বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

৯ম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে আপডেট ২০২৪ । সরকারি পে স্কেল ছাড়া কি গ্রেড সংখ্যা কমানো যাবে?

২০১৫ সালে প্রদত্ত ৮ম পে-স্কেল সংশোধন করে ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। নতুন পে স্কেল ছাড়া গ্রেড সংখ্যা কমানো যাবে না-আপনি যখন ঘরের পিলার পরিবর্তন করতে চাইবেন তখন সকল বিষয়েই সংস্কার দরকার পড়বে-৯ম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে আপডেট ২০২৪

নতুন পে স্কেলের খবর কি? নতুন পে স্কেল নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা চলমান রয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণে শীর্ষক সেমিনার আগামী ১০/৯/২০২৪ রোজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব বিকাল ৩ টায় অতিথি থাকবেন জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না, জনাব নূরুল হক নূর, জনাব জুনায়েদ সাকী, জনাব ইলিয়াস খান (সাংবাদিক) এবং দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

দিন শেষে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা? হ্যাঁ। কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য অবশ্যই দুঃখ জনক কিন্তু আমরা সব শক্তি যদি বৈষম্য নিয়ে খরচ করি তাহলে বেশি লাভবান হব না। হ্যাঁ সুযোগে বৈষম্য বিষয়েও বলব কিন্তু অল টাইম এটা নিয়ে পড়ে থাকা তেমন লাভ দেখছি না। কর্মকর্তাদের সাথে তুলনা বাদ দিয়ে আমরা আমাদের ৩ টি টাইম স্কেল থেকে যে ১ টি কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেটা আদায়ের চেষ্টা করি। আমরা আমাদের অতিরিক্ত দক্ষতার ২/৩ টি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ থেকে ফেরত আনতে পারছি না সেখানে কর্মকর্তাদের সাথে বৈষম্য কমিয়ে আনব এমন টা কি আদৌ সম্ভব? আমিও কর্মচারী, আমাকে কর্মকর্তাদের দালাল ট্যাগ দিয়েন না। বৈষম্য নিয়ে আলোচনাতে কোন লাভ কখনোই হবে না। আমাদের একটা টাইম স্কেল ফেরত আনতে পারিনা সেখানে বৈষম্য কমাতে পারব অসম্ভব বিষয়। আর বেতন বৈষম্য সৃষ্টি শুধুই কর্মকর্তারা করেছে? সরকারের মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি যাচাই বাছাই করেন নি? উনারাও তো দায়ী। মনে রাখবেন, কর্মকর্তাদের বেতন বাড়লে আপনার আমারও বাড়বে। বর্তমান বাজার মূল্যে সব কর্মকর্তারা যে খুব ভালো আছেন তা কিন্তু নয়। কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই মিলে ৯ম পে স্কেল এর দাবী করি সরকারের কাছে। মন্তব্য- Samayun Ahmed

এবার কি আদৌ কিছু হবে? হ্যাঁ। অবশ্যই। নতুন বাংলাদেশে স্বাধীনতার নতুন স্বাদ অবশ্যই পাওয়া যাবে। সংস্কার যখন শুরু হয়েছে। সবকিছুতেই সংস্কার হবে। জাতীয় পে স্কেল নিয়ে অনেকদিন ধরেই সংস্কারের দাবী তোলা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সব কিছুই বিবেচনায় নেয়। সুতরাং সরকারী চাকরিজীবীদের এ ৭ দফা দাবী অবশ্যই আমলে নিবে আশা করছি। তাই আলোচনা ফলপ্রসূ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

নতুন পে স্কেলের আওয়াত তুলতে হবে । রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের আলোচনায় রাখতে হবে

৭ম পে স্কেল থেকে ৮ম পে স্কেলে টাকা অংকে বৈষম্যের পরিমাণ বেড়েছে। ১-১০ গ্রেডে গ্রেড ভিত্তিক ব্যবধানের হার সর্বনিম্ন ২.২২% ও সর্বোচ্চ ৯.৬০% যাহা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্পষ্ট বৈষম্য। একই শিক্ষা গত যোগ্যতায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন গ্রেড ও পদ মর্যাদায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়। তাহা নিরসনে আমাদের এই দাবী।

সারা দেশে একই পদোন্নতি নীতি মালা?

১-১০ গ্রেডে যাহারা চাকুরী করে, তাহারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। কিন্তু ১১-২০ গ্রেডে চাকরিজীবীরা ১৫/২০ বছরে, অনেকে ব্লক পেস্টের কারণে সারা জীবনেও পদোন্নতি পান না বা পদোন্নতি পেলেও গ্রেডে ভিত্তিক বেতন বৈষম্যের কারণে আর্থিক ভাবে লাভবান হন না। তাই নির্ধারিত ৫ বছর পরপর পদোন্নতি বা পদের স্বল্পতায় তাহা সম্ভব না হলে উচ্চতর গ্রেড প্রদান করলে কর্মচারীরা উৎসাহিত হবে ও সরকারের কাজ আরও গতিশীল হবে। ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের মাধ্যমে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করা হয়। পূর্বে কোন চাকুরিজীবী নিয়মিত পদোন্নতি না পেলেও ০৪ বৎসর পূর্তিতে সিলেকশন গ্রেড পেতেন। এছাড়া ৮, ১২, ১৫ বছর পূর্তিতে টাইম স্কেল পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের নতুন পে স্কেলে প্রদত্ত উচ্চতর গ্রেড নামক প্রহসন করে (১০ বছর ও ১৬ বছর চাকুরী করে বেতন মাত্র ১০ টাকা বাড়ে) উক্ত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করা হয়।

পদ পদবীতে শিক্ষাগত যোগ্যতার গুরুত্ব কি?  শিক্ষাগত যোগ্যতায় একই পদবী অর্থাৎ ১৬ তম গ্রেড এর অফিস সহকারী/ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে (একই ক্যাটাগরি/ সমস্কেলের পদসমূহ) নিয়েঅগের পর সচিবালয়ে কর্মরত থাকিলে পদোন্নতিতে ১০ গ্রেডে প্রধান সহকারী পর্যন্ত/ সমমানে পদোন্নতি পেয়েও তুলনামূলক ভাবে লাভবান হয় না (এইরূপ ১১-২০ গ্রেডের সকল পদ)। ২০১৫ সালের ৮ম পেস্কেলে চিকিৎসা ভাতা ১৫০০/-, যাতায়াত ভাতা ৩০০/-, টিফিন ভাতা ২০০/- নির্ধারণ করা হয়। যাহার দ্বারা ১ মাসের চিকিৎসা খরচ, অফিসে যাতায়াত, দুপুরের নাস্তা, সন্তানের লেখাপড়া ও পোষাকের পরিচ্ছন্নতা করা একেবারেই অসম্ভব। তাই বর্তমানে চিকিৎসা ভাতা ৫০০০/-, যাতায়াত ভাতা ৩০০০/-, টিফিন ভাতা ৩০০০/- শিক্ষা সহায়ক ভাতা ২০০০/-, ধোলাই ভাতা ক্ষেত্র বিশেষে ১০০০/-, ঝুঁকিপূণ নিয়োজিতদের মূল বেতনের ৩০% ঝুঁকি ভাতা, মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের ২০% মাঠ ভাতা ও বাড়ী ভাড়া ভাতা ৮০%, বৈশাখী ভাতা ২০% এর স্থলে ১০০% ও বিজয় দিবস ভাতা চালু করার যৌক্তিক দাবী জানাচ্ছি।

এককালীন হার বৃদ্ধি করতে হবে কি?

বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জীবন চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। উচ্চ গ্রেড বেতন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে নিম্ন গ্রেডে বেতন প্রাপ্ত কর্মচারীদের একই বাজার ব্যবস্থায় বাজার করতে গিয়ে অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশেষ বিশেষ সরকারী সংস্থা (সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার) সদস্যদের ন্যায় ন্যায্যমূল্যে মান সম্মত রেশন প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি। একজন ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণের পর যে পরিমাণ গ্র্যাচুইটি ও পেনশন আহরণ করেন, তাহা অবসর পরবর্তী জীবন যাত্রার জন্য অপ্রতুল। তাই আনুতোষিকের পরিমাণ ৯০% এর স্থলে ১০০% প্রদান ও গ্র্যাচুইটি ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সুযোগ সুবিধার অসংগতির কি হবে? ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের কাজের ধরন একই হওয়া সত্ত্বেও (যেমন অফিস সহকারী/ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারী, স্টেনো টাইপিস্ট) ভিন্ন ভিন্ন পদবী আবার একই পদবী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। এসকল কর্মচারীদের ক্ষেত্রে আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতেও বিভিন্ন প্রকার অসংগতি রয়েছে। উপরোক্ত যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মচারীদের সন্তুষ্টি, জীবন মান উন্নয়ন ও সরকারী কাজে গতি আনা সম্ভব বলে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম মনে করে। সূত্র: কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

8 thoughts on “৯ম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে আপডেট ২০২৪ । সরকারি পে স্কেল ছাড়া কি গ্রেড সংখ্যা কমানো যাবে?

  • আমি নিজেই ব্লোক পোস্টের একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী । চাকুরীর বয়স ২২ বৎসর ।

  • পেনসন বৈষম্য দূর করুন। সিনিয়র সিটেজেনদের মেডিকেল ভাতা বাড়ান।

  • সহমত। এই অল্প টাকা জীবণ ধারণ ও চিকিৎসা ব্যয় বহন কঠিন হয়ে পড়েছে।

  • একই পোস্টে চাকরির বয়স বিশ বছর হয়ে গেল। স্বল্প বেতনে জীবিকা নির্বাহ করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত নবম পে বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

  • নিম্ন পদের বেতন বৈষম্য দূর করা, সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কিছু বেতন বাড়ুক বর্তমান দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি সময়ের দাবি এবং বেসরকারি বেতন কাঠামো ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক উদ্যোগ নেয়া উচিত ।

  • সহমত। দ্রুত পে স্কেল সংস্কার এবং নতুন পে স্কেল জারি করা প্রয়োজন।

  • দীর্ঘদিন হয়ে গেল নতুন পে স্কেল না হওয়ায় অনেকে স্কেলের শেষ ধাপে আছে, ফলে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছে না। পিআরএল কালীন ইনক্রিমেন্টও পাচ্ছে না, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার কারণে অনেকের চাকরী ছাড়ার আগ্রহ বাড়ছে। দ্রুত নতুন পে স্কেল তৈরী ও বাস্তবায়ন দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *