পে স্কেলের সর্বশেষ খবর ২০২৫ । ৯ম জাতীয় বেতন স্কেল নিয়ে সরকার কি চিন্তা করছে?
জাতীয় বেতন ও ভাতাদি আদেশ জারি করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৯৭৩ সালের প্রথম পে স্কেল হতে চলতি পে স্কেল ২০১৫ পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ৫ বছর অন্তর অন্তর পূর্বের পে স্কেলগুলো জারি হয়েছে-নবম পে স্কেলের সর্বশেষ খবর ২০২৫
৯ম পে স্কেল খবর কি? সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত নতুন বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত সুপারিশ আগামী ডিসেম্বর, ২০২৫ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। তবে এই সুপারিশ পর্যালোচনা ও কার্যকর করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র ও অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
📅 ডিসেম্বরে সুপারিশ জমা, সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের
জাতীয় বেতন কমিশন দ্রুত গতিতে তাদের কাজ শেষ করছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
- সুপারিশ জমা: জাতীয় বেতন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেবে।
- চূড়ান্ত কার্যকর: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার পে স্কেল নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে না। কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসা নির্বাচিত সরকার।
📈 বেতন কাঠামো নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা
কমিশনের কাছে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব জমা পড়েছে। এর মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোয় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে:
- সর্বনিম্ন বেতন: বিভিন্ন প্রস্তাবনায় সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
- সর্বোচ্চ বেতন: সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ টাকা (১,৫০,০০০ টাকা) পর্যন্ত করার প্রস্তাবও এসেছে।
- গ্রেড কমানো: বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে কমিয়ে ১৭টি গ্রেড করার একটি প্রস্তাবও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
- টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড: সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা। এই বিষয়েও কমিশন আলোচনা করছে।
🗓️ কার্যকরের সম্ভাব্য সময়
যদিও নতুন পে স্কেল কার্যকরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকার নেবে, তবে সরকারি সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোয় এবং নির্বাচিত সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ২০২৬ সালের শুরুতেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন, বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে এবং এই কাজ ডিসেম্বরেই শুরু হবে।
সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন ধরে নতুন বেতন কাঠামোর অপেক্ষায় রয়েছেন। এখন সবার নজর কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশের দিকে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার কবে নাগাদ তা কার্যকর করার ঘোষণা দেয় সেদিকে।
পে স্কেলের সর্বশেষ খবর ও সরকারের চিন্তা (২০২৫):
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করা হয়েছে।
১. কমিশন গঠন ও সময়সীমা:
- কমিশন প্রধান: সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
- প্রতিবেদন জমা: কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারের কাছে নতুন পে স্কেলের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে (কমিশন জুলাই মাসে গঠিত হওয়ায় ডিসেম্বর ২০২৫/জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে প্রতিবেদন জমার সম্ভাবনা রয়েছে)।
২. বাস্তবায়নের সময়:
- তাৎক্ষণিক কার্যকর: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না।
- কার্যকর হওয়ার সম্ভাব্য সময়: নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকে কার্যকর হতে পারে।
৩. মূল পরিবর্তন ও আলোচনা:
- গ্রেড সংখ্যা কমানো: কমিশন বিদ্যমান ২০টি গ্রেড পুনর্বিন্যাস করে গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে ১২টি বা ১৫টি করার চিন্তা করছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো বেতন বৈষম্য কমানো।
- সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত: বর্তমানে সর্বোচ্চ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১ (দশ অনুপাত এক)। কমিশন এই অনুপাত নতুন কাঠামোতে ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে বজায় রাখার চিন্তা করছে।
- সর্বনিম্ন বেতন: কর্মচারী সংগঠনগুলো সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ টাকা করার দাবি তুলেছে।
- বিভিন্ন দেশের কাঠামো পর্যালোচনা: কমিশন নতুন পে স্কেলের কাঠামো নির্ধারণের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করছে।
- ভাতা ও সুবিধা বৃদ্ধি: মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমানে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা (যেমন শিক্ষা ভাতা) বাড়ানো নিশ্চিত বলে আলোচনা চলছে।
