বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

অডিটর ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন ২০২৪ । আদালতের রায় অনুসারে ১০ম গ্রেড দাবী করা হচ্ছে?

হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর পদটি ১১তম গ্রেডের এবং তারা সে অনুযায়ী ১১ তম গ্রেডে মূল বেতন ১২,৫০০ টাকা এবং সর্বসাকুল্যে ২১,৭০০ টাকা বেতন ভাতাদি গ্রহণ করছেন-অডিটর ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন ২০২৪ 

অডিটর পদেও কি এখন স্নাতক পাশ লাগে? । অডিটরগণ আদালতে রীট করে ১১তম গ্রেড হতে কেন তাদের দশম গ্রেড প্রদান করা হবে না। অডিটর পদটিকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে আদালতের রায় রয়েছে। তাঁদের মূল দাবি, অডিটর পদটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে দশম গ্রেডে উন্নীত করে সরকারি আদেশ জারি করতে হবে।

সরকার কেন গড়িমশি করছে? অডিটর পদে বিদ্যমান ২টি বেতন গ্রেডের বৈষম্য নিরসন করে অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা যাবে মর্মে শ্রদ্ধেয় আসিফ নজরুল স্যারের তথা আইন মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট আইনি মতামত থাকা সত্ত্বেও সেটি বাতবায়নে সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। মহামান্য হাইকোর্টের রায় মানবেন না, তৎকালীন অর্থ মন্ত্রি ও তৎকালীন অর্থ সচিবের সম্মতি মানবেন না? বর্তমান আইন উপদেষ্টার মতামতও অডিটরদের ১০ গ্রেড প্রদানের পক্ষেই রয়েছে। অডিটরদের একই পদে দুটি বেতন গ্রেড একটা চূড়ান্ত বৈষম্য এটা অডিটরদের দীর্ঘ কালের ন্যায্য অধিকার৷ এই বর্তমান বাংলাদেশেও মাননীয় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের মতামতকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

হাইকোর্টের রায়ে কি ছিল? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সিএজি কার্যালয় ও তার অধীনস্থ অফিসের অডিটর পোস্টকে ১১তম গ্রেড হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার যৌক্তিকতা সহ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে ২০১৩ সালে একটি রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। সেই রীট পিটিশনে হাইকোর্ট বিভাগ বিচার বিশ্লেষণ করে অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা প্রদান করে মামলার রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে সরকার পক্ষ একটি সিভিল পিটিশন দায়ের করেন। সেই সিভিল পিটিশিনেও অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার রায় বহাল রাখা হয়। তারপরে সরকার পক্ষ পুনরায় সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। সেই পিটিশনেও অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার রায় বহাল রাখা হয়। সেই প্রক্ষিতে এই রায় বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রনালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে কিন্তু অর্থ মন্ত্রনালয় হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন, যার ফলে হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা করার কারণে কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করা হয়। 

অডিটর পদে গ্রেড বৈষম্য । মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অডিটরদের মধ্যে ১০ম ও ১১তম গ্রেড বহাল রাখা হয়েছে

এক‌ই প‌দে দুই ধর‌নের বেতন গ্রেড ডিপার্টমেন্ট এর কর্মচারী‌দের ম‌ধ্যে অস‌ন্তোষ সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌ছে যা কোন ভা‌বেই সুষ্ঠু কর্ম প‌রি‌বেশ নি‌শ্চিত কর‌বে না । তাই আদাল‌তের রায় বাস্তবায়ন ক‌রে অ‌ডিটর প‌দের বেতন গ্রেড বৈষম্য দ্রুত দূর করার জন্য আশু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

Caption: info source

অডিটর পদেই দু’ধরনের গ্রেড?

হ্যাঁ। কনটেম্পট পিটিশন এর প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রনালয় অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত না করে শুধুমাত্র ৬১ জন পিটিশনারের বেতন স্কেল ২৩/১২/২০১৮ হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করেন, যা আদালতকে চরম অবমাননা করা হয় এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একই পদে দুইটি বেতন স্কেল এর বৈষম্য তৈরী হয়। বর্তমানে সেই রায়ের বাস্তবায়ন করার জন্য সিএজি কার্যালয় হতে পুনরায় অর্থ মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরন করা হয়। অর্থ মন্ত্রনালয় পুনরায় আইন মন্ত্রনালয়ে মতামত চাইলে আইন মন্ত্রনালয়ের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার পুর্বের মত অডিটর পদের পক্ষে মতামত প্রদান করে অর্থ মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু পূর্বের ন্যায় একই ভাবে অর্থ মন্ত্রনালয় এবং সিএজি অফিস এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে নানা রকম তাল বাহানা করে ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে হাইকোর্ট এর রায় কে অকার্যকর করে রেখেছে। 

   
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *