বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

জেলা মানববন্ধন ২০২৫ । মহার্ঘ ভাতা ও অন্যান্য দাবি আদায়ে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ কোথায় আসতে হবে?

সরকারি কর্মচারীগণ দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে এবং দ্রব্যমূল্যের চাপে তারা নিত্যসামগ্রীর বাজারে তারা মূল্যস্ফিতিতে ওষ্ঠাগত -সম্প্রতি মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হতে সরকার সরে এসেছে এমন সংবাদ পত্রিকা বরাতে পেয়ে জেলায় জেলায় মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে- আজ খুলনা জেলায় মানববন্ধন ২০২৫

সরকার কেন মহার্ঘ ভাতা থেকে সরে আসলো? সমকালের শিরোনাম ‘সরকারি চাকুরেরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা’। খবরটিতে বলা হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। জানুয়ারি থেকেই এ ভাতা কার্যকরের যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন হলে রাশ টানা যেত না মূল্যস্ফীতির, সমাজে দেখা দিত বৈষম্য– এমন শঙ্কায় সব মহল থেকে সরকারের এ উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ পটভূমিতে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে মহার্ঘ ভাতা থেকে কিছুটা পিছিয়েছে সরকার। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আজ ২৮/০১/২০২৫ তারিখ অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, মহার্ঘ ভাতার প্রদানের ঘোষণা তো সরকার দেয়নি। আমরা হ্যাঁ বা না কিছুই বলিনি।

মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত বাতিলে কর্মচারীরা কি বলছে? গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম। প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অবিলম্বে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল দেওয়ার জন্য পে কমিশন গঠনের দাবি জানান। একই সঙ্গে যে সকল কর্মচারী বেতন স্কেলের শেষ ধাপে চলে গেছেন, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন কেন করা হয়? কোনো বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট দাবি জানানো বা কোনো পরিবর্তন আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। একতা প্রদর্শন: কোনো বিষয়ে একমত হওয়া মানুষদের একত্রিত করে তাদের একতা প্রদর্শন করতে হয়। সাধারণত মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়। মানববন্ধন সাধারণত সুসংগঠিতভাবে করা হয়। মানববন্ধন একটি শক্তিশালী ভিজুয়াল প্রতীক। সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য মানব বন্ধন করা হয়। মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের কার্যকর পরিচালিত হয়।

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে । 

মানববন্ধন কি? মানববন্ধন হলো একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের একটি জনপ্রিয় রূপ, যেখানে মানুষ একসাথে দাঁড়িয়ে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সমর্থন জানায় বা কোনো বিষয়ের বিরোধিতা করে। এটি একটি শক্তিশালী ভিজুয়াল প্রতীক যা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং সরকার বা অন্যান্য সংস্থার কাছে একটি বার্তা পাঠাতে সাহায্য করে।

Banner of govtservent11to20

সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী কি কি? । বর্তমানে বাজার মূল্যের সাথে বর্তমান বেতন ভাতা কোনভাবে খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না

  1. পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে।  পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করত হবে।
  2. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
  3. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
  4. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
  5. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  6. আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
  7. বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

পে স্কেল ঘোষণা কেন জরুরি?

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুখ্য সমন্বয় বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। দ্রব্য-মূল্যের চরম উর্দ্ধোগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এ পর্যায়ে কর্মচারিদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা প্রত্যাশিত । অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দুর করে পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহলসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রশ্নোত্তর পর্ব

প্রশ্ন: পে স্কেলের দাবী কি আদায় হবে?

উত্তর: পে স্কেল না হলেও সংশোধন এবং অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট হবে অথবা মহার্ঘ ভাতা হাসিল করতে হবে।

প্রশ্ন: আন্দোলনে কি দাবী আদায় হয়?

উত্তর: ইতোপূর্বে যতবার আদায় হয়েছে তা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই হয়েছে।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

2 thoughts on “জেলা মানববন্ধন ২০২৫ । মহার্ঘ ভাতা ও অন্যান্য দাবি আদায়ে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ কোথায় আসতে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *