শারিরীক বা মানসিক অসুস্থ্যতার কারণে চাকরি হইতে অপসারিত হইলে বা অবসর গ্রহণ করিলে; অথবা চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে বা উক্ত কর্মচারী অবসর প্রাপ্তির দশ বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে; তিনি বা তাঁহার পরিবার বোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে পনের বৎসর অথবা উক্ত কর্মচারী যদি জীবিত থাকিতেন হারে পনের বৎসর পর্যন্ত অথবা উক্ত কর্মচারী যদি জীবিত থাকিতে তাহা হইলে তাঁহার অবসর প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী দশ বৎসর পর্যন্ত, যাহা পূর্বে হয়, কল্যাণ তহবিল হইতে বোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক, সময় সময় নির্ধারিত হারে অনুদান প্রাপ্য হইবেন;
তবে, শর্ত থাকে যে, কোন কর্মচারী এই ধারার অধীন কল্যাণ তহবিলের অনুদান গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত পনের বৎসর সময় তাঁহার প্রথম অনুদান গ্রহণের তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।
ব্যাখ্যা: ধারা ১৬ এর দফ (খ) এর ক্ষমতাবলে সরকার ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখের প্রজ্ঞাপন নং ০৫.০০.০০০০.১২২.০০.০১৪.১৯০.১৯১ দ্বারা কল্যাণ তহবিল হইতে প্রদেয় অনুদান এর পরিমাণ ১ জুলাই, ২০১৯ তারিখ হইতে নিম্নরূপ নির্ধারণ করে;
(ক) মাসিক কল্যাণ ভাতা ২,০০০ টাকা।
(খ) সাধারণ চিকিৎসা অনুদান সর্বোচ্চ ৪০,০০০ টাকা।
(গ) দাফ/অন্তেষ্টিক্রিয়া বাবদ সহায়তা ১০,০০০ টাকা।
(ঘ) যৌথ বীমার এককালীন অনুদান ২ লক্ষ টাকা।
(ঙ) জটিল ও দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা অনুদান ২ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ : ডাউনলোড
আরও বিস্তারিত জানুন এখানে ক্লিক করে।