে “না দাবি প্রত্যয়নপত্র”ইস্যু করিবে।
(৩) কোনো সরকারি কর্মচারীকে আবাসন বরাদ্দ দেওয়ার সময় আবাসন পরিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বা বিভাগ উক্ত কর্মচারীর নিকট হইতে তাহার পূর্বতন কর্মস্থলের বরাদ্দকৃত আবাসনের, যদি থাকে, সম্পর্কে নিশ্চিত হইবে এবং যদি তাহার নামে পূর্বতন কর্মস্থালে আবাসন বরাদ্দ করা হইয়া থাকে, তবে “না দাবি প্রত্যয়নপত্র” দাখিলের জন্য বলিবে। কিন্তু উক্ত কর্মচারীর পূর্বতন কর্মস্থালের অফিসে এই প্রত্যয়নপত্রের ব্যাপারে যোগাযোগ করিবে। তবে এই “না দাবি প্রত্যয়নপত্র” এর কারণে উক্ত কর্মচারীর নতুন কর্মস্থালে আবাসন বরাদ্দ স্থগিত রাখা যাইবে না।
২১। জেলা অফিস, ইত্যাদি।–
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসার ও কর্মচারীদের মধ্যে আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে গঠিত অ্যাকমোডেশন বোর্ডকে এই বিধিমালা অনুসরণ করিতে হইবে। কোনো বিষয়ের ব্যাখার প্রয়োজন হইলে, উক্ত ব্যাখ্যা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিকট হইতে গ্রহণ করিতে হইবে।