গত ৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারী কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা ২০১৯ নামে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। এস, আরও নম্বর ৩৮১ আইন/২০১৯। – সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৫৯, ধারা ২৯ এর সহিত পঠিতব্য, এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নরূপ বিধিমালঅ প্রনণয়ন করিল, যথা-
১। শিরোনাম ও প্রবর্তন।–
(১) এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।-
এই বিধিমালায় ব্যবহৃত শব্দ বা অভিব্যক্তিসমূহ সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।
৩। বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিতি।-
(১) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বনুমতি ব্যতিরেকে কোনো সরকারি কর্মচারী নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকিতে পারিবেন না।
(২) উপবিধি (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া অনুপস্থিত কর্মচারীর প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য ১ (এক) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবে।
৪। বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ।-
(১) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোনো সরকারি কর্মচারী অফিস চলাকালীন অফিস ত্যাগ করিতে পারিবেন না;
তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি প্রয়োজনে কেনো সহকর্মীকে অবগতকরণপূর্বক অফিস ত্যাগ করা যাইবে এবং এই বিধিমালার তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত রেজিস্টারে এইরূপ অফিস ত্যাগের কারণ, সময়, তারিখ, ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
- সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পুরাতন, সীমিত যাত্রায় ব্যবহার উপযোগী কিন্তু আর্থিকভাবে অলাভজনক ও জীবনকাল (life time) উত্তীর্ণ যানবাহন অন্য সরকারি সংস্থায় বিনামূল্যে হস্তান্তর।
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) অনুসরণ।
- বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪ এর সংশোধন।
- পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে ভবন, এপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট ইত্যাদি নির্মাণ বা ক্রয় করা যাবে না।
- iBAS++ এ এন্ট্রির পর পূরণকৃত EFT ফর্ম প্রিন্ট করবেন যেভাবে।
(২) উপবিধি (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া এইরূপ প্রতি ক্ষেত্রের জন্য উক্ত কর্মচারীর ১ (এক) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবে।
৫। বিলম্বে উপস্থিতি। –
(১) কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তি সংগত কারণ ব্যতীত বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হইতে পারিবেন না।
(২) উপবিধি (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া প্রতি ২ (দুই) দিনের বিলম্বে উপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর ১ (এক) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবে।
৬। অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য দন্ড। –
কোনো সরকারি কর্মচারী ৩০ (ত্রিশ) দিরেন মধ্যে বিধি ৩, ৪ ও ৫ এ বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করিলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্মচারীর সর্বোচ্চ ০৭ (সাত) দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিতে পারিবে।
৭। পুর্নবিবেচনা। –
(১) বিধি ৩, ৪, ৫ ও ৬ এর অধীন কোনো সরকারি কর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হইলে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত আদেশ পুর্নবিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপবিধি (১) এর অধীন পুর্নবিবেচনার কোনো আবেদন করা হইলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া প্রদত্ত আদেশ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে বা বহাল রাখিতে পারিবে।
(৩) পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির ক্ষেত্রে সাক্ষ্যের সংক্ষিপ্তসার, প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
৮। দন্ডের অর্থ কর্তন। –
(১) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর দন্ডের অর্থ মাসিক বেতন হইতে কর্তনপূর্বক আদায় করিতে হইবে।
(২) সংশ্লিষ্ট কর্মচারী নিজের বেতন বিল নিজে উত্তোলনকারী হইলে, তাহাকে বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন করিবার লিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত লিখিত নির্দেশের কপি সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত কর্মচারী বেতন বিল হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন না করিলে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস উক্ত অর্থ কর্তনপূর্বক বিল পাশ করিবে।
(৩) সংশ্লিষ্ট কর্মচারী নিজের বিল নিজে উত্তোলনকারী না হইলে, তাহার বেতন হইতে দন্ডের অর্থ কর্তন করিবার লিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত নির্দেশের কপি সংশ্লিষ্ট হিসাব শাখায় প্রেরণ করিতে হইবে।
৯। হেফাজত। –
(১) সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সংবিধান (সপ্তর সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১ নং আইন) বাতিল ঘোষণা করায় “Exceutive Instruction No. SED/PS/82-103, Dated the 14th September, 1982 gএবং এ,আর,ও নং-১৫৪-আইন/৮৯, অতপর উক্ত Executive Instruction ও এসআরও বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইয়াছে।
(২) উক্তরূপ বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও-
(ক) উক্ত Executive Instruction ও এস,আর, ও এর অধীন যে সকল কার্যক্রম নিষ্পন্ন হইয়াছে উহার এই বিধিমালার অধীন নিষ্পন্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং
(খ) কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহার উক্ত Executive Instruction ও এর,আর,ও এর অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
সরকারী কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা ২০১৯ : ডাউনলোড
সাময়িক বারকাস্তকালীন পে ফিক্সেশন করা জরুরী কিনা? – জানালে খুশি হব|
না। বেতন ভাতা তো এ সময় বৃদ্ধি করতে পারবে না।