ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২ এর বিধি ৪ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ৫১৯ উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচীর আওতায় ভোটার তালিকা আপডেট করার জন্য নির্বাচন কমিশন গত ২৮ মার্চ ২০২২ তারিখের ১৮৩ নম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন অফিসার নিয়োগ করেন।
ভোটার তালিকা হাগাদ শুরু হবে কবে?
ভােটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২২-এ ভােটারযােগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম ২০ মে ২০২২ হতে পরবর্তী ৩ (তিন) সপ্তাহ অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী ০৩(তিন) সপ্তাহ ভােটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলমান রাখার বিষয়ে মাননীয় কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
কোন নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে?
২০০৭ সালের ০১ জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভােটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। উল্লেখ্য, সাথে যাঁদের জন্ম ০১/০১/২০০৬ ও ০১/০১/২০০৭ তাদেরও যথাসময়ে নিবন্ধনের জন্য অগ্রিম তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া, এ কর্মসূচিতে ভােটার তালিকা হতে মৃত ভােটারের নাম কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম গৃহিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের কি নতুন জনবল নিয়োগ দিবে?
ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপাের্ট, প্রুফ রিডার এবং ডাটা এন্ট্রি হেলপার পদসমূহে নিয়ােগদান কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করা হবে। ভােটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে গড়ে বিদ্যমান ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) জন ভােটারের জন্য একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী এবং প্রতি ৫ (পাঁচ) জন তথ্যসংগ্রহকারীর জন্য ১(এক) জন করে সুপারভাইজার নিয়ােগ করতে হবে। ভােটার এলাকার সাথে সমন্বয় সাধন এবং ভৌগােলিক, প্রাকৃতিক, প্রশাসনিক, ভােটার এলাকার বিন্যাস ও অন্যান্য কারণে উল্লিখিত সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধি হতে পারে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহকারী নিয়ােগ হবে কারা?
বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন কমিশন তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। যেমন- সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয় বা মাদ্রাসার শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক বা কমর্চারী। সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক বা কমর্চারী। সরকারি পৃষ্ঠপােষকতায় বা সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন অফিস বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও সরকার কতৃর্ক অনুমােদিত কিন্ডারগার্টেন ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী।
তথ্য সংগ্রহে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়ােগ হবে যারা
সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ বা সমপর্যায়ের মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মকর্তা। সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বা উচ্চ বিদ্যালয় বা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা। এখানে উল্লেখ্য যে, তথ্যসংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজার নিয়ােগের বিধানে বর্ণিত “কর্মকর্তা” বলতে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা এবং “কর্মচারী” বলতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বুঝাবে।
তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ ফরম ২০২২
ডাটা এন্ট্রি করবে কারা?
টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপাের্ট, পুফ রিডার এবং ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়ােগে প্যানেল প্রস্তুত এবং প্যানেল হতে নিয়ােগ : ভােটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ৬(২) ধারা এবং ভােটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর ৪(৭) বিধি অনুযায়ী পরিশিষ্ট-2 এ বর্ণিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে টিম লিডার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বা সাপাের্ট, প্রুফ রিডার এবং ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়ােগের জন্য প্যানেল প্রস্তুত করতে হবে এবং প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্য হতে মেধাক্রম অনুসারে লােকবল নিয়ােগ দিতে হবে। তবে কোন জেলায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে একই কার্যক্রমের জন্য অন্য জেলা কর্তৃক প্যানেলকৃত তালিকা হতে উল্লিখিত পদে নিয়ােগ করা যাবে।
রেজিস্ট্রেশন টিম রেজিস্ট্রেশনের গুরু দায়িত্ব পালন করবেন
প্রতি উপজেলায় ১ (এক)টি রেজিস্ট্রেশন টিম থাকবে। টিমে ৪ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ১ জন টিম লিডার, ২ জন পুফ রিডার এবং ১ জন ডাটা এন্ট্রি হেলপার নিয়ােগদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে উপজেলার আয়তন এবং ভােটার সংখ্যা অধিক হলে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার প্রয়ােজনবােধে একাধিক রেজিস্ট্রেশন টিম গঠন করতে পারবেন। একটি টিম গড়ে প্রতিদিন ৩০০ জন ভােটারের ডাটা এন্ট্রি করবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা। ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, ২০১৯ সালের পর এ বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। এ সময় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি, মৃতদের বাদ ও স্থানান্তরের কাজ চলবে। ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এমন ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য সংগ্রহ করা হবে। ১৫-১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ হবে। ১৮ বছর বয়স হলেই স্বংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার তালিকাভুক্ত হবে।
তথ্য সংগ্রহের পর কি করা হবে?
তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এরপর নির্ধারিত নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবি তোলা, দশ আঙুল ও চোখের আইরিশের ছাপ নেওয়া হবে। তথ্য সূত্র
নতুন ভোটারগণ কি ২০২৩ সালে ভোট দিতে পারবে?
২০২৩ সালের ২ মার্চে যেসব নতুন ভোটার চূড়ান্ত ভোটার তালিকাভূক্ত হবেন (১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে যাদের জন্ম) তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। সবশেষ ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদের কাজ চলে। এরপর বছরব্যাপী থানা নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকাভক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। অনলাইনে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার এ সুযোগ বরাবরের মতো বিদ্যমান রয়েছে। এ বছর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকার পর এখন মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জনে। দেশের মোট ভোটারের মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
বি:দ্র: ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণে সঠিক তথ্য সরবরাহ করবো।