- বিশেষ ভাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য বিশেষ ভাতা (Special Allowances) অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
- সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আলাদা কমিটি: সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের জন্য “Armed Forces Pay Committee, 2025” নামে একটি আলাদা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
৪. জনমত গ্রহণ:
- কমিশন নতুন বেতন কাঠামো কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকসহ স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে।
মোটকথা, সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি নতুন, যুগোপযোগী এবং বৈষম্যমুক্ত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে, যা সম্ভবত ২০২৬ সালের শুরু থেকে কার্যকর হবে।
এ বছর কি পে স্কেল জারি হবে? দ্রব্যমূল্যের গতির সাথে বেতন ভাতাদি যদিও পেরে উঠছে না তবুও সরকারি কর্মচারিদের আশা জাতীয় পে কমিশন গঠন করে একটি সূরাহা হবে। মহার্ঘ ভাতা যদি প্রদান করা না হয় নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীগণ ধার দেনায় ডুবে যাবে। তবে যেহারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে গামেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ঘোষণা আসলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতার উপর ৫০% মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা আসতে পারে সেটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখনও পর্যন্ত নতুন সরকার ব্যয় সংকোচন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে তবে উপদেষ্টা মন্ডলীর পক্ষ আবাস পাওয়া গেছে তাই বলা যায় যে, চলতি বছর সরকার থেকে কোন একটি ঘোষণা আসবে।
নবম পে স্কেলের সম্ভাবনা । বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগতি কি হচ্ছে?
নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা, পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিপটপ ভাতা প্রদান, ১০০ ভাগ পেনশন পুনবহাল এবং পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা নির্ধারণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবেদন করেছেন। দাবিসমূহ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

সূত্রঃ ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম
বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট কি ১০% হওয়া উচিৎ? সরকারি কর্মচারীগণ জাতীয় পে স্কেল মোতাবেক বার্ষিক প্রায় ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বেতন বৃদ্ধির ধাপগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। মোট কথা বাজারে মূল্যস্ফিতির সাথে বেতন বৃদ্ধির সমন্বয় হচ্ছে না। গত ৭ বছরে ৪০% বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফিতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০-১০০%। এ বছরের আরও ৫০% মূল্য বৃদ্ধি যোগ করা যেতে পারে তাহলে ৭ বছরে মূল্য বৃদ্ধি ২ দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত ঠেকেছে। এমতাবস্থায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে নতুন পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৯ম পে স্কেল ঘোষণাসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ন্যূনতম মহার্ঘ ভাতা ছাড়া কর্মচারীদের জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে পড়বে। নতুন পে স্কেলে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট অবশ্যই ১০% এর নিচে রাখা ঠিক হবে না।
বর্তমান সরকার কি ইঙ্গিত দিয়েছে? নতুন চাকরিজীবীদের কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে এই কারণে যে নিচের গ্রেডে অর্থাৎ ১১-২০ গ্রেডে চাকরি করে সংসার চালাতে পারছে না। বর্তমানে বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে বেতন ভাতাদি প্রদান করা না হলে অনেক সরকারি কর্মচারী অর্ধাহারে থাকবে আবার কেউ কেউ আত্ম হননের পথও বেছে নিবে। এমতাবস্থাও সরকার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় পে স্কেল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি প্রেস কার্যালয়ের সামনে মানবন্ধন হয়ে গেল এবং সামনে আরও কর্মসূচী ঘোষণা করা হচ্ছে।
নতুন পে স্কেল কবে হবে? নতুন পে স্কেল ২০২৪ আপতদৃষ্টিতে হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। সরকারের আলোচনা ও দৃষ্টি ভঙ্গি এমনটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই নতুন পে স্কেল ২০২৪ না বলে ২০২৫ বলাই উত্তম। ১৯৭৩ সাল হতে পে স্কেল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ২০২০ সালেই পে স্কেল ঘোষণা করা উচিৎ ছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনা করে বৈরাচারী সরকার পে স্কেল ঘোষনা করেনি। পে স্কেল ঘোষণা করা হলেও কিছু সময় নিয়ে সে কাজ সম্পন্ন করবে বলে সরকার মনে হচ্ছে তবে মহার্ঘ ভাতা ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের জীবন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাজেহাল।
পে কমিশনের সর্বশেষ খবর ২০২৩ । নতুন পে স্কেল আন্দোলন বা মানববন্ধনের ফলস্বরূপ!
ট্যাগ: নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৪, পে কমিশনের সর্বশেষ খবর ২০২৪, নতুন পে স্কেল কবে হবে, আলোচনায় নতুন পে-স্কেল, ৯ম পে কমিশন ও মহগ্র ভাতা, প্রস্তাবিত পাই বেতন স্কেল, পে স্কেলের হিসাব, নবম পে স্কেল 2024




দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৫%, না জেনে ভূল কিছু লিখবেন না।
প্রমানক দিন। দৈনিক পত্রিকা থেকে দিবেন। আমি আপনি বললে না দেখলে হবে না। এসকল জিনিসের দাম তো ৬৫% বাড়েনি। রেফারেন্স দিন। যদিও আমি আপনার তথ্য মতে আপডেট করে দিলাম। কিন্তু জাতীয় দৈনিকের গত ৭ বা ৫ বছরের গড় রিপোর্ট প্রকাশ হতে হবে।
সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। ধার দেনায় পরে যাচ্ছি , দেনাও শোধ করতে পারছিনা।কিভাবে বাঁচব?
সকল কর্মচারীরই একই অবস্থা। অর্থনীতির এরূপ পরিস্থিতিতে সরকারও কোন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
mansiamro@gmail.com
manob bondhon ki hoyeche ? paper e to kono news holo na .
প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পত্রিকাগুলো কোন নিউজ করেনি। ব্যাপার খুবই হতাশাজনক।
একজন নিম্ন গ্রেডের সরকারি চাকরি জিবি মাসে বেতন পায় ১৫-২০ হাজার টাকা। মাস শেষে দেখা যায় পরিবারের সংসার চালানো বাজার করা,বিদুৎ বিল গ্যাস বিল, বাসা ভাড়া,বাবা মা কে কিছু টাকা দেওয়া এগুলো খরচ করার পরে দেখা যায় হাতে অবশিষ্ট কোনো টাকা ই থাকে না পুরো মাস টা যে আমাকে চলতে হবে সেই টাকা টাই আমার হাতে থাকে না। অপর দিকে একজন রিকশা চালক ও দৈনিক ১০০০ টাকা করে ইনকাম করে থাকে কারন এখন ভাড়া অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই দিকে হিসেব করলে দেখা যাবে রিকশা চালক মাস শেষে ৩০,০০০ হাজার টাকা ইনকাম করছে, মাস মেষে তার কাছে টাকা থাকছে কিন্তু আমি সরকারি চাকরি করি আমার কাছে মাস চলার মতো টাকা নেই। এখন তো আমরা রিকশা চালকদের থেকে ও নিম্ন জায়গায় নেমে গেছি। দেশের বাজার দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি সব দিক বিবেচনা করলে সরকারি চাকরি জিবিদের ঘরে সবসময় টানা পোড়া লেগে ই থাকে। সবসময় ডিপ্রেশনে থাকতে হয় এক পর্জায়ে চাকরি ছেরে দেওয়ার প্রবনতা দেখা দেয়।
বর্তমান সময়ে অন্যান্য দেশের সরকারি চাকরীজিবিদের যেভাবে বেতন ভাতা দেওয়া হয় সেভাবে আমাদের বাংলাদেশে দেওয়া হয় না
বিষয় গুলো উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আশা দরকার
সহমত।
বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এর মাধ্যমে সরকারের টনক নাড়াতে হবে এজন্য বড় একটি সম্মেলন করা উচিত অতি দ্রুত।
সহমত। কিন্তু সরকার এখন রিজার্ভ ঘাটতি ও অর্থ কষ্টে আছে। সরকার চাইলে ব্যয় বৃদ্ধি করতে পারবে না। বাজেট ব্যবহারে সরকার এখন সতর্ক।
আমি এক জন স্কুলের এমএলএস পদে চাকরি করি আমার বেতন ১১০০০হাজার টাকা ২ ছেলে ও আমার মা বাবা আমরা চলবো এই টাকা বতমান বাজারে যেই অবস্থা
দেশের অবস্থা নাজুক। তাই সরকার বর্তমানে পে স্কেল নিয়ে ভাবছে না।
সহমত
Test Comment
বেতনের প্রায় সব টাকাই লোনের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়।৬ জনের সংসার কিভাব চালাই।
কথা সত্য।
এই অবস্থায় খুব দ্রুত পে স্কেল জরুরি
জি। সহমত।
শুধু সরকারি চাকরি জিবিদের কথায় চিন্তা করলে হবেনা, বেসরকারী অথবা মালিকানা কোম্পানিগুলোতে জব ম্যান আছে এদের কথাগুলোও ভাবতে হবে, কারন ওরাও তো মানুষ ওদের ও ফ্যামিলি আছে এবং তাদেরও সংসার খরচ আছে,,, তাদের বেতন স্কেল এর দিকেও নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
দূরত্ব নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি
ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করাতে পারছি না
যা টাকা বেতন পাই
সেই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি
জি। এমন অবস্থা প্রায়দের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
জি। অবশ্যই
এই বেতন দিয়ে খরচ চালানো অনেক কষ্ট হয়। তার উপর আকস্মিক কোনো সমস্যা যেমন অসুখ-বিসুখ হলে তো কষ্টের সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। মনে হয়, পড়ালেখা করে নিজের কত ক্ষতি করেছি এই দেশে।
সেটি অনেকেরই মনে হচ্ছে। কেউ কেউ চাকরি হারিয়ে নতুন চাকরিও ম্যানেজ করতে পারছে না। কম বেতন আর চাকরিহীনতা এখন শিক্ষিত যুবকদের অভিশাপরূপে আবির্ভূত হয়েছে।
আমি একজন মাধ্যমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমার বেতন স্কেল ৮২৫০ টাকা সর্বসাকুল্যে পাই প্রায় ১০,০০০ টাকা এই বেতনে বাবা-মা স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতেছি অনেক ধারদেনা করে তাই ৯ম জাতীয় পে স্কেল যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে জিবন যাপনে কিছুটা সস্থি পাবো
জি। আপনার মত অসংখ্যা কর্মচারী রয়েছে। আমরা আশা করছি সরকার অবশ্যই ব্যাপারটি দেখবে।
Payscal 2025 may be published news by the government in Bangladesh as a geiget.
. At Least per job holder get 25,000 TK & maximum 150000 Tk. So be patient.
আমি বেসরকারী স্কুলের একজন অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ,আমি ২০২৫ ইং সনের ৩০ এ ডিসেম্বর ২০২৫ ্ং সনে অবসরে যাইবো। আম দীর্ এতগুলো বছর কাটিয়েছি অত্যন্ত সংকটময় পরিস্থিতিতে। বর্মানে শোনা যাচ্ছে যে, ৯ম পে স্কেল জানুয়ারী ২০২৬ সন হতে কার্কারী হবে, তবে আমি বা আমার মত হতভাগ্য কর্চারীরা কি এই ৯ম পে স্কেলে সুযোগ সুবিধসমূহ ভোগ করতে পারবো না ? দয়া করে যুক্তিসম্পন্ন এবং মানবতার কোন সিদ্ধান্ত আমরা পাব কি-না , জানাবেন।
পেতে পারে যদি সরকার অবসরকালীন কর্মচারী/ কর্মকর্তাদের এ সুবিধায় অন্তর্ভূক্ত করে। তবে সর্বশেষ পে স্কেলে সুবিধা প্রদান করা হয়নি।
ভাই পেনশনভোগীদের জন্য কিছু একটা বলো। আমরা কিভাবে বাচবো বলেন, ৫% বাৎসরিক লাগে, ২৫০ টাকা ৩০০ টাকা মেডিকেল ১৫০০ কিভাবে আমরা বাচবো বলেন। ৭০০০, ৫০০০, ৬০০০ টাকায় ৫% ১৫০০ মেডিকেল ঔষধ খাইতে টাকা লাগে মাসে ১০০০০ হাজার, আমাদের জন্য কিছু একটা বলো ভাই।
জি। লিখেছি এখানে দেখুন https://bdservicerules.info/monthly-pension-and-treatment-allowance-unsufficient-bd/
বিগত সরকার সীমাহীন দুর্নীতি না করলে আমাদের বেতন ভারতের স্কেলের সম পর্যায়ের থাকত, এই সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও করনীয় খুব বেশি কিছু নাই।
সহমত।